ঢাকা, রবিবার, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩১, ২৮ জুলাই ২০২৪, ২১ মহররম ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

হঠাৎ বৃষ্টি

বিষণ্ণ সুমন | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ০৫৪১ ঘণ্টা, ফেব্রুয়ারি ১৩, ২০১৩
হঠাৎ বৃষ্টি

নিজেকে ভীষন অপরাধী মনে হচ্ছে রাতুলের। এতটা বাড়াবাড়ি করা বোধহয় ঠিক হয়নি।

অবশ্য সে সময় পরিস্থিতি যেদিকে মোড় নিচ্ছিল, তখন আর নিজেকে ধরে রাখা সম্ভবপর হয়নি ওর পক্ষে। ফলে অনেকটা ইচ্ছের বিরুদ্ধেই তাকে রূঢ় হতে হয়েছিল।

সন্ধ্যা থেকেই আকাশটা গুমোট হয়ে ছিল। অফিস থেকে যখন বাসায় ফিরছিল, তখনি থেমে থেমে মেঘ ডাকছিল। পুরোটা রাস্তা আল্লাহ আল্লাহ করে এসেছে, যেন ও বাসায় না পৌঁছা পর্যন্ত বৃষ্টিটা না নামে। বাস্তবিক হয়েছেও তাই। তাকে রাস্তায় ভিজতে হয়নি। কিন্তু যেই না বাসায় পা দিয়েছে, অমনি ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। কিš‘ তখনো কি রাতুল জানতো, তাকে ভিজতে হবে তার নিজের চোখের জলে।

আসলে ঘটনা তেমন কিছুই নয়। সকাল বেলা অফিসে যাবার সময় তমা মনে করিয়ে দিয়েছিল, বাসায় ফেরার সময় ও যেন নতুন একটা ছাতা কিনে নিয়ে আসে। আগের ছাতাটা ডাঁট ভেঙ্গে পরে আছে অনেকদিন। সময়ের অভাবে ঠিক করা হচ্ছেনা। এদিকে যা দিন-কাল পরেছে, বলা নেই, কওয়া নেই, কখন যে হুঁট করে বৃষ্টি নামবে আগে থেকে কি”ছু বলা যায় না। এমতাব¯’ায় বাসায় একটা ছাতা না থাকলেই নয়। মাঝে মাঝে ভাবে রাতুল, এখনকার বা”চারা নিশ্চয়ই বই পড়তে গিয়ে কবি-লেখকদের পাগল ছাড়া কিছুই ভাবে না। ষঢ় ঋতুর দেশ বাংলাদেশ, এ কথা বইয়ে পুস্তকে যতই লিখা থাক, বাস্তবে তা বিশ্বাস করার কোনই হেতু নেই। কেননা এখন তো ঋতু বলতে স্রেফ তিনটে; গ্রীষ্ম, বর্ষা ও শীত। যদিও এ মুহুর্তে ওর জীবনে স্রেফ বর্ষা ছাড়া আর কোনোটারই অস্তিত্ব নেই। সামান্য একটা ছাতার জন্য ঘটনা এতোদূর গড়াবে, তা সে ঘুণাক্ষরেও ভাবেনি। বিকেলে অফিস থেকে বের“বার সময়ও ছাতা কেনার ব্যপারটা মাথায় ছিল। কিন্তু বাইরে বেরিয়ে আকাশের পরিস্থিতি দেখে বাধ্য হয়েই বিষয়টা মাথা থেকে তাড়িয়ে দিতে হলো। কেননা, তখন শুধু একটা ভাবনাই মাথায় খেলে ছিল, যে কোনো মূল্যেই হোক বৃষ্টি নামার আগেই বাসায় ফিরতে হবে। বাস্তবিক সে ফিরেছিলও তাই।

কিন্তু, দরজা খুলে ওর হাত খালী দেখেই খেকিয়ে উঠলো তমা, কী ব্যাপার, তোমায় না ছাতা আনতে বলেছিলাম?

রাতুল ব্যাপারটাকে যতই স্বাভাবিক হিসেবে তুলে ধরতে চাইলো, তমা ততই কথার মার-প্যাচে জটিল করে তুলল। ঘটনাটা ঝগড়ায় টার্ণ করতে সময় লাগলো না। আর রেগে গেলে মানুষ যা করে, হিতাহিত জ্ঞান হারিয়ে বাস্তবের সাথে সামঞ্জস্য নয় এমন সব কথা বলা শুরু করে। এক্ষেত্রেও তাই হলো।

যেমন শুরুটা তমাই করলো, আসলে তুমি আমায় সন্দেহ কর। তাই অফিস ছুটির পরপরই বাসায় চলে আসো দেখতে, আমি বাসায় আছি কিনা।

