বিয়ের আগে পাত্র-পাত্রীর অনেক কিছুই দেখাশোনা করা হয়। বাড়ি-ঘর, অর্থসম্পত্তিসহ নানাবিধ দেখার পর বিয়ের কথা পাকা হয়।
চিকিৎসকেরা বলছেন, থ্যালাসেমিয়া, বর্ণান্ধতা, সিকল সেল অ্যানিমিয়া, অ্যারিথ্রোব্লাস্টোসিস ফেটালিসের মতো রোগ এক প্রজন্ম থেকে অন্য প্রজন্মে সঞ্চারিত হয়। এই রোগগুলো নিয়ন্ত্রণের জন্যই বিয়ের আগে পাত্র ও পাত্রীর রক্তপরীক্ষা করিয়ে নেওয়া জরুরি।
আসুন জানি কোন কোন পরীক্ষাগুলো করাবেন...
১) রক্তপরীক্ষা: বিয়ের আগে দুজনের রক্তের গ্রুপ পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন। তা ছাড়াও কমপ্লিট ব্লাড কাউন্ট, থাইরয়েড, ডায়াবেটিসের মতো রোগ আছে কি না তা জেনে নিতে হবে। যদি রক্তে কোনো রকম সমস্যার ইঙ্গিত থাকে, তা পরবর্তী কালে বড় কোনো রোগ ডেকে আনতে পারে।
২) জিন পরীক্ষা: আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নিলে সমস্যা বাড়ার আগে জিনগত রোগের নির্ণয় সহজ হয়। ডায়াবেটিস, হাইপারটেনশন, থ্যালাসেমিয়া, কিছু ক্যানসার ও কিডনির সমস্যা লুকিয়ে থাকে জিনে। যা আগে থেকে পরীক্ষা করিয়ে নেওয়া প্রয়োজন।
৩) যৌনরোগ সংক্রান্ত পরীক্ষা: এইচআইভি, হেপাটাইটিস বি ও সি-জাতীয় রোগ সারা জীবন ভোগায় এবং সঠিক সময় চিকিৎসা না করালে তা বিবাহিত জীবনে বড় সমস্যা নিয়ে আসতে পারে। তেমনই গনোরিয়া, সিফিলিস, ব্যাকটেরিয়াল ভ্যাজাইনোসিসের মতো যৌনরোগের ব্যাপারে আগে থেকে জানা থাকলে সংক্রমণ রোখার উপযুক্ত ব্যবস্থা নেওয়া যায়।
৪) প্রজনন ক্ষমতা সংক্রান্ত পরীক্ষা: এই পরীক্ষা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। সাম্প্রতিক সময়ে স্ট্রেস, অস্বাস্থ্যকর জীবন যাপনের কারণে ইনফার্টিলিটির সমস্যা বড় আকার ধারণ করেছে। এই শারীরিক সমস্যা বিবাহিত জীবনে মানসিক, সামাজিক সমস্যা ডেকে আনে। শূন্যতা অনুভূত হয়। তাই আগে থেকে দুজনেই ফার্টিলিটি পরীক্ষা করিয়ে নিন।
৫) হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা: বিয়ের আগে রক্তে ভিটামিন ডি-এর মান এবং হাড়ের ঘনত্ব পরীক্ষা করিয়ে নিতে হবে। কারও যদি রিকেট, হাড়ের গঠনগত সমস্যা কিংবা অস্টিয়োপোরোসিস থাকে, তা অনেক ক্ষেত্রেই সমস্যায় ফেলতে পারে।
বাংলাদেশ সময়: ২০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ১০, ২০২৪
এমজে