শুধু নারী নন, পুরুষদের সৌন্দর্যও নির্ভর করে সুন্দর চুলে। সাধারণত নারীর চেয়ে পুরুষদের মধ্যে চুল ও টাক পড়ে যাওয়া প্রবণতা বেশি।
যদি দেখা যায়, বিছানা-বালিশ বা যেকোনো জায়গাতেই চুল পড়ে থাকছে, তা হলে সতর্ক হতে হবে। টাক পড়ে গেলে নতুন করে চুল গজানো সহজ নয়। বরং চুল ঝরার সময় একটু যত্ন করলে সমস্যার সমাধান হতে পারে। চুল ঝরা বন্ধ করতে প্রাথমিকভাবে তিন ধরনের ভেষজ তেল মাখতে পারেন।
তেল মাসাজের উপকারিতা
হালকা গরম তেল মালিশ করলে মাথার তালুতে রক্ত সঞ্চালন ভালো হয়। চুলের গোড়া মজবুত হয়। তবে তেল মাসাজ মানে চুলে তেল ঘষাঘষি নয়। বরং চুলের গোড়ায় আঙুলের ডগা দিয়ে তেল লাগিয়ে একেবারে হালকা মাসাজ। বিশেষত চুল বেশি ঝরলে একেবারেই চাপ দিয়ে বা দীর্ঘক্ষণ মাসাজ করা যাবে না।
আমলকি তেল
আমলকিতে রয়েছে কোলাজেন। রয়েছে ভিটামিন ‘ই’। যা চুলে পুষ্টি জোগায়। মাথার ত্বকের আর্দ্রতাও বজায় রাখতে সাহায্য করে। খুশকির সমস্যা থেকে রেহাই পেতে তাই আমলকিতে ভরসা রাখাই যায়।
কীভাবে বানাবেন?
আমলকি ছোট ছোট টুকরো করে কেটে নারিকেল তেলের সঙ্গে মিশিয়ে হালকা আঁচে গরম করে নিন। নিয়মিত এই তেল মাথায় মাখলে চুল পুষ্টি পাবে। চুল ঝরার সমস্যা কমবে।
ভৃঙ্গরাজ তেল
চুল পড়া কমাতে, গোড়া মজবুত করে নতুন চুল গজাতে, খুশকি সারাতে ভৃঙ্গরাজ তেল কার্যকর হতে পারে। এই ভেষজ তেলের বহু উপকার। চুলে পুষ্টি জোগাতেও সাহায্য করে তেলটি।
কীভাবে বানাবেন?
ভৃঙ্গরাজ পাতার রস বের করুন। এরপর নারিকেল তেলের সঙ্গে ফুটিয়ে নিন। তবে কম আঁচে তেল গরম করতে হবে। না হলে গুণ চলে যাবে। তেলের মিশ্রণটি পরিষ্কার কাচের পাত্রে সংরক্ষণ করুন। এটি মাখলে চুল পড়ার সমস্যা দূর হবে।
আমন্ড অয়েল
ভিটামিন বি, কে ও ই সমৃদ্ধ হালকা এই তেলের চুলের জন্য খুব উপকারী। এতে থাকা ভিটামিন বি৭ চুলে পুষ্টি জোগায় ও চুল ঝরা কমাতে সাহায্য করে। পাশাপাশি, চুলের বাড়াতেও সাহায্য করে এই তেল।
এই তেল তৈরি করা বেশ ঝক্কির। যেকোনো ভালো সংস্থার বাজারচলতি আমন্ড অয়েল ব্যবহার করতে পারেন।
বাংলাদেশ সময়: ১০০৪ ঘণ্টা, আগস্ট ১৩, ২০২৪
এএটি