খুব কম মানুষ পাওয়া যাবে, যাদের জীবনে কখনো মাথাব্যথা হয়নি। মাথাব্যথা অল্প থেকে তীব্র পর্যায়ে হতে পারে।
অধিকাংশ মাথাব্যথাই মারাত্মক কিছু নয়। তবে কিছু কিছু মাথাব্যথা মারাত্মক রোগের লক্ষণ হিসেবে আসতে পারে।
মাথাব্যথার প্রকারভেদ
দুই শতাধিক ধরনের মাথাব্যথা হতে পারে। তবে মোটামুটি মাথাব্যথাকে দুইভাগে ভাগ করা যায়।
প্রাইমারি— যা মারাত্মক নয়। এই পর্যায়ের মাথাব্যথায় আছে, মাইগ্রেনের ব্যথা। টেনশনজনিত মাথাব্যথা।
সেকেন্ডারি— যা মারাত্মক হয়ে থাকে। এ পর্যায়ে রয়েছে, মস্তিষ্কের প্রদাহ। মস্তিষ্কের টিউমার। মস্তিষ্কে রক্তক্ষরণ।
অধিকাংশ ক্ষেত্রেই মাথাব্যথা মারাত্মক কোনো রোগকে নির্দেশ করে না। কিন্তু কম পরিমাণ হলেও খারাপ মাথাব্যথার ধরন আমাদের জেনে রাখা উচিত। কারণ পরিষ্কারভাবে মাথাব্যথা ঝুঁকিমুক্ত না। নিশ্চিতভাবে ঝুঁকিমুক্ত কোনটি তা নির্ণয় করা কঠিন। তারপরও মাথাব্যথার কিছু কিছু বৈশিষ্ট্য ইঙ্গিত করে মারাত্মক কিছুর।
কখন বুঝবেন মাথাব্যথা কম ঝুঁকিপূর্ণ
* বয়স ৩০ এর কম হলে।
* একই ধরনের মাথাব্যথা বারবার হলে।
* কোনো ঝুঁকিপূর্ণ রোগের ইতিহাস না থাকলে। যেমন এইচআইভি
* মাথাব্যথার সাথে অন্য কোনো স্নায়ুবিক দুর্বলতা— (যেমন হাত, পা অবশ হয়ে যাওয়া) না থাকলে।
কখন বুঝবেন মাথাব্যথা বেশি ঝুঁকিপূর্ণ
* মাথাব্যথার সাথে জ্বর বা শরীরের ওজন কমে যাওয়া।
* আগে থেকেই কোনো রোগ যেমন এইডস, মস্তিষ্কের প্রদাহ থাকলে।
* মাথাব্যথা ৪০ বছরের পর থেকে শুরু হলে।
* মাথাব্যথার সাথে স্নায়ুবিক দুর্বলতা থাকলে।
* হঠাৎ নতুনভাবে মাথাব্যথা শুরু হলে।
* মাথাব্যথার সাথে এসব ঝুঁকিপূর্ণ আলামত থাকলে দ্রুত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হোন।
মাথাব্যথা প্রতিরোধের উপায়
* মাসাজ করা। গবেষণায় দেখা গেছে, সপ্তাহে যারা ৪৫ মিনিট শরীর মাসাজ করে তাদের মাথাব্যথা যারা মাসাজ করে না তাদের চেয়ে কম হয়। শরীর মাসাজ করলে চর্বিযুক্ত মাংসে পেশিগুলো হালকা হয় যাতে করে মাথাব্যথা কম হয়।
* গভীরভাবে শ্বাস নিন। বুক ভরে শ্বাস নিন। এবং এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত গুণে ভেতরে বাতাস ঢুকান। আবার এক থেকে পাঁচ পর্যন্ত গুণে শ্বাস ছাড়ুন।
* নিয়মিত গান শুনুন। গান আপনার মনকে প্রফুল্ল রাখবে এবং মাথাব্যথার প্রবণতা কমে যাবে।
* নিয়মিত শরীরচর্চা বা ব্যায়াম করুন। এটা হতে পারে জগিং, সাঁতার, সাইক্লিং বা নাচ।
বাংলাদেশ সময়: ১৫৪১ ঘণ্টা, এপ্রিল ২১, ২০২৫
এএটি