আমাদের দৈনন্দিন জীবনে মানসিক চাপ একটা বড় অংশ। সাধারণত মানসিক চাপে থাকা অবস্থায় আমাদের যেকোনো কার্যকলাপেই সেটি প্রকাশ পেয়ে যায়।
আবার মানসিক অনুভূতিশূন্যতা সৃষ্টির জন্যও দায়ী এই মানসিক চাপই। মানসিক অনুভূতিশূন্যতা হলো মূলত এমন এক অবস্থা, যখন আমরা সব ধরনের আবেগ থেকে সংযোগহীন অনুভব করি। এমনকি আমাদের আবেগ-অনুভূতি অনুভব করতেও সমস্যার সৃষ্টি হতে পারে। অনেক ক্ষেত্রেই আমরা বুঝতে পারি না এই মানসিক অনুভূতিশূন্যতা কি আমাদেরও গ্রাস করছে কি না।
কিছু লক্ষণই বলে দেবে আপনি মানসিক অনুভূতিশূন্যতায় আছেন কি না। চলুন জেনে নিই সেসব লক্ষণ নিয়ে।
১. আবেগ থেকে বিচ্ছিন্ন থাকা : মানসিক অনুভূতিশূন্যতার জন্য আমরা অনেক সময় ঠিকমতো বিভিন্ন ধরনের আবেগ বুঝতে পারি না। এটার কারণ হতে পারে মূলত নিজেদের থেকে বিচ্ছিন্ন থাকার জন্য, নিজেদের আবেগ থেকে দূরে থাকার জন্য।
২. সহমর্মিতার সংকট : যেহেতু আমরা নিজেদের আবেগ-অনুভূতিই বুঝতে পারি না, সে জন্য অন্যদের মনের অবস্থা বুঝতেও সমস্যা হতে পারে। এতে করে অন্যদের মনের অবস্থা খারাপ থাকলে তাদের যতটুকু সহমর্মিতা দেখানো প্রয়োজন সেটি দেখাতে পারি না।
৩. আবেগঘন মুহূর্ত এড়িয়ে চলা : আমরা মাঝেমধ্যে আবেগে অভিভূত হওয়ার মতো অবস্থার মুখোমুখি হই। মানসিক অনুভূতিশূন্যতায় থাকলে সাধারণত এসব আবেগঘন মুহূর্ত আমরা এড়িয়ে চলি, কারণ এগুলো ভালোভাবে গ্রহণ করার মতো মানসিক অবস্থা থাকে না।
৪. নির্লিপ্ততা : মানসিক অনুভূতিশূন্যতা থেকে জীবনের যাবতীয় আবেগ-অনুভূতি যেন হারিয়ে যায়।
কোনো কিছুই আগের মতো রঙিন বা আকর্ষণীয় লাগে না। এসবের কারণ হলো আবেগ থেকে বিচ্ছিন্নতা।
৫. ঝুঁকিপূর্ণ ব্যবহারের সম্মুখীন : মানসিকভাবে অনুভূতিশূন্য মানুষদের মধ্যে ঝুঁকিপূর্ণ আচরণের প্রভাব সবচেয়ে বেশি দেখা যায়। এমনকি বেপরোয়া কোনো উদ্যোগ নিতেও দ্বিধাবোধ করেন না।
৬. শারীরিক পরিবর্তন : মানসিক অনুভূতিশূন্যতা থেকে শারীরিক কিছু সমস্যাও দেখা দিতে পারে। যেমন মাথা ব্যথা, দীর্ঘ সময় ধরে ক্লান্ত থাকা ইত্যাদি। আবার অনেকের খাওয়াদাওয়াও কমে যায়। এই খাওয়ার অনিয়মের জন্যও অনেক ধরনের সমস্যা দেখা দিতে পারে।
সূত্র : হিন্দুস্তান টাইমস
বাংলাদেশ সময়: ১৫৫৩ ঘণ্টা, মার্চ ১৮, ২০২৪
এমজে