ঢাকা, সোমবার, ৮ পৌষ ১৪৩১, ২৩ ডিসেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যে অভ্যাস আপনার চোখের বারোটা বাজাচ্ছে!

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭০২ ঘণ্টা, মে ১, ২০২৪
যে অভ্যাস আপনার চোখের বারোটা বাজাচ্ছে! ছবি: সংগৃহীত

আমাদের চোখ খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি অঙ্গ। তবে আমাদের কিছু খারাপ অভ্যাসের জন্যই এই বিশেষ অঙ্গটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

তখন চোখের দৃষ্টি হয় ঝাপসা। তাই এই অভ্যাসগুলো আজই দূর করুন। আসুন সেই সব জেনে নেওয়া যাক-

খাদ্যাভ্যাসে ভুলভ্রান্তি:

দৃষ্টি ভালো রাখতে চাইলে খাদ্যাভ্যাস রাখতে হবে দারুণ। কারণ খাবারের মধ্যে এমন কিছু মাইক্রোনিউট্রিয়েন্টস থাকে যা চোখ ভালো রাখে। তবে আমরা সেসবের তোয়াক্কা করি না। খাবার খাওয়ায় থাকে না কোনও মাপ। বাইরের আজেবাজে খেয়ে বাঁচি। যদিও বিজ্ঞান বলছে, চোখ ভালো রাখতে চাইলে ভিটামিন ‘সি, জিঙ্ক, লুটেন, ওমেগা ৩ ফ্যাটি অ্যাসিড, জিয়েক্সানথিন থাকা খাবার বেশি করে খেতে হবে। এক্ষেত্রে মৌসুমি ফল, শাকসবজি বেশি করে খেতে হবে। তবেই চোখ থাকবে ভালো।

প্রোটেকটিভ চশমা না পরা:

বাইরে রয়েছে দূষণ, আর বাড়িতে রয়েছে কম্পিউটার। এই দুই কারণে চোখের ১২টা বাজে। সেক্ষেত্রে আপনার চোখে পরতে হবে প্রোটেকটিভ চশমা। এই ধরনের চশমা চোখে চাপ কম ফেলে।

চোখ রগড়ানো:

আমাদের মধ্যে বহু মানুষ প্রায়ই চোখ রগড়ান। যদিও এভাবে চোখ রগড়ালে আদতে চোখেরই ক্ষতি হতে পারে বলে আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। সেক্ষেত্রে দেখা দেবে সমস্যা। এমনকি লাগতে পারে চোখের অন্দরে আঘাত। তাই চোখ রগড়ানোর অভ্যাস আজই ছাড়ুন।

চোখকে বিশ্রাম না দেওয়া:

চোখের দরকার বিশ্রাম। কারণ এগনাগাড়ে কম্পিটউটার, মোবাইল, টিভির দিকে তাকিয়ে থাকলে আদতে চোখে পড়ে চাপ। হতে পারে চোখে ব্যাথা, জ্বালা, ড্রাই আই ইত্যাদি সমস্যা। তাই এভাবে একনাগাড়ে স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে থাকা যাবে না। বরং একটু চোখের জন্য সময় বের করুন। চোখ বন্ধ রাখুন।

নিয়মিত আই চেকআপ না করা:

সমস্যা থাক না থাক আমাদের প্রত্যেকেরই বছরে অন্তত একবার চক্ষু পরীক্ষা করা দরকার। কারণ চোখের অনেক সমস্যা আমরা হয়তো প্রাথমিকভাবে বুঝতে পারি না। কিন্তু পরীক্ষা করলে সেই সমস্যা ধরা পড়ে এবং সমস্যার চিকিৎসা করা সম্ভব হয়। তাই বছর এক বার চোখের টেস্ট মাস্ট।

বাংলাদেশ সময়: ১৬৫৮ ঘণ্টা, মে ০১, ২০২৪
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।