রাতুলও সমান তেজে উত্তর দিল, যাক স্বীকার করলে তাহলে। আমি তো জানিই তোমার একা একা বাসায় থাকতে ইচ্ছে করে না। তাই আমি বেরিয়ে গেলেই তুমিও বেরিয়ে যাও। এখন বুঝতে পারছি, কেন তোমায় মাঝে মাঝে টি এন্ড টি তে ফোন করেও পাই না। তা বেরিয়ে যাও, ঠিক আছে। একটা ছাতা তো তুমিও কিনে আনতে পারো।

কি বললে, আমি বাসায় থাকি না! তুমি আমায় ল্যান্ড ফোনে পাওনা!! আ”ছা বুঝলাম পাওনা, কিš‘ মোবাইলে তো করে দেখতে পারো। নাকি মোবাইলে বান্ধবীদের সাথে কথা বলে বলে আমায় কল করার সময়ই পাওনা। আরে আমার যদি ছাতা কেনার সময় হতোই, তাহলে কি আর তোমায় বলতাম। সারাদিন তো বাসায় থাকোনা, পুরো সংসারটা যে আমায় একা সামলাতে হয়, তা তো তোমার চোখে পরে না। তবে এখন থেকে আর বলবো না। যখন যা দরকার হবে নিজেই কিনে আনবো। আমার যেদিকে খুশী সেদিকে যাবো। তোমায় কিসসু বলতে যাব না।

তা যাওনা, তোমায় মানা করেছে কে। পারো তো একেবারেই চলে যাও। তুমি গেলে আমিও বেঁচে যাই। অযথা এসব ফালতু কথা শুনতে হবে না।

ও! এই তাহলে ব্যাপার। আমায় তাড়িয়ে দেবার জন্যই এত্তো সব ফন্দি-ফিকির। ওয়েল এখন তো বৃষ্টি..এদিকে রাতও হয়ে গেছে। সকালটা হোক তখন মজা বুঝবে। আমি সত্যিই চলে যাবো। আমি গেলে তখন বুঝবে আমি কি ছিলাম।

তুমি যে কি, আমার আর তা জানতে বাকি নেই। এদ্দিন আমি জেনেছি। এবার সবাই জানবে। ভালোই হবে, কেউ আর আমার দোষ দিতে পারবে না।

এবার আরো রেগে গেল রাতুল। দু’হাত বাড়িয়ে তমাকে চেপে ধরলো। শক্ত হাতে একটা ঝটকা দিয়ে বললো, “তুমি আমার কি ব্যবস্থা করবে শুনি ! আমায় তুমি ভয় দেখাচ্ছো ? আমায় বলে লাভ নেই। কথাটা বলে আস্তে করে তমাকে ছেড়ে দিল। ফোঁস ফোঁস করে নিঃশ্বাস পড়ছে ওর। রাতুলের চোখে কি দেখলো তমা কে জানে। সেই থেকে আর একটাও কথা হয়নি ওদের মাঝে। দুজনেই বিছানায় গিয়ে ঝিম মেরে শুয়ে থাকে। একসময় না খেয়েই ঘুমিয়ে যায় রাতুল।

সকালে ঘুম ভেঙ্গে যাবার পর তমাকে বিছানায় না দেখে একটু অবাকই হয়। কারণ, প্রতিদিনই ওই আগে ঘুম থেকে উঠে, যেহেতু তাকে অফিসে যেতে হয়। তারপর ফ্রেশ হয়ে ড্রেস-আপ করে রেডি হতে হতে তমার ঘুম ভাংগে এবং চোখ খুলেই অনুযোগ করে, এই আমায় ডাকোনি কেন? কিš‘ আজ তার ব্যতিক্রম দেখে প্রথমটায় বুঝতে না পারলেও পরক্ষণেই গত রাতের সব কিছু মনে পড়ে যায় তার। সাথেসাথেই লাফিয়ে বিছানা ছাড়ে ও। ড্রয়িং র“ম, টয়লেট এমন কি বারান্দায়, কোথায় খোঁজে না পেয়ে চিন্তায় পড়ে যায়। কিন্তু, এই সকাল বেলা ও গেলই বা কোথায় ? মোবাইলে ফোন দিল। না যা”েছ না তো। ও দেখি মোবাইলই বন্ধ করে রেখেছে।

