ঢাকা, রবিবার, ১৪ পৌষ ১৪৩১, ২৯ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৬ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

নো টেনশন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৫৪২ ঘণ্টা, মার্চ ৩১, ২০১৪
নো টেনশন

ঘড়ির এলার্ম বাজতেই প্রচণ্ড মাথাব্যাথা নিয়ে ঘুম থেকে উঠল অথৈ। ঘুম না হলেও অফিসে যাওয়ার সময় ছুঁইছুঁই, তাই না উঠে উপায় নেই।

কিন্তু গত কয়েক রাত ধরে অথৈর ঠিকমত ঘুম হচ্ছে না, কারণ একটাই টেনশন(দুশ্চিন্তা)। অথৈর মত এমন অনেকেই আছি যারা টেনশনের কারণে ঠিকমত কাজ-কর্ম, অধ্যাবসায়, খাওয়া-দাওয়া এমনকি বিশ্রামেও মন দিতে পারিনা।

আমাদের জীবন চলার পথে টেনশন থাকবেই। কিন্তু তাই বলে এর ক্ষতিকর প্রভাব যেনো স্বাভাবিক জীবনযাত্রাকে স্হবির না করে এজন্য আমরা ‍অনুসরণ করতে পারি কিছু পদ্ধতি।

যে কোন কাজ করার আগে পরিকল্পনা মাফিক এগুনো উচিত। এতে কাজের চাপও কমবে এবং কাজটিও গোছানো হবে।

নিয়মিত ব্যায়াম, ইয়োগা, প্রার্থনা করলে টেনশন কমানো যায় এবং শরীরকে চাঙা করতে পারে নিমিষেই। আর শরীর ফিট তো মনও ফিট ।

চোখ বন্ধ করে ৯৯ থেকে উল্টো করে ১ পর্যন্ত তিনবার গুণুন। এতে টেনশনের বিষয় থেকে খানিকটা সময় মনোযোগ অন্যদিকে সরিয়ে নেওয়া যায় ।

কম্পিউটারে বা টিভিতে দেখুন প্রিয় কোনো মুভি, খেলুন গেইমস্, সুর হোক আর নাই হোক উচ্চস্বরে গেয়ে উঠুন পছন্দের গান অথবা মিউজিকের ছন্দে কিছুক্ষণ হাত-পা হেলিয়ে দুলিয়ে নাচতেও পারেন।

যতটা পারা যায় হাসি-খুশি থাকুন, হাসি আমাদের উদ্বেগ বাড়ানো হরমোনের নিঃসরণ কমাতে সাহায্য করে। এছাড়া যান্ত্রিক এই জীবনে মানসিকভাবে সুস্হ থাকতেও হাসি যোগায় প্রাণশক্তি!

প্রিয় লেখকের উপন্যাস, কবিতার বই পড়ুন। পড়ার অভ্যেস তৈরি করলে এটি মনকে হালকা করার সাথে সাথে জানার জগতটাকেও করবে বিশাল।

দুশ্চিন্তা থেকে মনযোগ সরাতে আনন্দদায়ক কোনো স্মৃতির ভেলায় বেরিয়ে আসতে পারেন কিংবা প্রিয় মুহূর্তের ছবির অ্যালবামে চোখ বুলাতে পারেন।

পেইন্টিং বোর্ডে সবগুলো রঙে সেড দিয়ে এঁকে ফেলুন মনের ইচ্ছে মত রংধনু।
 
ডায়েরিতে লিখে রাখুন মনের সব বলা না বলা কথা।

প্রকৃতি আমাদের নতুন করে ভাবতে শেখায়। লেকের ধারে, ঝিলের পাড়ে কিংবা সবুজ চত্বরে যেখানে যেতে মন চায় ঘুরে আসুন। পথ থেকে কুড়িয়ে নিন একটি-দুটি বকুল বা ঘাস ফুল...

চাইলে বিশ্বস্ত কারও সঙ্গে দুশ্চিন্তার বিষয়টি নিয়ে আলোচনা করুন।

এরপরও যদি দুশ্চিন্তা নামক যন্ত্রণা দূর না হয় তবে লক্ষ্য করুন, দীর্ঘদিন কোনো বিষয় নিয়ে টেনশন করলে কিন্তু আমাদের শরীর এবং মনের ওপর বিরূপ প্রভাব ফেলে, এমন পরিস্থিতি তৈরি হওয়ার আগেই বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle
লাইফস্টাইল বিভাগে লেখা পাঠাতে পারেন  [email protected]

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।