রোজার ঈদে খুশির দিনে মজার মজার খাবারতো সবারই চাই, একদিন না হয় নিয়ম না মেনেই ভোজন চলুক, তবে কিছু বিষয় খেয়াল রেখে খেলেই শরীরের জন্য ভালো হয়। খাবার নিয়ে সমস্যা শুরু হয় মূলত ৪০ এরপর থেকেই।
সকালের খাবার
টানা এক মাস একই নিয়মে রোজা রাখার পর ঈদের সকালে প্রথম খেতে হচ্ছে, তাই হঠাৎ করে বেশি খাবার খাওয়া ঠিক নয়। এতে বদহজমসহ বিভিন্ন সমস্যা হতে পারে। তাই একটু হালকা খাবার খাওয়াই ভালো। এতে দুধ, চাল ও গুড় দিয়ে ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন ফিরনি, যা থেকে প্রোটিন, কার্বোহাইড্রেট ও মিনারেল পাওয়া যায়। ফলের জুস বা ফলও থাকতে পারে সকালের খাবারে। এছাড়া পাতলা পরোটা আর সবজিও খাওয়া যেতে পারে। তবে ঈদের দিন ডিম না খাওয়াই ভালো। কেননা এই উৎসবে মাংস খাওয়া হয় বেশি। তাই ডিম না খেলে পুষ্টির একটা ভারসাম্য থাকে।
দুপুরের খাবার
দুপুরে খাবারের তালিকায় বেশি পদ না রাখাই ভালো; বরং দুই থেকে তিনটি খাবার ভালোভাবে রান্না করলে পুষ্টি, তৃপ্তি, ক্যালরি—সবই পূরণ সম্ভব। এজন্য থাকতে পারে মাছের পদ। কার্বোহাইড্রেটের চাহিদা মেটাতে দুপুরের খাদ্যতালিকায় রাখতে পারেন সাদা পোলাও বা খিচুড়ি। সবুজ সালাদ বা টক দই অবশ্যই রাখুন।
রাতের খাবার
অনেকেই সারা দিনের অনেক পদের খাবার খাওয়ার পর রাতে তেমন খেতে পারেন না। আবার যা খেতে পছন্দ করেন, তাও ঠিকমতো খেতে পারেন না। তাই রাতের খাদ্যতালিকায় খুব বেশি পদ রাখবেন না। রুটি বা সাদা ভাতের সঙ্গে মুরগি বা গরুর কাবাব, সবজি বা মাংসের অন্য কোনো পদ থাকতে পারে। আবার একটু ভিন্নধর্মী খাবারের স্বাদ নিতে চাইলে চায়নিজ ফুডও ঘরে তৈরি করে নিতে পারেন। কেননা এ জাতীয় খাবারে তেল-মসলা কম থাকে।
যা খেয়াল রাখবেন
প্রচণ্ড গরমে হজমে সমস্যা হতে পারে, তাই খাবারের পাশাপাশি পর্যাপ্ত পানি, শরবত, ফলের রস ও অন্য তরল খাবার বেশি করে খেতে হবে। এতে গুরুপাক খাবারের জন্য পেটে স্থান কমে যাবে। লেবুর রস, চিনি ও লবণ দিয়ে শরবত খাওয়ার পাশাপাশি খেতে পারেন ডাব, মাল্টা, আনারস, লাচ্ছি ইত্যাদি।
ঈদের সময় খাবারে এক-আধটু এদিক-সেদিক হতেই পারে, দুই একদিন ভারী খাবার চলতেই পারে। মূল কথা হচ্ছে খেতে হবে নিজের শরীর ও বয়সের গুরুত্ব বুঝে। সুস্থ দেহে সতেজ মনে উৎসবের আমেজে মাতুন পরিবারের সবাইকে নিয়ে।
বাংলাদেশ সময়: ১৫২২ ঘণ্টা, এপ্রিল ১০, ২০২৪
এএটি