ঢাকা: রাজধানীর বনানীতে আনুষ্ঠানিক যাত্রা শুরু করেছে পুরুষদের উন্নতমানের নিখুঁত পোশাকের ব্র্যান্ড স্প্রেযাতুরা। যেসব পুরুষরা যথাযথ ফিটিং ও মানসম্পন্ন পোশাকের ব্যাপারে সচেতন, তাদের জন্য পোশাক তৈরির দক্ষতার কারণে স্প্রেযাতুরা একটি ভিন্নমাত্রার ব্র্যান্ড হিসেবে পরিচিতি পেয়েছে ইতোমধ্যেই।
বৃহস্পতিবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে রাজধানীর বনানীতে ব্র্যান্ডটির উদ্বোধন করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ব্র্যান্ডটির প্রতিষ্ঠাতা মীর্জা ফয়সাল আহমেদ। এতে আরও উপস্থিত ছিলেন ব্র্যান্ডটির কো-ফাউন্ডার আদিবা নাজমা নূর, মিডিয়া উইং নাইমুল হকসহ সংশ্লিষ্টরা।
বর্তমানে আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করলেও ব্র্যান্ডটি প্রতিষ্ঠিত হয় ২০২০ সালে। বিগত বছরগুলোতে ব্র্যান্ডটি করোনার ধাক্কা সামলে তাদের গবেষণা, উন্নয়ন ও কারিগরদের উন্নতমানের পণ্য তৈরির প্রশিক্ষণ চালিয়ে যেতে সক্ষম হয়।
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশের ব্র্যান্ডগুলোর সঙ্গে ফ্যাশন, নির্ভুলতা, সূক্ষ্মতা বা নান্দনিকতার সম্পর্ক কম থাকলেও এগুলো অসম্ভব কোনো কাজ নয়, উদ্বোধনী আয়োজনে স্প্রেযাতুরার প্রতিষ্ঠাতা ও প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মির্জা ফায়সাল আহমেদ জানান তেমনটাই।
তিনি আরও জানান, এদেশে একটি উঁচুমানের পোশাকের ব্র্যান্ড চালু করার প্রবল ইচ্ছা থেকেই তিনি স্প্রেযাতুরা প্রতিষ্ঠা করেছেন। তিনি লক্ষ্য করেন বাংলাদেশে অনেকেই পোশাক তৈরির পেশায় জড়িত থাকলেও তাদের অধিকাংশই ত্রুটিহীন সেলাইয়ের দিকে মনোযোগ দেন না।
মির্জা ফায়সাল আহমেদ বলেন, আমাদের আরও অনেক ভালো ফেব্রিক আনা সম্ভব। আমরা আন্তর্জাতিকমানের পোশাকের বিষয়টি বিবেচনায় নিয়েই স্প্রেযাতুরা কাজ করছে। আন্তর্জাতিকমানের লেবেল লাগানোর আগে স্প্রেযাতুরার প্রতিটি পোশাক একটি আদর্শ উৎপাদন প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায়। এ ব্র্যান্ডের শার্টগুলো বৈশিষ্ট্যে অনন্য। তাকে রাখা শার্টগুলো হাতে তৈরি। কাপড়ের রং উঠে যায় কিনা এবং সংকুচিত হয় কিনা, তা পরীক্ষা করে নেওয়া হয়। যেসব গুণের কারণে একটি পণ্য আন্তর্জাতিক মানসম্পন্ন হয়, তার সব কিছু নিশ্চিত করেই স্প্রেযাতুরার পোশাক তৈরি করা হয়। রিসার্চের মাধ্যমে বর্তমানে আমাদের ৬০ শতাংশ মানুষের পোশাক প্যাটার্ন নিয়ে পোশাক আছে। বাকি ৪০ শতাংশ প্যাটার্ন যা আছে তা আগামী ৬ মাস ফ্রি সার্ভিস দেওয়া হবে।
মীর্জা ফয়সাল আহমেদ একজন সৃজনশীল ব্যবসায়ী। বাংলাদেশ ও আন্তর্জাতিক গার্মেন্টস শিল্পে প্রায় ৩০ বছরের অভিজ্ঞতা অর্জন করেছেন তিনি। নিজের ব্র্যান্ডের প্রসারকে তিনি বর্ণনা করেন ‘স্থানীয় পণ্যের বিশ্বায়ন’ হিসেবে। পশ্চিমা বিশ্বে নিজের ব্র্যান্ডকে প্রতিষ্ঠিত করার স্বপ্ন দেখেন আহমেদ। তবে তিনি মান নিয়ে বিন্দুমাত্র আপস করতে নারাজ।
তিনি বলেন, আমি আমার পণ্যের মানের সঙ্গে কখনোই আপস করবো না। কারণ আমি খুব ভালো করেই জানি, আমাদের অতিথিদের জন্য সামান্যতম মানের বিচ্যুতির অর্থ কী। আমরা আমাদের সুখ্যাতি বজায় রাখতে চাই এবং অবশ্যই আমাদের অনেক অতিথিই সাক্ষ্য দেবেন আমরা কীভাবে মান বজায় রাখি।
ইতোমধ্যে স্প্রেযাতুরা পণ্যের তালিকায় শীতকালীন জ্যাকেট (বাংলাদেশের শীতের জন্য), সাধারণ এবং বিশেষ পাঞ্জাবি, কোটি, পায়জামা ও চুড়িদার যুক্ত করা হয়েছে। ফর্মাল অনুষ্ঠানের জন্য ড্রেস প্যান্টও আছে। বর্তমানে ব্লেজার তৈরির কাজ গবেষণা ও উন্নয়নের পর্যায়ে আছে। এছাড়া নারী ও শিশুদের জন্য বৈচিত্র্যময় পোশাকের ভবিষ্যৎ পরিকল্পনাও করছে স্প্রেযাতুরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৪৩৫ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৫, ২০২৪
এইচএমএস/আরবি