ঢাকা, বুধবার, ২৩ পৌষ ১৪৩১, ০৮ জানুয়ারি ২০২৫, ০৭ রজব ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

যা করলে রাতের ঘুম হবে গভীর

লাইফস্টাইল ডেস্ক  | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ৬, ২০২৫
যা করলে রাতের ঘুম হবে গভীর সংগৃহীত ছবি।

সুস্থ জীবনের জন্য প্রতিটি মানুষের ভালো ঘুম অত্যন্ত জরুরি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একজন পূর্ণবয়স্ক মানুষের দৈনিক অন্তত ৭ থেকে ৮ ঘণ্টা নিরবচ্ছিন্ন ঘুমের প্রয়োজন।

সেটা না হলেই, কিংবা অনিদ্রার সমস্যায় ভুগলে শরীরে হাজারো সমস্যা দেখা দেবে।

দেহের জৈবিক ঘড়িকে ঠিক রাখতে রাত ৮টায় ঘুমানোর এবং ভোর চারটায় ঘুম থেকে ওঠার পরামর্শ দিচ্ছেন বিশেষজ্ঞরা। অর্থাৎ ৮ ঘণ্টা। এতে সার্বিক স্বাস্থ্য উন্নত হয়।

রাতে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম জরুরি কেন

ঘুমের মান উন্নত হয়

দেহের জৈবিক ঘড়ি যদি প্রকৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে চলে, তা হলে লাভ শরীরেরই। রাত হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঘুমিয়ে পড়লে, ঘুম খুব ভালো হয়। ঘুম গাঢ় হয়। ঘুমের বিভিন্ন পর্যায় রয়েছে, এর মধ্যে একটি হলো ‘র‍্যাপিড আই মুভমেন্ট’ বা ‘আরইএম’। এই সময় চোখের পাতা দ্রুত কাঁপতে থাকে এবং ঘুম পাতলা হয়ে আসে। সঠিক সময় ঘুমালে এবং ঘুম থেকে উঠলে এই ‘আরইএম’ও ঠিকঠাক হয়। এটি মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।

এনার্জি লেভেল বাড়ে

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে, সারাদিন কাজের এনার্জি পাবেন না। ঘুমে চোখ ঢুলতে থাকবে। দিনে ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম শরীরের কোষগুলোকে পুনরুজ্জীবিত করতে সাহায্য করে। আপনি যতক্ষণ ঘুমাচ্ছেন, তার মধ্যে শরীরে পুনরুজ্জীবিত হয়। এর জেরে সকালে আপনি ঘুম থেকে উঠে ফ্রেশ ফিল করেন এবং সারাদিন এনার্জিতে ভরপুর থাকেন।  

হরমোনের ভারসাম্য

রাতে ঠিকমতো ঘুম না হলে দেহে কর্টিসল হরমোনের (স্ট্রেস হরমোন) মাত্রা বাড়তে থাকে। এর জেরে শরীরে স্ট্রেস বাড়ে। দীর্ঘদিন ধরে মানসিক চাপে ভুগলে মানসিক অবসাদও বাড়ে। এটি স্বাস্থ্যের জন্য মোটেই ভালো নয়। দেহের প্রতিটা হরমোনের নিজস্ব কাজ রয়েছে। কিন্তু তার জন্য দেহে হরমোনের ভারসাম্য বজায় রাখা দরকার। এই কাজটা ঘুমের মধ্যে ঘটে। যে কারণে পর্যাপ্ত পরিমাণ ঘুম না হলে, ডায়াবেটিস, ডিপ্রেশনের মতো নানা হরমোনজনিত সমস্যা দেখা দেয়।

মেটাবলিজম উন্নত করে

শুধু ডায়েট ও যোগব্যায়াম করে রোগা হওয়া যায় না। দেহের ওজনকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে হলে বিপাক হারকে ঠিক রাখা দরকার। বিপাক ক্রিয়া যাতে ঠিকমতো কাজ করে তার জন্যও ঘুম দরকার। ৭-৮ ঘণ্টার ঘুম মেটাবলিক প্রক্রিয়াকে উন্নত করে। হজমজনিত সমস্যা কমায়। অ্যাসিড রিফ্লাক্স, ব্লোটিংয়ের সমস্যা দূর করে।  

যা করলে রাতের ঘুম হবে গভীর

* ঘুমাতে যাওয়ার সময় ফোন নিয়ে বিছানায় যাবেন না। চেষ্টা করুন ঘুমানো ও ঘুম থেকে ওঠার সময়কে ঠিক রাখতে। এতে দেহের জৈবিক ঘড়িও স্বাভাবিক থাকে।  

* বিকেলের পর ক্যাফেইন জাতীয় পানীয় (চা-কফি) এড়িয়ে চলুন। এমনকি ভারী খাবার খাবেন না, শরীরচর্চাও করবেন না। বই পড়তে পারেন, মেডিটেশন করতে পারেন। পাশাপাশি গান শুনতে পারেন।

বাংলাদেশ সময়: ১৯৫৩ ঘণ্টা, জানুয়ারি ০৬, ২০২৫
এএটি

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।