রাতুলের মাথার ভেতরটা এলোমেলো হয়ে যেতে লাগলো। উফ্ খোদা, কি যে হবে এখন। মফস্বলের মেয়ে তমা। এখন পর্যন্ত একা একা কোথাও যায়নি। আসলে রাতুলকে ছাড়া একা কোথাও যাবার চিন্তাও কখনো করেনি ও। আতœীয়-স্বজনের কারো বাসাও তো চেনে না। অথচ সেই তমাই কিনা .. ! এও কি সম্ভব !! তমা যা বলেছে, তা কি সে সত্যিই করে দেখালো ? না আর ভাবতে পারছে না। বুকের ভেতরটা তার কেবলি শূন্য হয়ে উঠছে। এরকম ঝগড়া তো তাদের মাঝে প্রায়ই হয়। অবশ্য কাল একটু বাড়াবাড়িই হয়ে গেছে। তাই বলে, তমা নেই, অথবা তাকে ছেড়ে চলে গেছে, এটা সে ভাবতেই পারছে না। গতকাল তমা রাগের মাথায় যা বলেছে তার একবিন্দুও সত্য নয়, সেটা তমাও ভালো করেই জানে। ওর মত মেয়েকে সন্দেহ করার প্রশ্নই আসে না। আসলে তমা একা একা সারাটা দিন বাসায় থাকে, এটা ও সহ্য করতে পারেনা বলেই না অফিস ছুটির পর সোজা বাসায় চলে আসে। আর গতকালের ব্যপারটা তো সম্পূর্ণ ভিন্ন। স্রেফ বৃষ্টিকে এড়িয়ে যাবার জন্যই ওকে চলে আসতে হয়েছিল। এজন্য এত কিছু ঘটবে তা যদি আগেই ঠাহর করতে পারতো, তবে সে ছাতা নিয়ে তবেই বাসায় ফিরতো। সমস্যা হলো তমা কখন কি ভেবে বসে আগে থেকে কিছুই বুঝা যায় না।  

এদিকে ওদের দু’জনের আবার রাগটাই একটু বেশি। যদিও তার নিজের রাগ ক্ষাণীক বাদেই পরে যায়, কিš‘ তমার রাগটা সহজে যায় না। পূর্বের অভিজ্ঞতা থেকে জানে, এক-দু’দিন না গেলে তার রাগ কখনো স্তিমিত হয় না। কিš‘, এমন করে চলে যাবার কথা তো আগে কখনো বলেনি। অথচ, সেই কিনা আজ সত্যিই চলে গেল। আ”ছা এমনো তো হতে পারে, ও কিছুক্ষণ বাদেই চলে আসবে। জানি আমাকে ছাড়া ও থাকতেই পারবে না। তাছাড়া যাবেই বা কোথায় ? এই শহরে আমি ছাড়া ওর আছেই বা কে ? কিš‘, পরক্ষণেই আর একটা ভাবনা খেলে গেল মাথায়। দেশের বাড়ি চলে যায়নি তো ? চিন্তাটা ওর মাঝে কিছুটা স্বস্তি এনে দিল । এদিক-ওদিক না ঘুরে সোজা বাড়ি চলে যেতে পারলেও মন্দ হয় না। কিš‘, এভাবে একা একা গেলে আবার আমার শশুর-শাশুরী কি ভাববে। না বাবা, দরকার নেই ওদিকে যাবার। তার চেয়ে ফিরে আসুক, সেই ভালো।

যেন ওর ইচ্ছেকে সম্মতি দিতেই কলিং বেল বেজে উঠলো। রাতুলের মনে হলো, ওর বুকের ভেতর কোথাও জোরসে একটা আনন্দ ঘণ্টা বেজে উঠলো। প্রায় দৌড়ে দরজার কাছে ছুটে গেল ও। তড়িৎ দরজা খুলেই চুপসে গেল। বগলের তলায় একরাশ পত্রিকা নিয়ে হকার ছেলেটা দাঁড়িয়ে। ওর দিকে বাড়ানো পত্রিকাটা হাতে নিয়ে আস্তে করে দরজাটা বন্ধ করে দিল। বুকের ভেতর তার একটা চাপা অভিমান ক্রমশঃ ফুঁসে উঠতে চাইছে।

না আর ভাববো না। ওর কথা আর একটুও ভাববো না। যে আমাকে ছেড়ে চলে যেতে পারে, তাকে আমি চাইনা। ও যেন আর ফিরে না আসে। আসলেও ওকে আমি আর বাসায় ঢুকতে দেব না। মোটেও না। ফাজলামি পেয়েছে ! ইচ্ছে হলো তো চলে গেলাম। আবার ইচ্ছে হলেই ফিরে এলাম। এটা কি মগের মুল্লুক নাকি ?

