চুলের আগা ফেটে যাওয়া, রোদে পোড়ার হাত থেকে রেহাই পেতে, চুলের যত্নে নিয়মিত যে কাজগুলো করতে হবে।
সপ্তাহে তিন বার রাতে ভালো করে তেল ম্যাসাজ করে, সকালে শ্যাম্পু করতে হবে।
তাদের মনে রাখতে হবে, চুলের জন্য শ্যাম্পু নয়, ক্ষতিকর হচ্ছে ময়লা।
আগা ফেটে গেলে আগে ট্রিম করিয়ে তারপর যত্ন নিন।
ধুলো-ময়লায় অনেক সময় চুল নিস্তেজ হয়ে যায়। অলিভ অয়েল, নারকেল তেল ও ক্যাস্টর অয়েলের সঙ্গে মেথি পেস্ট মিশিয়ে মাথার তালুতে ম্যাসাজ করুন। চুল ঘন ও উজ্জ্বল থাকবে।
দইয়ের সঙ্গে লেবুর রস মিশিয়ে চুলে দিন। তারপর শ্যাম্পু করে ধুয়ে ফেলুন।
চুলে শ্যাম্পু করার পর অবশ্যই ভালো কোম্পানির কন্ডিশনার লাগান।
চুলের জন্যে জোজোবা অয়েল খুব উপকারী। নিয়মিত চুলের ডগায় জোজোবা অয়েল লাগালে চুল নরম হয়। বড় কসমেটিক স্টোরে জোজোবা ওয়েল পাওয়া যায়।
বাইরে বেরোনোর সময় চুল বেঁধে রাখুন। বাইরের রোদ ময়লা থেকে অনেক খানি রক্ষা পাবেন। তবে বেশি টাইট করে চুল বাঁধবেন না। খেয়াল রাখবেন চুলের মধ্যে যেন হাওয়া চলাচল করতে পারে।
গরমে তাপমাত্রা বাড়লে মাথার তালুও ঘামতে শরু করে। দিনের শেষে বাড়ি ফিরে চুল ভাল করে শুকিয়ে নিন।
তারপর বড় দাঁতের চিরুনি দিয়ে চুল আঁচড়ে শুকিয়ে নিন। প্রতিদিন কিছুটা সময় চুলের যত্ন নিন। এভাবে নিয়মিত চুলের যত্ন নিলে দেখবেন গরমেও আপনার চুল থাকবে প্রাণবন্ত ঝলমলে।
চুলে যতটা সম্ভব হিট দেওয়া, আয়রন করা এবং কেমিক্যাল জাতীয় দ্রব্যের কম ব্যবহার করুন।
চেষ্টা করুন সপ্তাহে একদিন চুলের বাড়তি একটু যত্ন নিতে
টক দই চুলের জন্য খুব ভালো। সঙ্গে একটি ডিম ও একটি লেবুর রস মিলিয়ে চুলে দিয়ে ৩০ মিনিট পর শ্যাম্পু করুন।
যদি চুল পড়া শুরু হয়, তাহলে মেহেদি, পেঁয়াজের রস ও টক দই লাগান। কয়েক দিনের মধ্যেই পার্থক্য বুঝতে পারবেন।
চুলের পরিচর্যার পাশাপাশি প্রতিদিনের খাবারের তালিকায় পুষ্টিকর, স্বাস্থ্যসম্মত ও কম তেল-মসলাদার খাবারের দিকে নজর দিন।
বাংলাদেশ সময়: ১০৩৫ ঘণ্টা, মার্চ ২২, ২০২৪
এসআইএস