সম্প্রতি রাজধানীর বনানী ১১ নম্বর সড়কের ই ব্লকে একই ছাদের নিচে যাত্রা শুরু করলো বিশ্বখ্যাত তিন ব্র্যাণ্ড স্টেপ, পেরিউইঙ্কেল এবং ডক্টর কং। এই শোরুমে থাকছে শিশু কিশোরদের জন্য পেরিউইঙ্কেলের রুচিশীল এবং গুণগত মানের পোশাক, পাশাপাশি সব বয়সের জন্য স্টেপ ফুটওয়ারের আরামদায়ক জুতা ও স্যান্ডেলের সংগ্রহ।
পাশাপাশি বাংলাদেশে প্রথমবারের মতো হংকং এর ব্র্যান্ড ডক্টর কং ও যুক্ত হলো জুতার ফ্যাশন জগতে। ডক্টর কং এশিয়ার সেরা স্কুল জুতার প্রস্তুতকারক হিসেবে স্বনামধন্য। এর বাইরে এখানে আরো আছে, ফ্রান্সের তৈরি বিশ্বমানের লাগেজ পিয়ারি কার্ডিনের সব সুটকেস, ল্যাপটপ ব্যাগ, ট্রলি ব্যাগ, ব্যাকপ্যাক, মানসম্পন্ন চামড়ার মানিব্যাগ, বেল্ট ইত্যাদি। শোরুমটি উদ্বোধন করেন স্টেপ গ্রুপের চেয়ারম্যান আব্দুস সাত্তার।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির এবং পরিচালক তানজীনা আনওয়ার কবির। উদ্বোধনের সময় চেয়ারম্যান বলেন, আমরা নতুন আঙ্গিকে লাইফস্টাইল ব্যবসায় যাত্রা শুরু করছি। এই শোরুমে সবার জন্যই কিছু না কিছু থাকছে। আমি আশাবাদী যে, স্টেপ-পেরিউইঙ্কেল কিংবা ডক্টর কং মানুষের চাহিদা মেটাতে সক্ষম হবে।
পেরিউইঙ্কেল সম্পর্কে এর কর্ণধার তানজীনা আনোয়ার কবির বলেন, মা হিসেবে আমার সবসময়ই মনে হয়েছে, বাচ্চাদের জন্য রুচিশীল এবং মানসম্পন্ন পোশাক বাংলাদেশে খুব একটা পাওয়া যায়না। বড়দের পোশাকের ক্ষেত্রে দেশীয় এবং পাশ্চত্য ঢং এর পোশাক বাজারে পাওয়া গেলেও, শিশুদের ক্ষেত্রে বাবা মায়েদের আপোষ করতেই হয়। এই সমস্যার সমাধান খুঁজতেই পেরিউইঙ্কেলের যাত্রা শুরু।
স্টেপ এর ব্যবস্থাপনা পরিচালক শামীম কবির বলেন, স্টেপ ফুটওয়ার বাংলাদেশের জুতা শিল্পে নতুন মাত্রা যোগ করবে। আমাদের উদেশ্য সুলভমূল্যে রুচিশীল আরামদায়ক এবং মানসম্পন্ন জুতা সবার কাছে পৌঁছে দেয়া। আমরা জুতার ব্যবসায় প্রথম অত্যপ্রকাশ করি বেলি কেডস দিয়ে ১৯৭৯ সালে।
তিনি আরও যোগ করেন, তবে স্টেপ ফুটওয়ার নিয়ে আমরা আরো বেশি সাড়া পাচ্ছি, কারণ আমাদের কাছে সব বয়সের জন্য উপযোগী আরামদায়ক মানসম্পন্ন জুতা, স্যান্ডেল এবং স্যান্ডেল স্যুর সংগ্রহ আছে, যা সুলভমূল্যে বাজারজাত করা হচ্ছে।