ঢাকা, শনিবার, ১৩ পৌষ ১৪৩১, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৫ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

মন খুলে কাঁদুন সুস্থ থাকুন

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৪৯ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
মন খুলে কাঁদুন সুস্থ থাকুন সংগৃহীত ছবি।

বিশ্বের সব মানুষের প্রথম ভাষা হচ্ছে কান্না। সেই ক্ষেত্রে কান্নাকে পৃথিবীর প্রথম ভাষা বলা যেতেই পারে।

কান্নার ভাষা সর্বজনীন। সব ভাষার মানুষ কাঁদে। কান্নার ভাষা সব ভাষাভাষি বোঝে। একজন নবজাতকও নিজের অস্তিত্ব জানান দেয় কান্নার মাধ্যমে। এটা তার সুস্থতার প্রকাশ।

মনে দুঃখ, কষ্ট বা আনন্দে মানুষ কাঁদে। এই কান্নায় কী কেবলই মনের খেদ বা আবেগের প্রকাশ ঘটে, না কিছু লাভও হয়।

মনোবিদরা জানাচ্ছেন চোখের পানি ফেলার ওপর গুরুত্ব দিয়ে বলা হয়েছে, কান্নায় বেদনা প্রশমিত হয় এবং মানুষকে কোনো সমস্যা থেকে সেরে উঠতে সহায়তা করে।

কান্না করা ভালো কেন?

কান্না আসলে একটি ইমোশনাল থেরাপি। উদ্বেগ কমায় ও হতাশা থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। না কেঁদে দীর্ঘসময় ধরে দুঃখ বা মানসিক চাপ চেপে রাখলে মস্তিস্কের ওপর খারাপ প্রভাব পড়তে পারে। তাই মন খুলে কাঁদুন সুস্থ থাকবেন ভালো থাকবেন।

মনোবিদরা আরও জানাচ্ছেন, কান্না পেলে তা আটকানোর প্রয়োজন নেই বরং কেঁদে নেওয়াই ভালো। এ প্রতিবেদনে থাকছে কান্নার কয়েকটি উপকারিতা। চলুন জেনে নেওয়া যাক:

চোখ পরিষ্কার করে

কান্নার সময় চোখের পানি আমাদের মণি আর চোখের পাতা ধুয়ে-মুছে পরিষ্কার করে দেয়। এটি আমাদের চোখযুগলকে পানিশূন্যতা থেকেও বাঁচায়। ফলে চোখ পরিষ্কার রাখতে আর দৃষ্টি পরিষ্কার করতে সাহায্য করে কান্না।

ব্যাকটেরিয়া দূর করে

চোখের পানিতে থাকে ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাস দূর করার উপাদান। রাস্তা-ঘাটে, বাসে-ট্রাকের ধুলাবালি থেকে সারা দিনে চোখের ভেতর কত ময়লাই না জমা হচ্ছে। এগুলো থেকে বিভিন্ন জীবাণু চোখ যুগলের বাসা বাঁধতে পারে। কিন্তু চোখের পানি এসব ব্যাকটেরিয়া ও ভাইরাসের জীবাণু ধ্বংসে খুবই কার্যকর। চোখের পানিতে থাকা আইসোজাইম ৫-১০ মিনিটেই চোখের প্রায় ৯০-৯৫ শতাংশ ব্যাকটেরিয়া মেরে ফেলতে পারে।

মন উদ্দীপ্ত করে

কান্নায় মন ভালো হয়। কারণ কান্নায় শরীরে ম্যাঙ্গানিজের মাত্রা কমে যায়। এই ম্যাঙ্গানিজ বেশি মাত্রায় জমতে থাকলে উদ্বেগ, অস্বস্তি, রাগ-ক্ষোভ বেড়ে যাওয়াসহ নানা আবেগী ঝামেলা করে। কিন্তু কেঁদে ফেলতে পারলে এর মাত্রা কমে শরীর ও মন হালকা হয়।

ঘুম ভালো হয়:

কান্নার সময় মানুষের শরীরে এমন কিছু হরমোন ক্ষরণ হয় যা ঘুমানোর সময় শরীরকে আরাম দেয়।  

আবেগজনিত চিকিৎসা

কান্না বাস্তবে একটা চিকিৎসার মতো। এটা উদ্বেগ কাটায়, বিষণ্নতা দূর করে। আবেগে কেঁদে ফেলতে পারা অনেক কারণেই মন ও দেহের জন্য উপকারী। দীর্ঘদিন ধরে আবেগ চেপে রাখা ক্ষতিকর। এতে মনের ভেতর জমে ওঠে নানামুখী চাপ। এটি মস্তিস্কেও বিরূপ প্রতিক্রিয়া তৈরি করে। আর এ পরিস্থিতি সামলাতে প্রয়োজন কান্না।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৪৫ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৩১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।