মনটাকে অন্য দিকে ডাইভার্ট করতেই হাতে পত্রিকা তুলে নিল। প্রথম পাতায় একটা শিরোনামে ওর চোখ আটকে গেল। “স্বামীর হাতে ভার্সিটি শিক্ষিকা নির্যাতিত”।   ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষিকা র“মানাকে তার স্বামী সাইদ সন্দেহবশতঃ ্অমানুষিক নির্যাতন করেছে। তার দুটো চোখই অন্ধ হবার পথে। বর্তমানে .......। ঘটনাটা পড়ে ওর বুকের ভেতরটা শক্ত হয়ে গেল। তবে কি ও নিজেও তমাকে। না না, ও তো আর তমাকে এমন কোন সন্দেহ করেনি। আর সন্দেহ করার উপযুক্ত কারণ থাকলেও এমন নিষ্ঠুর সে কখনোই হতে পারবে না। অবশ্য পরিস্থিতি মানুষকে অনেক বদলে দেয়। আর ও রেগে গেলে যা করে, তাতে তমা যদি এমনটি ভেবেই থাকে তাহলে তাকে খুব একটা দোষও দেওয়া যায় না।

চিন্তাটা মাথায় আসতেই ওর হাত-পা ঠান্ডা হয়ে গেল। তবে কি তমাও ওকে ভয় পেয়েছে। না, এ হতেই পারে না। আরে আমি রাগের মাথায় কি বলেছি না বলেছি, তা ধরে নিতে হয় বুঝি। নিজেকে ভীষন অপরাধী মনে হলো ওর। মুহুর্তেই ইতিকর্তব্য ¯ি’র করে ফেললো রাতুল। তমাকে খুঁজতে যেতে হবে। যে কোন মূল্যেই হোক ওকে ফিরিয়ে আনতে হবে। কিš‘ কোথায় খুঁজবে। এট্লিষ্ট বাস ষ্টেশনে যেয়ে তো দেখা যেতে পারে। হয়তো বাড়িতেই যাবে ও, যেহেতু এ ছাড়া যাবার আর কোন পথও খোলা নেই ওর কাছে।

তড়িৎ তৈরি হয়ে বাসা থেকে বেরিয়ে পড়ল রাতুল। কিš‘ বাইরে পা রাখতেই, মনটা আরো খারাপ হয়ে গেল ওর। রাস্তায় একটিও রিকশা নেই। পুরো আকাশটা কালো হয়ে আছে। যে কোন সময় বৃষ্টি নামবে মনে হ”েছ। কিš‘, এখনতো রিকশার আশায় বসে থাকবার জো নেই। যেতেই যখন হবে, তো হেঁটেই সই। গলির মাথায় পৌঁছবার আগেই ঝপাত করে বৃষ্টি নামলো। ভিজে যাচ্ছে বুঝতে পারার পরেও আশে-পাশে কোথাও সরে যেতে ইচ্ছে করলো না। তাই বৃষ্টি মাথায় করেই হাঁটতে থাকলো । বুকের ভেতরে যে রকম বৃষ্টি হচ্ছে, তার তুলনায় এ তো কিছুই না।

বড় রাস্তায় যেয়ে দু-একটা রিকশা চোখে পড়লেও তার মাঝে একটাও খালি পেল না। অগত্যা হাঁটতে থাকলো। তার হাঁটার ভঙ্গীতে মনে হচ্ছে এমুহুর্তে এ ছাড়া আর কোন কাজই নেই। সে কারণেই বোধকরি তার ভেজা মাথার ওপর কখন যে একটা ছাতা চলে এলো, তা সে বুঝতেই পারলো না। তবে সে ভীষন আশ্চর্য হলো, যখন আবিস্কার করলো পাশ থেকে তার ভেজা শরীরের সাথে আচমকা একটা কোমল দেহ লেপটে গেল।

“কি, এই বৃষ্টির মধ্যে একা একা কোথায় যাওয়া হ”েছ শুনি?” ওর কাঁধের ওপর দিয়ে হাত রেখে শরীরটাকে শক্ত করে নিজের সাথে চেপে ধরে হাসি মুখে বললো তমা।  

“তমা আমি... আমি ....!” তমাকে দেখে খেই হারিয়ে ফেললো রাতুল। কিছুই বলতে পারলো না। তার কথাগুলো মুখের ভেতরেই আটকে গেল।

“আমি জানি, আমি সব জানি;” যেন রাতুলের মুখের কথাগুলো কেড়ে নিয়ে বলছে তমা, “সেই কারণেই তো আমি নিজেই বেরিয়ে গেছি। জানি তোমার আশায় থাকলে কোনদিনও ছাতা কেনা হবে না। তুমি প্রতিদিন ভিজে ভিজে অফিস থেকে বাসায় আসো, এটা ভালো লাগেনা বলেই তো ছাতার কথা বলেছিলাম। ” বলতে বলতে চোখ জলে ভিজে উঠলো ওর।

পরক্ষণেই দু’চোখ বেয়ে নতুন করে কান্নার বৃষ্টি নামলো। কি মনে করে তমার হাত থেকে ছাতাটা টেনে নিয়ে বন্ধ করে ফেললো। বাইরের ঝরে পরা বৃষ্টির জলের সাথে মিশে একাকার হয়ে গেল তাদের চোখের জল।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।