ঢাকা, সোমবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৯ জুলাই ২০২৪, ২২ মহররম ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

আরেক বিস্ময়

আশরাফুল আলম | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫১৬ ঘণ্টা, জুন ১৮, ২০১২
আরেক বিস্ময়

চিকিৎসা বিজ্ঞানে গাছের ব্যবহার সম্পর্কে আমরা কম-বেশি সবাই জানি। পৃথিবীর বিভিন্ন দেশ এখনও চিকিৎসার কাজে গাছকে ব্যবহার করে আসছে।

কিন্তু ঔষধি গুণাগুণ সম্পন্ন গমের চারার কথা আমরা অনেকেই জানি না।

পৃথিবীর অনেক দেশে সর্ব রোগের দাওয়াই এবং ভিটামিন ও মিনারেল সমৃদ্ধ কচি গমের চারার জুস ব্যবহৃত হলেও আমাদের দেশে এই প্রথম এটির উন্নয়ন সাধন করলেন কৃষি শিক্ষার অন্যতম শ্রেষ্ঠ প্রতিষ্ঠান বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালযের (বাকৃবি) মাৎস্যবিজ্ঞান অনুষদের একোয়াকালচার বিভাগের প্রফেসর ড. এম এ সালাম।

কচি গমের চারার জুসের মধ্যে পুষ্টি গুণের পাশাপাশি রয়েছে রোগ প্রতিরোধকারী উপাদান ও শর্করা, প্রোটিন এবং চর্বিসহ ভিটামিন এ, সি, বি, ই ও বি-১৭। ভিটামিন বি-১৭ ক্যান্সার রোগের প্রতিষেধক হিসেবে ব্যবহৃত হয় যা গমের চারায় বিদ্যমান। গমের চারার সবচেয়ে গুর“ত্বপূর্ণ এবং প্রধান উপাদান হ”েছ ক্লোরোফিল, যা বিভিন্ন রোগ যেমন- কাটা-ছেঁড়া, চুলকানি, পোড়া ঘা, চুলপড়া, মাথার খুশকি, দাঁতের সমস্যা ইত্যাদি রোগের ঔষধ হিসেবে কাজ করে। এছাড়া এই জুস নিয়মিত পান করলে সৌন্দর্য্য বৃদ্ধি পায়, যৌবন ধরে রাখে এবং শরীরকে প্রাণবন্ত করে। এটি যক্ষা রোগেরও মহাঔষধ বলে জানান তিনি।

এ বিষয়ে প্রফেসর ড. এম এ সালাম জানান, এই গমের চারার জুস স্বল্প খরচে ও স্বল্প পরিসরে খুব সহজেই ঘরোয়া পরিবেশেই যে কেউই প্র¯‘ত করতে পারবে। উৎপাদন প্রণালীও খুব সহজ। একটি পাত্রে রোগবালাই মুক্ত পরিষ্কার গমবীজ পানির সাথে ১:৪ অনুপাতে মিশিয়ে ২৪ ঘণ্টা রেখে দিতে হবে। এরপর এক চিমটি পরিমাণ লবণ দিয়ে ১২ থেকে ১৪ ঘণ্টা রাখার পর এক টুকরো কাপড় দিয়ে মুড়িয়ে দিতে হবে যাতে এতে বেশি পরিমাণ পানি না থাকে।

৪ দিন এভাবে মুড়িয়ে রাখার ফলে গমবীজ অঙ্কুরিত হবে এবং এ অবস্থায় গমের চারাগুলো দেখতে হলুদ হবে। ৪ দিন পর কাপড় খুলে দেওয়ার আধ ঘণ্টার মধ্যেই চারাগুলো দেখতে ঘন সবুজ হবে। তবে চারাগুলো সরাসরি সূর্যালোকের নিচে না রাখাই ভাল। এভাবে ১০ থেকে ১৪ দিন পরই চারাগুলো জুস করার উপযোগী হবে।

তিনি আরও বলেন, মানুষের শরীরে রক্তের হিমোগ্লোবিনের সাথে অনেকাংশে মিল থাকায় এটি রক্তের সাথে অতি দ্র“ত মিশে গিয়ে রক্তে হিমোগ্লোবিনের পরিমান বৃদ্ধি করবে। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিকভাবে তৈরি এই জুস প্র¯‘ত করার প্রায় ৫ থেকে ১০ মিনিটের মধ্যে নষ্ট হয়ে যায়। তাই তৈরি করার পরপরই তা সেবন করতে হবে।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।