বর্ষার সময় সর্দি-কাশি, জ্বর লেগেই থাকে। বিভিন্ন রোগ রোগ-জীবাণুর প্রকোপও বাড়ে।
পরিচ্ছন্নতা খুব জরুরি
খাওয়ার আগে অবশ্যই হাত ধুতে হবে। হাতে জীবাণু থেকে গেলে তা থেকেই সংক্রমিত হতে পারেন গর্ভবতী নারীরা। তাই খাওয়ার আগে অন্ততপক্ষে ২০ সেকেন্ড সাবান দিয়ে ভারো করে হাত ধুয়ে নিতে হবে। এমনকি বাথরুমে যাওয়ার পরেও প্রতিবার হাত সাবান দিয়ে ধোয়া উচিত। তবেই নানাবিধ সংক্রমণ এড়িয়ে চলতে পারবেন হবু মায়েরা।
পরিষ্কার জামাকাপড় পরতে হবে
গর্ভাবস্থায় নারীদের নিয়মিত কাচা ও পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন জামাকাপড় পরা উচিত। নয়তো ময়লা জামাকাপড় থেকেও সংক্রমণ হতেই পারে। চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, গরম পানিতেই জামাকাপড় কাচা উচিত এ সময়। সুতির ও ঢিলেঢালা পোশাকই পরুন। এখন অনেক দোকানেই প্রেগন্যান্সি পোশাক পাবেন। না হলে একটু বড় সাইজের ঢিলেঢালা পোশাক কিনুন। তাতেই আরাম পাবেন।
খাওয়া-দাওয়ায় নজর দিন
বর্ষার এ সময়টাতে কাঁচা স্যালাড না খাওয়াই ভালো। রাস্তার পাশের দোকান থেকে ফল, ফলের রস একদম খাবেন না। সব খাবারই অল্প তেলে সহজপাচ্যভাবে রান্না করতে হবে। ভাজাভুজি, স্ন্যাকস এড়িয়ে যাওয়াই ভালো। শাকপাতা খেলে ভালো করে নুন-গরম পানিতে ধুয়ে নেওয়া উচিত। না হলে পেটের রোগ হতে বাধ্য, যা মা ও সন্তানের স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়।
পর্যাপ্ত পানি খান
সারাদিনে অন্তত তিন লিটার পানি খেতে হবে গর্ভবতী মায়েদের। টাটকা ফল, ফলের রস, লস্যি, ডাবের পানি প্রতিদিনকার ডায়েটে থাকা চাই। তবে চা-কফি কম খাওয়াই ভালো। অ্যালকোহল, বেশি মিষ্টি দেওয়া পানীয় খাওয়া ঠিক হবে না। গর্ভাবস্থায় কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যা হয় অনেকের। তাই পর্যাপ্ত পানি না খেলে সমস্যা হতে পারে।
বাড়িঘর পরিচ্ছন্ন রাখুন
গর্ভবতী মায়েরা যে ঘরে থাকছেন সেই ঘরটা নিয়মিত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে। বিছানার চাদর সময়ান্তরে বদলাতে হবে। বাসি খাবার, দূষিত পানি থেকে টাইফয়েড, হেপাটাইটিস-এর ভাইরাস ছড়াতে পারে। তাই সতর্ক থাকতে হবে। কোথাও জমা পানি, নোংরা-আবর্জনা যেন না থাকে। না হলে মশার উপদ্রবও বাড়বে।
বাংলাদেশ সময়: ২১৩৮ ঘণ্টা, জুলাই ০৪, ২০২৪
আরবি