বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে আমাদের চোখে ও মুখে তার ছাপ পড়ে। অনেকে মুখে বেশ যত্ন নেন কিন্তু গলায় নেন না।
স্ক্রাব
* এক চামচ সি সল্ট ও বেকিং সোডা নিন একটি বাটিতে। এতে ২ চামচ নারিকেল তেল দিয়ে পেস্ট বানিয়ে নিন। এরপর তিন মিনিট আলতো করে ঘষে স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
* এক চামচ জলপাই তেল ও চিনি নিন একটি বাটিতে। তাতে তিন ফোটা লেবুর রস মিশিয়ে তিন মিনিট ধরে স্ক্রাব ব্যবহার করুন।
স্ক্রাবিং সপ্তাহে তিন দিন করলে ঘাড়ের কালো দাগ হালকা হতে থাকবে। স্ক্রাবিংয়ের পর গলায় ও ঘাড়ে ঘরোয়া মাস্ক বা প্যাক লাগাতে হবে।
কিছু ঘরোয়া মাস্ক
* একটি বাটিতে প্রথমে টকদই নেবেন পরিমাণ মতো। তাতে লেবুর রস ও বেসন যোগ করুন। এরপর মধু দিয়ে পেস্ট করুন। সেই পেস্ট গলায়-ঘাড়ে ২০ মিনিট মেখে হালকা গরম পানি দিয়ে ধুয়ে নিন।
* চালের গুঁড়া, আলুর পেস্ট, চন্দন ও লেবুর রস একসঙ্গে মিশিয়ে গলায় ও ঘাড়ে লাগাতে হবে। এটি ২০ মিনিট গলায় ও ঘাড়ে লাগিয়ে আলতো হাতে ঘষে ঘষে মাস্কটি তুলতে হবে। এটি সপ্তাহে তিনবার দিলে দ্রুত উপকার পাবেন।
* টমেটোর পেস্ট এক চামচ ও লেবুর রস ও ১ চা-চামচ মধু একসঙ্গে মিশিয়ে তুলো দিয়ে ঘাড়ে লাগাতে হবে। এটি ন্যাচারাল ব্লিচিংয়ের কাজ করবে। আপনি চাইলে এটি গোসলের আগে প্রতিদিন দিতে পারেন।
যেকোনো মাস্ক বা প্যাক দেওয়ার পর অবশ্যই আপনার ত্বকে ময়েশ্চারাইজার লাগাতে হবে। বাজারের যেকোনো ভালো ব্র্যান্ডের ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করা যেতে পারে, তবে ভিটামিন-ই সমৃদ্ধ হলে বেশি ভালো। আপনি চাইলে ঘরেও বানিয়ে নিতে পারে ময়েশ্চারাইজার।
ঘরে বানানো ময়েশ্চারাইজার
* অ্যালোভেরা জেল এক চামচ ও ভিটামিন ‘ই-ক্যাপ দুইটি, এক চামচ কাঠবাদাম তেল ভালোভাবে মিশিয়ে তৈরি করে নিন ময়েশ্চারাইজার। রোজ রাতে ঘুমানোর ২০ মিনিট আগে এই ময়েশ্চারাইজার লাগিয়ে নিতে হবে।
এভাবে যত্ন নিলে আপনার গলা বা ঘাড়ের কালচে ভাব এক মাসের মধ্যে চলে যাবে। বাইরে প্রচুর ধুলাবালি, এজন্য মসৃণ সুন্দর দাগহীন ঘাড় পেতে শুধু বাহ্যিক যত্নই নয়, নিজেকে সব সময় হাইড্রেট রাখুন। এজন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন এবং মৌসুমি ফল খান। ত্বককে সুস্থ রাখতে দরকার পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম। গলায় বা ঘাড়ে ময়েশ্চারাইজার বা ক্রিম লাগানোর সময় নিচে থেকে ওপরের দিকে আলতো হাতে মালিশ করবেন। এতে করে গলায় ভাঁজ বা বলিরেখা পড়বে না।
বাংলাদেশ সময়: ১৬১৭ ঘণ্টা, জুলাই ১৪, ২০২৪
এএটি