কাশ্মিরী কিংবা পশমিনা শাল। নাম শুনলেই গায়ে জড়াতে ইচ্ছা হয়।
পমপোশের কথা বলতে গিয়ে ‘আসল’ শব্দটি বলার প্রয়োজন নেই। কারণ পমপোশ আসলই। কাশ্মিরে পিতৃপুরুষের প্রায় শত বছরের পুরোনো কারখানায় শতভাগ মান নিশ্চিত করে তৈরি হচ্ছে শতভাগ নিঁখুত শাল-শাড়ি-শালোয়ার-কামিজ। বিক্রি হয় কলকাতার নিউমার্কেটে ‘পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম’-এ।
ইতিহাসের গোড়াপত্তন ভারত বর্ষের স্বাধীনতারও ২০ বছর আগে। সেবছরই কলকাতার প্রথম শালের দোকান খোলে পমপোশ পরিবার।
কাশ্মিরী শালের কথা ভাবলেই এর মসৃণ জমিনে পাতা, লতা-গুল্ম, ফুলের কারুকাজ চোখে ভেসে ওঠে। পমপোশের শালে এসব ধরা দেয় বিশেষ বাহারী ধাচে। মোলায়েম জমিনে সুচ-সুতোয় অপূর্ব নকশাকাটা কাশ্মিরী-পশমিনা উষ্ণতার পাশাপাশি আভিজাত্য ছড়িয়ে জড়িয়ে থাকে গায়ে। পমপোশের পশমিনা-কাশ্মিরী আভিজাত্যেরও প্রতীক।
প্রজন্মের পর প্রজন্ম ধরে পমপোশ পরিবার সেরা শাল তৈরির ঐতিহ্যে নিজেদের নামটি জড়িয়ে রেখেছে পরম যত্নে।
ভারত, বাংলাদেশ, ইংল্যান্ড, আমেরিকা ও চীনসহ সারা বিশ্বে কাশ্মীরি পোশাকপ্রেমীদের কাছে তুলে দিচ্ছে আসল কাশ্মীরী শীতের পোশাক। কাশ্মীরী জ্যাকেটেও পমপোশের জুড়ি মেলা ভার।
‘কানি পশমিনা’ নামে একটি বিশেষ শাল পমপোশকে দিয়েছে বাড়তি বৈশিষ্ট্য। কাঠের সুচ দিয়ে বোনা হয় এ শাল। দাম ৮ হাজার রুপি থেকে শুরু। সাড়ে ৪ লাখ রুপির শালও রয়েছে পমপোশের।
এছাড়াও রয়েছে আড়াই হাজার রুপির সেমি পশমিনাও রয়েছে। অপেক্ষাকৃত কমদামের পণ্যের মানের সর্বোচ্চ প্রয়োগ থাকে পমপোশে। এখানকার শালেই রয়েছে কাশ্মীরের শিল্পীদের হাতের ছোঁয়া।
দাম বেশি বলে যারা ভাবছেন তাদের জন্য সুখবর হচ্ছে আপনি বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম’র পাঠক হলে পমপোশ আপনাকে ক্রেতা হিসেবে দেখাবে বাড়তি কদর। পমপোশ বাংলানিউজের পাঠকদের তথা বাংলাদেশিদের জন্য দিচ্ছে ৩৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়।
পোশাক ভাণ্ডারে একটি পমপোশের পণ্য আপনাকে আভিজাত্য দেবেই। তবে গায়ে জড়ালে তার চেয়েও বেশি পাবেন একটি মোলায়েম সুন্দর অনুভূতি। কলকাতা গেলে পমপোশের শো-রুম আপনাকে বাড়তি আনন্দ দেবে। কলকাতার নিউমার্কেটে (নিউ কমপ্লেক্স) এই ‘পমপোশ কাশ্মীরি শাল এম্পোরিয়াম’।
আগে থেকেই যদি খোঁজ খবর নিতে চান যোগাযোগ করতে পারেন ৯১ ০৩৩ ২২৫২১৯৬২ নম্বরে। অথবা ইমেল করতে পারেন- [email protected]-এ।