ঢাকা: আজ ১০ সেপ্টেম্বর, বিশ্ব আত্মহত্যা প্রতিরোধ দিবস। সারাবিশ্বের মতো বাংলাদেশেও আত্মহত্যার হার দিন দিন বেড়েই চলেছে।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি গবেষণাপত্রের তথ্য অনুযায়ী, বাংলাদেশে প্রতিদিন গড়ে ৩২ জন মানুষ আত্মহত্যা করে থাকেন (সূত্র- দৈনিক ইত্তেফাক, ৯ সেপ্টেম্বর, ২০২৩)।
কোনো মানুষ যদি অসুস্থ না হোন তবে কখনোই তিনি আত্মহননের চিন্তা বা এই কাজ করতে পারেন না। নির্দিষ্ট করে বলা বেশ কঠিন যে কে, কখন, কীভাবে আত্মহত্যার মতো ঘটনা ঘটাতে পারেন। কিন্তু আমরা যদি খুব ভালোভাবে খেয়াল করি-এমন ভাবনার ব্যক্তিদের কথাবার্তা বা আচরণগত গতিবিধির পরিবর্তন বেশ লক্ষণীয়।
কীভাবে বুঝবেন যে আপনার কাছের মানুষটি আত্মহত্যার কথা ভাবছেন-
১. কারণে-অকারণে প্রায়ই মৃত্যুর কথা বলতে থাকা।
২.নিজের সকল ইচ্ছা, আকাঙ্ক্ষা কমে যেতে থাকে।
৩.সকল নেতিবাচক ঘটনার জন্য নিজেকে দায়ী করা।
৪. সব সময় হতাশাগ্রস্ত থাকা।
৫. বেঁচে থাকার উদ্দেশ্য খুঁজে না পাওয়া।
৬. সামাজিক যোগাযোগর মাধ্যমে এমন হতাশার পোস্ট দেওয়া, যেগুলো থেকে বোঝা যায় মানসিকভাবে তিনি ভালো নেই।
৭. খারাপ সময়ে পারিবারিক বা সামাজিকভাবে সহমর্মিতা না পেয়ে বরং হেয়প্রতিপন্ন হওয়া।
৮. হঠাৎ খুব বেশি হাইপার অ্যাক্টিভ হওয়া বা একেবারেই চুপচাপ হয়ে যাওয়া।
৯. চরম অনুতপ্ত হওয়া ও একাকিত্বে ভোগা থেকেও আত্মহননের ভাবনা মাথায় আসতে পারে।
এ বিষয়গুলো কারো মধ্যে খুঁজে পেলে অবশ্যই সেই মানুষটার কথাগুলো মনোযোগ দিয়ে শুনবেন ও সহমর্মিতা জানাবেন। প্রয়োজনে প্রফেশনাল মনোবিজ্ঞানী বা মনরোগ বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিতে উৎসাহিত করবেন।
এখনই হয়তো আমরা আত্মহত্যার হার শূন্যে নামিয়ে আনতে পারবো না; তবে কাছের মানুষদের একটু সহযোগিতা, সহমর্মিতা এই সমস্যাকে অনেকটাই কমিয়ে আনতে পারে।
লেখা: রোকনুজ্জামান খান
মেন্টাল হেল্থ কো-অর্ডিনেটর
ফ্রেন্ডশিপ (এনজিও)
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪৩ ঘণ্টা, সেপ্টেম্বর ১০, ২০২৪
এসআইএস