ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৪ পৌষ ১৪৩১, ১৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

বিশ্বকাপ ক্রিকেটের আনন্দ আমেজে অনুষ্ঠিত ত্রিদেশীয় কনসার্ট

বিপুল হাসান | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০০১১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ২৭, ২০১১

বলিউডের সেলিব্রিটি মিউজিশিয়ন প্রিতমের আদিবাড়ী চট্রগ্রাম, সুপারস্টার অক্ষয় কুমার ২৭ বছর আগে ঢাকার হোটেল পূর্বানীতে কাজ করতে এসেছিলেন আর ১০ বছর পর সুপারহিরো সালমান খানের এবার ঢাকা এসে মনে হয়েছে এ শহর মুম্বাইয়ের চাইতেও সুন্দর। পারর্ফেন্সের ফাঁকে ফাঁকে বলিউডের জনপ্রিয় শিল্পীদের এরকম মজার মজার মন্তব্য আনন্দের খোরাক দিয়েছে ‘ট্রাইনেশন বিগ শো’ দেখতে আসা হাজার হাজার দর্শককে।



বিশ্বকাপ ক্রিকেট উপলে ২৪ ফেব্রুয়ারি বৃহস্পতিবার সন্ধায় অনুষ্ঠিত হলো স্বাগতিক তিন দেশ ভারত, শ্রীলঙ্কা ও বাংলাদেশের শিল্পীদের অংশগ্রহণে ‘ট্রাইনেশন বিগ শো’। বিকেল ৫টা থেকে কনসার্ট শুরু হওয়ার কথা থাকলেও অগোছালো ব্যবস্থাপনার মধ্য দিয়ে সন্ধা ৭টায় অনুষ্ঠান শুরু হয়। পুরো অনুষ্ঠান সরাসরি সম্প্রচার করা হয় এটিএন বাংলা ও বৈশাখী টেলিভিশনে।

কনসার্টের প্রথমেই ছিল দেশীয় শিল্পীদের পরিবেশনা। বিশ্বকাপ ক্রিকেট নিয়ে শুভ্রদেবের গাওয়া থিমসঙ দিয়ে আরম্ভ হয় জাঁকজমকপূর্ণ এই আয়োজন। এরপর একে একে গান পরিবেশন করেন শিল্পী ফরিদা পারভীন, কিরণ চন্দ্র রায়, চন্দনা মজুমদার ও ইভা রহমান। নৃত্য পরিবেশন করেন নাদিয়া ও লিখন। ঢালিউডের জনপ্রিয় নায়ক শাকিব খানের নৃত্য ছিল এই পর্বের অন্যতম আকর্ষণ। তার সঙ্গে পারফর্ম করেন চার নায়িকা মিম, শখ, বিন্দু ও তিন্নি। ফ্যাশন প্যারেডের মধ্য দিয়ে শেষ হয় বাংলাদেশের শিল্পীদের পরিবেশনার পালা। এরপর মঞ্চে আসে শ্যশ্রীলংকা থেকে আসা দুটি ব্যান্ড। তারা সিংহলী, তামিল ও ইংরেজিতে পরিবেশন করেন বেশ কটি গান।

বলিউডের শিল্পীরা যখন মঞ্চে উঠে, তখন ঘড়ির কাটা রাত সাড়ে নয়টা ছড়িয়ে গেছে। ততোক্ষণে পুরো স্টেডিয়ামে ছড়িয়ে পড়েছে বিশৃঙ্খলা। সকল বেস্টনি ভেঙে দর্শকেরা কে কার আগে বসবে তাই নিয়ে চলে হুড়োহুড়ি। এ সময় নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা প্রশাসনের কর্মীরা পালন করেন দর্শকের ভূমিকা। দর্শকদের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে তারা সামনে বসার প্রতিযোগিতায় অবতীর্ণ হয়।

বলিউড স্টার আনুশকা শর্মার পারফর্মেন্সের মাধ্যমে শুরু হয় ভারতীয় শিল্পীদের পরিবেশনা। মিউজিশয়ন প্রিতম তার ব্যান্ড নিয়ে ‘আমি বাংলায় গান গাই’ গানটি গেয়ে দর্শকদের আনন্দ দেন। প্রিতমের কয়েকটি গান পরিবেশনার পর মঞ্চে আসেন বলিউডের এই সময়ের শীর্ষ নায়িকা ক্যাটরিনা কাইফ। সঙ্গীসাথী নিয়ে তার পারফর্মেন্স ছিল বেশ সাদামাটা। নাটকীয় ভঙ্গিতে ক্রেন থেকে লাফিয়ে মঞ্চে এসে বলিউড স্টার অক্ষয়কুমার উপহার দেন অনুষ্ঠানের সবচেয়ে জমজমাটপর্ব। পারফর্মেন্সের পাশাপাশি দর্শকদের নিয়ে তার কথোপকথন জমিয়ে তোলে অনুষ্ঠান। আনুশকা শর্মার সঙ্গে তার যুগল পরিবেশনাও ছিল আকর্ষণীয়।

‘সল্লু’ খ্যাত বলিউড সুপারস্টার সালমান খান দর্শকদের দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান করে মঞ্চে আসেন রাত প্রায় সাড়ে ১১টায়। তার স্বল্প সময়ের উপস্থিতিতে মন ভরেনি উপস্থিত দর্শকদের। একটি পারফর্মেন্সের পর পরই তিনি দর্শকদের উদ্দেশে বলেন, আমি শুটিং শেষ করে ব্যাংকক থেকে ঢাকায় এসেছি। এবার ঢাকা থেকে নিজ বাড়ি ব্যাঙ্গলোরে ফিরবো। আপনারাও যার যার বাড়ি ফিরে যান।

ট্রাই-নেশন বিগ শো যখন শেষ হয়, তখন ঘড়ির কাটায় রাত ১২টা। শো শেষে বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়াম জুড়ে শুরু হয় মনমাতানো আতশবাজি। বাড়ি ফেরার পথ ধরা দর্শকদের অনেকেই সে সময় বলাবলি করছিলেন, কনসার্টের চেয়ে আকাশ জুড়ে আতশবাজির আলোর নাচন-ই ছিল ‘ট্রাই-নেশন বিগ শো’-র আকর্ষণীয় পর্ব।

বাংলাদেশ সময় ০২১৮, ফেব্রুয়ারি ২৫,২০১১

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।