যাত্রাবাড়ি থেকে গাজিপুর, চিটাগাং থেকে বরিশাল কোথাও সহিংসতার বাইরে নেই। প্রতিদিনই পুড়ছে মানুষ জ্বলছে গাড়ি, ভূলুণ্ঠিত হচ্ছে মানবতা।
এই যখন বাস্তবতা, জানিনা কখন কার শরীরে এসে লাগে সেই আগুনের শিখা। তাই যানবাহনের চালক, কর্মী ও সাধারণ যাত্রী, পথচারী সবার প্রতি নিচের সতর্কতা অবলম্বনের জন্য বিশেষভাবে অনুরোধ:
• যানবাহন চালানোর সময় অবশ্যই গাড়ির জানালার কাচ বন্ধ রাখুন।
• নিজের শরীরের পোশাকে আগুন লাগলে তৎক্ষণাৎ দুই হাতে মুখ ঢেকে মাটিতে গড়াগড়ি দিন। দৌঁড়াবেন না, দৌঁড়ালে আগুন বেড়ে যাবে।
• আগুনে আক্রান্ত ব্যক্তিকে ভেজা অথবা মোটা কাপড় দিয়ে জড়িয়ে ধরুন, আগুন নিভে যাবে।
• পোড়া জায়গায় পর্যাপ্ত জল ঢালুন। এ উদ্দেশ্যে গাড়িতে সব সময় এক পাত্র জল সংরক্ষণ করুন। রোগীকে দ্রুত চিকিৎসার ব্যবস্থা নিন।
• প্রতিটি গাড়িতে প্রাথমিক চিকিৎসা বক্স সংরক্ষণ করুন।
• গাড়িতে দুটি অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র রাখুন।
• ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স থেকে অগ্নিনির্বাপণ যন্ত্র ব্যবহারের প্রশিক্ষণ নিন।
• বাসের ভেতর দৃশ্যমান স্থানে অগ্নিনির্বাপণ যণ্ত্রের সচিত্র ব্যবহারবিধি টাঙিয়ে রাখুন।
• রাস্তার পাশে কিংবা অরক্ষিত স্থানে গাড়ি পার্ক করে ঘুমাবেন না।
• গণপরিবহন চালানোর সময় ঝুঁকিপূর্ণ স্থানে থামাবেন না।
• গাড়িতে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের টেলিফোন নম্বর (০২-৯৫৫৫৫৫৫ অথবা ০১৭৩০৩৩৬৬৯৯) দৃশ্যমান স্থানে বড় অক্ষরে লিখে রাখুন।
• জরুরি অবস্থায় আতঙ্কিত না হয়ে সাহসের সঙ্গে মোকাবিলা করুন এবং সাহায্যের জন্য ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সকে খবর দিন।
তথ্য সুত্র : ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স।
এই তথ্যের সত্যতা যাচাই করার জন্য উক্ত নম্বরে ফোন দিলে বাংলানিউজের সঙ্গে ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স কন্ট্রোল রুমের ফরহাদ কথা বলেন। তিনি বলেন, যেকোনো এলাকায় আগুনের বিষয়ে তথ্য দিলে সঙ্গে সঙ্গে সংশ্লিষ্ট এলাকার ফায়ার সার্ভিস অফিসে জানিয়ে দেওয়া হয়। আর খবর পাওয়ার ৩০ সেকেন্ডের মধ্যে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি ঘটনাস্থলের উদ্দেশে রওনা হয়।