শীত মৌসুম মানে উৎসবের ধুম। শীতে ঘুরে বেড়ানো অনেকের শখ।
* পিকনিক হোক বা বিয়েবাড়ির পার্টি হোক রোদের তাপে, ধুলোয় রঙিন চুলের ক্ষতি হতেই পারে। সেই কারণে ব্যবহার করতে পারেন টুপি । ঠান্ডা জাঁকিয়ে পড়লে বা পাহাড়ি এলাকায় বেড়াতে গেলে রংবাহারি উলের টুপি বেশ মানাবে। কম ঠান্ডার জায়গায় ডেনিম বা সুতির কাপড়ের ‘ক্যাপ’ জিন্স, টপের সঙ্গে মানানসই লাগবে।
* রং করা চুল দিনভর খুলে না রেখে খোলা জায়গায় ঘোরাঘুরির সময় বেঁধেও নিতে পারেন। ক্লিপ বা ববি পিন দিয়ে চুলের উপরিভাগের অংশ কায়দা করে আটকে নিলেও বেশ মানাবে।
* ডগা ফাটার সমস্যা থাকলে নিয়মিত চুল ছেঁটে নেওয়া জরুরি। চুল ছাঁটা আর কাটা কিন্তু এক নয়। চুলের ডগা ফেটে গেলে, সেই অংশটুকু কাঁচির সাহায্যে কেটে নিতে হবে।
* এই সময়ে বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কম থাকায় চুল শুষ্ক হয়ে পড়ে। তাই গরম পানি দিয়ে কেশরাশি পরিষ্কার করালে সমস্যা আরও বাড়বে।
* রং বেশি দিন ধরে রাখতে হলে উপযুক্ত শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে চুলের জন্য। রং করা চুলের জন্য বিশেষ ধরনের শ্যাম্পু পাওয়া যায়।
* রঙে রাসায়নিক থাকে। তার প্রভাবে চুল অনেক সময় রুক্ষ হয়ে যায়। ফলে শ্যাম্পুর পর ভালো মানের কন্ডিশনার ব্যবহার করা জরুরি।
* গোসলের পর হেয়ার ড্রায়ার বা চুল শুকোনোর বৈদ্যুতিক যন্ত্র ব্যবহার না করাই ভালো। এতে চুলের ক্ষতি হতে পারে।
* চুলে হট ওয়েল ম্যাসেজ করুন। প্রয়োজনে কয়েক প্রকার তেল একসঙ্গে মিশিয়ে নিন। ভিটামিন এ ক্যাপসুলও মিশিয়ে নিতে পারেন তেলের সঙ্গে।
* চুলে ব্রাশ বা চিরুনি ব্যবহারের সময় খুব আলতোভাবে ব্যবহার করুন। এতে করে চুল সহজে ছিঁড়বে না।
* চুলে কালার করার পর তিনদিন চেষ্টা করুন চুল না ভেজানোর। এতে করে চুলের কালার উঠে যাওয়ার বেশি ভয় থাকে না।
* স্ট্রেটনার, কার্লার ঘন ঘন ব্যবহার করলেও রং দ্রুত হালকা হয়ে যেতে পারে।
* মাসে একবার পার্লারে গিয়ে রঙিন চুলের ট্রিটমেন্ট করাতে পারলে দীর্ঘদিন রং ও চুল সুন্দর থাকে।
বাংলাদেশ সময়: ০৯৩৩ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ৩০, ২০২৪
এএটি