আমাদের দেহের কোষগুলোকে সক্রিয় ও কর্মক্ষম রাখতে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ স্বাভাবিক থাকাটা অত্যন্ত জরুরি। সাধারণত নারীদের রক্তে হিমোগ্লোবিন কম থাকে।
আর গর্ভাবস্থায় এটি প্রকট হয়ে যায়। বিশেষজ্ঞরা অনেক সময় গর্ভবতী নারীকে রক্ত দিতে পরামর্শ দেন। যেন গর্ভের শিশু সুস্থভাবে বেড়ে উঠতে পারে।
এ সম্পর্কে বিস্তারিত জানান, বিশিষ্ট পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী। তিনি বলেন, নারীর শরীরে ১৩ -১৬ মিলিগ্রাম হিমোগ্লোবিন থাকা উচিত।
আমাদের দেশের বেশিরভাগ নারীদের শিশু বয়স থেকেই হিমোগ্লোবিন কম থাকে। তাই এটিকে অনেকেই স্বাভাবিক হিসেবেই দেখে থাকেন।
কিন্তু রক্তে হিমোগ্লোবিন কম হলে
• চেহারা ফ্যাকাশে দেখায়
• ক্লান্তি
• সামান্য পরিশ্রমেই কষ্ট হয়
• খাবারে অরুচি
• মনোযোগের অভাব দেখা দেয়।
তামান্না চৌধুরী বলেন, শরীরের রক্তের চাহিদা পূরণ করতে গর্ভাবস্থায় নিয়মিত কিছু খাবার খেলে উপকার পাওয়া যায়। এর মধ্যে রয়েছে পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী
পুষ্টিবিদ তামান্না চৌধুরী
আয়রন
হিমোগ্লোবিন উৎপাদনে লোহা গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। আয়রন সমৃদ্ধ কিছু খাবার হলো- দেশি সুস্থ মুরগির কলিজা, কচু শাক, লাল মাংস, চিংড়ি, পালংশাক, আমন্ড, বিট খেজুর। আয়রন, ক্যালসিয়াম, কার্বোহাইড্রেট, এবং ফাইবার সমৃদ্ধ বেদানা হিমোগ্লোবিনের ঘাটতি পূরণে সাহায্য করে। প্রতিদিন একটি করে বেদানা খাওয়ার পরামর্শ দেন তিনি।
এছাড়া মধু আয়রনের একটি ভালো উৎস। আয়রন ছাড়াও মধুতে কপার ও ম্যাংগানিজ আছে। এই উপকরণগুলো শরীরে গিয়ে প্রচুর পরিমাণে হিমোগ্লোবিন প্রস্তুত করতে সহায়তা করে। গর্ভাবস্থায় নিয়মিত দুধ, ডিমও খেতে হবে।
ভিটামিন সি
ভিটামিন সি এর অভাবে হিমোগ্লোবিন কমে যেতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন সি ছাড়া আয়রন পুরোপুরিভাবে শোষণ হয় না। আমলকী,
পেঁপে, বাতাবিলেবু, কমলা, লেবু, স্ট্রবেরি, গোলমরিচ, ব্রোকোলি, আঙুর, টমেটো ইত্যাদিতে প্রচুর ভিটামিন সি থাকে।
হিমোগ্লোবিনের পরিমাণ জেনে সে অনুযায়ী খাবার ও ওষুধ গ্রহণের কথাও বলেন তামান্না চৌধুরী।
গর্ভবতী মায়ের খাবার ও বিশ্রামের বিষয়ে শুরু থেকেই পরিবারের সস্যদের লক্ষ্য রাখতে হবে।
বাংলাদেশ সময়: ১১২৫ ঘণ্টা, জুলাই ০৯, ২০২৪
এসআইএস