ঢাকা, শনিবার, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ২১ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

‘নো মেক আপ’ লুক পাবেন কীভাবে

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯১৬ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
‘নো মেক আপ’ লুক পাবেন কীভাবে

মেকআপ করেছেন, কিন্তু আপনাকে দেখলে মনে হবে কোনো প্রসাধনীই ব্যবহার করেননি। অথচ আপনাকে দেখতেও লাগবে আকর্ষণীয়।

সীমিত প্রসাধনী ব্যবহার করে এমন ন্যাচারাল মেকআপ করাকে বলা হয় ‌‘নো মেকআপ লুক’।

একটা সময় খুব চড়া করে মেকআপ করার চল ছিল। ভারি বেস মেকআপের সঙ্গে ড্রামাটিক আইলুক করাকেই মেকআপ মনে হতো। তবে যুগের সঙ্গে নারীদের সাজসজ্জায় এসেছে পরিবর্তন। এখন অল্প প্রসাধনী ব্যবহার করে নো মেকআপ লুক বেশি জনপ্রিয়। সন্ধ্যার কোনো বিয়েবাড়ির সাজ, অফিসের কোনো পার্টি বা মিটিং, যেখানে আকর্ষণীয় লাগতে হবে।

আবার অতিরিক্ত মেকআপও মানানসই নয়। এসব ক্ষেত্রে ‘নো মেকআপ লুক’ বেশ জনপ্রিয়। তবে বর্তমানে অনেক বিয়ের কনেও নো মেকআপ লুকে সাজেন।  
বাসায় কয়েকটি টিপস অনুসরণ করে খুব সহজে এবং কম সময়ে চাইলেই এমন নো মেকআপ লুকে সাজা সম্ভব।

জেনে নেওয়া যাক টিপসগুলো।

নো মেকআপ লুকের জন্য ত্বককে আগে তৈরি করে নিতে হবে। এর জন্য ত্বকের যত্ন প্রয়োজন। ত্বক যত স্বাস্থ্যকর হবে মেকআপ তত নিখুঁত হবে। তাই ন্যাচারাল মেকআপের জন্য ত্বকের যত্নের বিকল্প নেই।

মেকআপের আগে ত্বক একটি ক্লিনজিং দিয়ে পরিষ্কার করতে হবে। তারপর ভালো মানের মশ্চেরাইজার ব্যবহার করতে হবে। এতে ত্বক আর্দ্র হয়। ত্বকে ফাউন্ডেশন মসৃণভাবে বসতে সাহায্য করে প্রাইমার। প্রাইমার যদি ভালো না হ,য় তবে মেকআপের পর ত্বক ধূসর হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। তাই ত্বকের ধরন অনুযায়ী একটি ভালো মানের প্রাইমার ব্যবহার করতে হবে।

দ্বিতীয় ধাপে আসে ফাউন্ডেশনের কথা। নো মেকআপ লুকে ফুল কাভারেজ ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না। প্রাকৃতিক আভা পেতে হালকা ফাউন্ডেশন ব্যবহার করতে হবে। ত্বক থেকে খুব বেশি উজ্জ্বল ফাউন্ডেশন ব্যবহার করা যাবে না। বর্তমানে এয়ার ব্রাশ ফাউন্ডেশন খুব ট্রেন্ডি। অতিরিক্ত পাউডার ব্যবহারে ত্বক কেকি হয়ে যায়। তাই পাউডারজাতীয় প্রসাধনী থেকে ক্রিম জাতীয় প্রসাধনী বেশি প্রাধান্য দিতে হবে।

ত্বকের যেখানে যেখানে দাগ বা ব্রণ আছে, সেখানেই শুধু কন্সিলার ব্যবহার করতে হবে। পুরো ত্বককে ঢেকে ফেলা কন্সিলার ব্যবহারের উদ্দেশ্য নয়। বরং ত্বকের খুঁতগুলো লুকিয়ে ত্বককে আরো সুন্দর ও নিখুঁত দেখাতেই কন্সিলার ব্যবহার করা হয়। নো মেকআপ লুকে কনট্যুরিং ব্যবহার করা হয় না বললেই চলে। তবে মুখকে আরো তীক্ষ্ণ দেখাতে হালকা কনট্যুরিং করা যেতে পারে।

নো মেকআপ লুকে ভ্রু আঁকা একটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ। মোটা ও গাড় করে ভ্রু আঁকা যাবে না। মুখের সঙ্গে মানানসই করে ভ্রু আঁকতে হবে। চুলের রঙের সঙ্গে মিল রেখে ভ্রু পেনসিল বা পাউডার দিয়ে ভ্রু আঁকতে হবে।

অতিরিক্ত ব্লাশ ব্যবহার করা যাবে না। ক্রিম ব্লাশ ব্যবহার ত্বককে প্রাকৃতিক গোলাপি আভা দেবে। হালকা গোলাপি, পিচ কালারের ব্লাশ ত্বককে আরো প্রাণবন্ত করে। অনেকে লিপ বা চিক টিন্ট ব্যবহারে বেশি স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করেন। হাইলাইটার ব্যবহারের ফলে ত্বকে ন্যাচারাল গ্লো আসবে। তবে অতিরিক্ত হাইলাইটার ব্যবহার করলে ত্বক বেশি চকচক করবে, যা চোখে লাগবে।  

মেকআপে চোখের সাজ খুব গুরুত্বপূর্ণ। ড্রামাটিকভাবে চোখের সাজ এড়িয়ে চলতে হবে। আই ক্রিজকে সূক্ষ্ম দেখাতে যেকোনো নুড কালারের আইশ্যাডো ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে একাধিক গাড় শেডের আইশ্যাডো, গাড় কালো কাজল, আইলাইনার ব্যবহার না করাই উচিত। চোখের পাতায় মাশকারা এবং চোখকে বড় দেখাতে হোয়াইট কাজল ব্যহার করলে চোখ সুন্দর হয়ে উঠবে।

ঠোঁটে গাঢ় লিপস্টিক ব্যবহার সাজকে অনেক বেশি উগ্র করে তুলতে পারে। তাই ‘নো মেকআপ লুকে’ নুড লিপিস্টিক বা লিপ বাম ব্যবহার করা উচিত। এতে মেকআপ খুবই প্রাকৃতিক লাগবে।

সবশেষে একটি সেটিং স্প্রে ব্যবহার করে মেকআপকে সেট করতে হবে। দীর্ঘ সময় মেকআপ ঠিক রাখতে সেটিং ও ফিক্সিং স্প্রে ব্যবহার অবশ্যই করতে হবে।

বাংলাদেশ সময়: ১৯১৫ ঘণ্টা, এপ্রিল ১১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।