মাথা ব্যথা, মাইগ্রেইন, প্রেশারের কারণে মাথায় যন্ত্রণা করা আমাদের জীবনে খুবই সাধারণ। হেলাফেলা করলে এপি মৃত্যুর কারণও হতে পারে।
তাই সাধারণ মাথা ব্যথা হলেও সতর্ক হতে হবে। নিতে হবে কার্যকরী সমাধান।
মোয়ামোয়া রোগের কারণেও মাথার যন্ত্রণা হয়। মোয়ামোয়া হলো সেরিব্রোভাসকুলার রোগ, যা মস্তিষ্কে থাকা বেসাল গ্যাংলিয়ায় অবরুদ্ধ ধমনীর কারণে হয়। জাপানি ভাষায়, মোয়ামোয়া মানে ‘ধোঁয়ার কুণ্ডলী’। বেশিরভাগ শিশুদের ক্ষেত্রে এ রোগ বেশি দেখা যায়।
মোয়ামোয়া হলে মাথায় ধোঁয়ার মতো রক্তকণা জমা হতে থাকে। রক্তনালি বন্ধ হয়ে যায়। ধীরে ধীরে মস্তিষ্কের কাজ করার ক্ষমতা চলে যায়। ফলে একেকটি অঙ্গ একটু একটু করে কার্যক্ষমতা হারিয়ে ফেলে।
চিকিৎসকদের মতে, শিশুরা এ ক্ষেত্রে দেরিতে কথা বলা শেখে। যারা স্কুলে যাচ্ছে, তাদের পড়ার সমস্যা, শেখার সমস্যা হয়। আর বড়রা এ রোগে আক্রান্ত হলে মাথায় তীব্র যন্ত্রণা বোধ করে বা তাদের মধ্যে মৃগী রোগের লক্ষণ দেখা দিতে পারে। কিছু মনে রাখতে না পারা, কাউকে চিনতে না পারা, কোনো কিছু পড়তে অসুবিধা হওয়া এই রোগের লক্ষণ হতে পারে। এই রোগে আক্রান্ত হলে শরীরের ইন্দ্রিয়গুলির কাজে তার প্রভাব পড়ে।
সেরিব্রাল আর্টেরিওগ্রাফি, ম্যাগনেটিক রেজোন্যান্স অ্যাঞ্জিওগ্রাফি, ম্যাগনেটিক রেজ়োন্যান্স ইমেজিং— এই তিনটি পরীক্ষার মাধ্যমে চিকিৎসকেরা রোগী আদৌ মোয়ামোয়া রোগে আক্রান্ত কি না তা যাচাই করা যায়।
বাংলাদেশ সময়: ২১২৮ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৮, ২০২৪
এমজে