ময়মনসিংহ: ভারতীয় টিভি চ্যানেল স্টার জলসার একটি জনপ্রিয় সিরিয়ালের নাম ‘বোঝে না সে বোঝে না’। এ সিরিয়ালের নায়িকা পাখি বেশিরভাগ সময় নিজেকে উপস্থাপন করেন লং-ফ্রক এ।
এ পোশাক কেনার পাশাপাশি তরুণীদের কাছে বাড়তি কদর রয়েছে ফ্লোরটাচ নামের পোশাকেও।
এবারের ঈদ বাজারে শহরের বিভিন্ন বিপণী-বিতানগুলোতেও এ দু আইটেমের ভারতীয় পোশাকের একচেটিয়া প্রাধান্য লক্ষ্য করা গেছে।
ময়মনসিংহ শহরের বারী প্লাজা, মফিজ উদ্দিন ইনডেক্স প্লাজা, অলকা নদী বাংলা শপিং কমপ্লেক্স, নুরজাহান কমপ্লেক্স, উত্তরা শপিং সেন্টার, সরকার ম্যানসনসহ বিভিন্ন বিপণী-বিতানগুলো হয়ে উঠেছে তরুণীদের পছন্দের জায়গা। ।
এই দুই পোশাকের বাইরে আয়শা টাকিয়া, সারারা, বিন্দু, সাঞ্জুসহ বিভিন্ন বাহারি নামের পোশাকও রয়েছে এসব বিপনীবিতানে। তবে খুব একটা দেখা মেলেনি গত কয়েক বছর তরুণীদের পছন্দের শীর্ষে থাকা আনারকলি কিংবা মাসাক্কালি।
মার্কেটের দ্বিতীয় তলার শুভেচ্ছা গার্মেন্টের দোকানী মো: মিঠু জানান, তাঁর দোকানে পাখি ১ হাজার ৫শ থেকে ৪ হাজার টাকা, আয়েশা টাকিয়া ২ হাজার ৫শ থেকে ৫ হাজার টাকা, সাঞ্জু ২ হাজার ৫শ থেকে ৬ হাজার টাকায় পাওয়া যাচ্ছে।
![Eid_market_mymensingh_1 Eid_market_mymensingh_1](files/July_2014/July_16/Eid_market_mymensingh_1_441504430.jpg)
পাখি নামের লং-ফ্রকের বিশেষত্ব জানিয়ে দোকানীরা বলছেন, সুতি, নেট, জর্জেট, টেট্রোনসহ বিভিন্ন পোশাক ভারতীয় সিরিয়ালের জনপ্রিয় চরিত্রকে অনুসরণ করেই তৈরি করা হয়েছে। পাখি নামের এ পোশাক দেখতে অনেকটাই আনারকলির মতো। আনারকলিতে কারুকাজ বেশি থাকলেও নতুন এ পোশাকে সুতার কাজ বেশি।
এ মার্কেটের চতুর্থ তলার একটি দোকানের দোকানি আরাফাত হোসেন নাঈম জানান, তরুণীদের নতুন আলোচিত ফ্যাশন ফ্লোরটাচের বিশেষত্ব।
তিনি জানান, নেট ও জর্জেটে তৈরি করা এ পোশাক তরুণীদের পায়ের পাতা পর্যন্ত ছড়ানো থাকে। এ কারণে এর নাম দেয়া হয়েছে ফ্লোরটাচ।
বিপণী-বিতানসমূহে দেশীয় পোশাকের থেকে ভারতীয় পোশাকের আধিপত্য বেশি কেন প্রশ্ন করলে দোকানিরা বলেন, ভারতীয় পোশাকে কাপড়ের মান দেশীয় পোশাকের চেয়ে ভালো। ফলে এ পোশাকের দিকেই তরুণীদের ঝোঁক অনেক বেশি।
শহরের উত্তরা শপিং সেন্টারে কথা হয় একটি বেসরকারি কোম্পানির চাকুরে রায়হান উদ্দিনের সঙ্গে। তিনি বলেন, আমার মেয়েকে ৫ হাজার টাকায় পাখি নামের লং ফ্রকটি কিনে দিয়েছি।
![Eid_market_mymensingh_2 Eid_market_mymensingh_2](files/July_2014/July_16/Eid_market_mymensingh_2_356991476.jpg)
দোকানীরা জানান, চলতি সপ্তাহে কেনাকাটা জমে উঠেছে। প্রতিদিন সকাল ১১ টা থেকে বিকেল ৩ টা পর্যন্ত ক্রেতাদের ভিড় থাকে বেশি।
অনেকে হাত খুলে টাকা খরচ করে পছন্দের পোশাক কিনছেন। কেউবা আবার সাধ ও সাধ্যের সমন্বয় ঘটিয়ে রাতের বেলায় কেনাকাটা করতে আসছেন।
শহরের প্রায় প্রতিটি বিপণী বিতানগুলোর ভেতরে ও বাইরের লোকারণ্য বলে দিচ্ছে পুরোমাত্রায় প্রাণ ফিরে পেয়েছে ময়মনসিংহের ঈদ বাজার।
দিন কী রাত, চড়া দামের সঙ্গে ক্রেতাদের গমগমে উপস্থিতিতে মার্কেটগুলোর বাতাস হয়ে উঠেছে আরো গরম।
এরই মাঝে বিভিন্ন বিপণী-বিতান ঘুরে পছন্দের পোশাক কিনে চোখে উচ্ছ্বাস আর হাতভর্তি ব্যাগ নিয়ে বাড়ি ফিরছেন তরুণীরা।
বাংলাদেশ সময়: ১৭৫৮ ঘণ্টা, জুলাই ১৫, ২০১৪