নারী-পুরুষ উভয়ই ইউরিন ইনফেকশনে আক্রান্ত হতে পারেন। এ সমস্যায় নারীরা বেশি ভোগেন।
যেসব লক্ষণে বুঝবেন আপনি ‘ইউরিন ইনফেকশন’
জ্বালাপোড়া, ঘন ঘন প্রস্রাবের বেগ পাওয়া, ইউরিনের রং পরিবর্তন, ইউরিনের সঙ্গে রক্ত যাওয়া, দুর্গন্ধযুক্ত ইউরিন, গোপনাঙ্গে ব্যথা, মলদ্বারে ব্যথা।
যেভাবে ইউরিন ইনফেকশন রোধে খাদ্য নির্বাচন করবেন
যেকোনো রোগে পথ্য নির্বাচনের ক্ষেত্রে যে দুটি বিষয় বিবেচনা করতে হবে, তা হলো—
* প্রতিরোধ
*প্রতিকার বা আরোগ্য লাভ করা।
সুতরাং ইউরিন ইনফেকশনে ক্ষেত্রে প্রথমেই দরকার প্রতিরোধব্যবস্থা গ্রহণ করা। প্রথমেই যেসব কারণে প্রস্রাবে প্রদাহ দেখা দেয়, তা বর্জন করুন, স্বাস্থ্যকর জীবনযাত্রা মেনে চলুন। বেশি করে পানি, ফল, ফলের রস পান করুন। খাবার প্লেটে রাখুন পর্যাপ্ত আঁশজাতীয় খাবার, যা শরীরে পানি আটকে রাখতে সহায়তা করবে।
যা করতে হবে
কখনোই বেশি সময় ধরে প্রস্রাব আটকে রাখবেন না। তা ছেলেই হোক বা মেয়ে। বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে স্কুলের টাইমেও বাথরুমে যাওয়ার জন্য উৎসাহিত করুন। প্রয়োজনে স্কুলের শিক্ষকদের সহায়তায় বাচ্চাদের বাথরুম পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখার প্রয়োজনীয়তা নিয়ে আলোচনা করুন। প্রস্রাবে ইনফেকশন প্রতিরোধে কিশোরীদের ক্ষেত্রে লজ্জা ভেঙে নিয়মিত ও সময়মতো ইউরিন পাস করার অভ্যাস গড়ে তোলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
যাদের ঘন ঘন প্রস্রাবে ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা রয়েছে, তারা দৈনিক অন্তত তিন লিটার পানি পান করুন। এর মধ্যে অবশ্যই লেবুর পানি, ডাবের পানি বা গ্লুকোজ ওয়াটার রাখুন। বিশেষ করে প্রস্রাব হলুদ হওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই পানি খাওয়ার পরিমাণ আরও বাড়াবেন।
প্রতিদিন খাদ্যতালিকায় ভিটামিন ‘সি’ জাতীয় খাবার রাখুন। যেমন— লেবুর পানি, কমলা বা মাল্টার রস। কেননা ভিটামিন ‘সি’ ব্যাকটেরিয়া ধ্বংস করে মূত্রনালি ভালো রাখে এবং প্রস্রাবের জ্বালা ভাবও কমায়।
খাদ্যতালিকায় নিয়মিত রাখুন আনারস। এতে আছে ‘ব্রোমেলাইন’ নামের উপকারী এনজাইম, যা ইউটিআই থেকে প্রতিরোধ ও প্রতিকার দুটিই দেবে আপনাকে। কিন্তু গর্ভাবস্থায় আনারস খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। আর যাদের ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন হওয়ার প্রবণতা থাকে, তারা হাই অক্সালিক এসিডসমৃদ্ধ খাবার খাওয়া এড়িয়ে চলবেন। যেমন—কামরাঙা। ঘন ঘন ইউরিন ইনফেকশন কিডনির সুস্থভাবে কাজ করার পরিপন্থী। তাই পর্যাপ্ত পানি খাবেন, সুস্থ থাকবেন।
খেতে হবে যা
বাংলাদেশ সময়: ১৫০২ ঘণ্টা, জানুয়ারি ২৯, ২০২৫
এএটি