ঢাকা, শুক্রবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

কিডনি সুস্থ রাখতে

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ২১৫৮ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
কিডনি সুস্থ রাখতে

কিডনি হলো শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ। সুস্থ থাকতে চাইলে কিডনিকে অবহেলা করা চলবে না।

কিডনি বিকল হলে শরীরে নানা জটিলতা বাসা বাঁধতে পারে। অজান্তেই কিছু প্রাত্যহিক অভ্যাসে আমরা অভ্যস্ত, যেগুলি বাড়িয়ে ফেললে কিডনি বিকল হওয়ার আশঙ্কা তৈরি হয়।  

কোন কোন অভ্যাসের লাগাম টানলে কিডনির রোগ ঠেকিয়ে রাখা সম্ভব, জানা যাক সেসব।

১> পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন। কোনো ক্রনিক অসুখ না থাকলে যে কোনো সুস্থ মানুষের দিনে ৩-৪ লিটার পানির প্রয়োজন হয়। কোনো মতেই শরীরে পানির ঘাটতি হতে দেবেন না। শরীরের যাবতীয় টক্সিন বাইরে বের করে দিতে পানিই প্রধানত সাহায্য করে। তাই পানির জোগান কিডনি যত পাবে, তার শারীরবৃত্তীয় কাজে তত সুবিধা হবে। অতিরিক্ত মদ্যপানও কিডনির সমস্যার কারণ হতে পারে।

২> কিডনিতে সংক্রমণের অন্যতম কারণ হল প্রস্রাব চেপে রাখা। সাধারণত রাস্তাঘাটে বা অনেক সময় কাজের চাপে বাড়িতে থাকলেও অনেকেই প্রস্রাবের বেগ চেপে রাখেন। এই অভ্যাস দিনের পর দিন ঘটালে কিন্তু বিপদ। এর ফলে মূত্রনালিতে চাপ পড়ে, তাতে ক্ষতিগ্রস্ত হয় কিডনি।

৩> উচ্চমাত্রার ডায়াবেটিস সরাসরি কিডনির ক্ষতি করে। তাই ডায়াবেটিসকে নিয়ন্ত্রণে রাখা ভীষণ জরুরি। রক্তে শর্করার পরিমাণ কোনোভাবেই বাড়তে দেওয়া যাবে না। কিডনি ভালো রাখতে ডায়াবেটিস প্রতিরোধ প্রয়োজন।

৪> মুঠো মুঠো ব্যথানাশক ওষুধ খাওয়াও মোটেও ভালো অভ্যাস নয়। অতিরিক্ত মাত্রায় এই ধরনের ওষুধ কিন্তু কিডনির নানা সমস্যা তৈরি করে। তাই চিকিৎসকের পরামর্শ ছাড়া কোনোভাবেই কোনো রকম অ্যান্টিবায়োটিক বা বেদনানাশক ওষুধ খাওয়া একেবারেই উচিত নয়।

৫> অনেকেই একটু বেশি লবণ খান। রান্নায় লবণ কম হোক বা না হোক, খাওয়ার পাতে একটু কাঁচা লবণ না নিলেই নয়। এই অভ্যাস কিন্তু কিডনির স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। কিডনিকে ভালো রাখতে চাইলে সবার আগে এই অভ্যাসে রাশ টানতে হবে। খুব বেশি চিনি খেলেও কিন্তু কিডনির ক্ষতি হয়। এ ছাড়া প্রক্রিয়াজাত খাবার কিংবা প্যাকেটবন্দি খাবারেও লবণ ও চিনি বেশি মাত্রায় থাকে, তাই এগুলিও বেশি না খাওয়াই ভালো।

বাংলাদেশ সময়: ২১৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৪, ২০২৪
এইচএ/

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।