ঢাকা, মঙ্গলবার, ১৭ আষাঢ় ১৪৩২, ০১ জুলাই ২০২৫, ০৫ মহররম ১৪৪৭

লাইফস্টাইল

চাপ কমাবে প্রযুক্তি থেকে বিরতি 

নিউজ ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬:৪৭, মে ১৫, ২০২৫
চাপ কমাবে প্রযুক্তি থেকে বিরতি 

বর্তমান যুগে প্রযুক্তি আমাদের জীবনের এক অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। তবে, প্রযুক্তির অতিরিক্ত ব্যবহার আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যে নানা রকম নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে পারে।

বিশেষ করে, স্মার্টফোন, সোশ্যাল মিডিয়া, ল্যাপটপের মাধ্যমে আমাদের মধ্যে তৈরি হচ্ছে অতিরিক্ত উদ্বেগ, চাপ এবং মানসিক অস্থিরতা। তাই, এই চাপ থেকে মুক্তি পেতে ডিজিটাল ডিটক্স বা প্রযুক্তি থেকে বিরতি নেওয়া একটি অত্যন্ত কার্যকরী উপায় হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

ডিজিটাল ডিটক্সের মাধ্যমে আমরা নির্দিষ্ট সময়ের জন্য প্রযুক্তি ব্যবহার বন্ধ বা সীমিত করি। এর মানে হলো, আমাদের ফোন, কম্পিউটার বা সোশ্যাল মিডিয়া অ্যাপ্লিকেশনগুলোকে কিছু সময়ের জন্য অকার্যকর করে রাখা। এটি আমাদের মস্তিষ্ক এবং শরীরকে আবার নতুন করে সজীব করতে সহায়তা করে। ডিজিটাল ডিটক্সের মাধ্যমে আমরা প্রযুক্তির দুনিয়া থেকে বেরিয়ে এসে আমাদের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে মনোযোগ দিতে পারি।

ডিজিটাল ডিটক্সের শারীরিক উপকারিতা অনেক। দীর্ঘ সময় স্ক্রিনের সামনে বসে থাকা আমাদের চোখে সমস্যা, ঘাড়ের ব্যথা এবং শারীরিক দুর্বলতা সৃষ্টি করতে পারে। অতিরিক্ত প্রযুক্তি ব্যবহারে অ্যালার্জি, মাথাব্যথা এবং ঘুমের সমস্যা বৃদ্ধি পেতে পারে। তবে, ডিজিটাল ডিটক্স আমাদের এই সমস্যাগুলো থেকে মুক্তি পেতে সাহায্য করে। যখন আমরা প্রযুক্তি থেকে বিরতি নিই, তখন শরীরকে বিশ্রাম দিতে পারি এবং নতুন করে শক্তি অর্জন করতে পারি।

মানসিক শান্তির জন্যও ডিজিটাল ডিটক্স অপরিহার্য। আমাদের জীবনের প্রতিদিনের ধকল, সোশ্যাল মিডিয়ার নিরন্তর আপডেট এবং অনলাইন প্রেশার আমাদের মধ্যে উদ্বেগ, হতাশা এবং মানসিক চাপ তৈরি করে। ডিজিটাল ডিটক্সে সময় কাটানোর মাধ্যমে আমরা এই মানসিক চাপ কমিয়ে আনতে পারি এবং শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যের মধ্যে ভারসাম্য প্রতিষ্ঠা করতে পারি। এতে আমাদের মনোযোগ বাড়ে এবং সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায়।

পারিবারিক এবং সামাজিক সম্পর্কের ক্ষেত্রেও ডিজিটাল ডিটক্স খুবই গুরুত্বপূর্ণ। প্রযুক্তি ব্যবহারের ফলে অনেক সময় আমরা পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে বাস্তবিকভাবে যোগাযোগের সময় পাই না। সোশ্যাল মিডিয়া এবং প্রযুক্তি থেকে কিছু সময় বিরতি নেওয়ার মাধ্যমে আমরা পরিবার, বন্ধু-বান্ধব এবং প্রিয়জনদের সঙ্গে সরাসরি সম্পর্ক গড়ে তুলতে পারি। এতে সম্পর্ক আরও গভীর ও আন্তরিক হয়।

ডিজিটাল ডিটক্স শুরু করা খুব সহজ। প্রথমে দিনে এক বা দুই ঘণ্টা প্রযুক্তি ব্যবহার বন্ধ রাখার চেষ্টা করুন। তারপর ধীরে ধীরে সময় বাড়ান। সপ্তাহে একদিন পুরোপুরি ফোন বা কম্পিউটার ছাড়া দিন কাটানোর চেষ্টা করুন।  

সবশেষে, বলা যায় যে, ডিজিটাল ডিটক্স আমাদের জীবনকে আরও পরিপূর্ণ ও সুস্থ করে তুলতে পারে। প্রযুক্তির দুনিয়া থেকে কিছু সময়ের জন্য বিরতি নেওয়া আমাদের জীবনের মান বৃদ্ধি করতে সহায়তা করে। তাই, প্রযুক্তি থেকে বিরতি নেওয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা আমাদের শারীরিক এবং মানসিক স্বাস্থ্যকে উন্নত করতে পারে।  

এসআইএস

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।