বিশ্ব কবি রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর সাহিত্যের প্রতিটি ধাপকে অনেক ওপরে তুলে ধরেছেন। তিনি তার অনেক লেখায় সেই যুগের নারীর মনের কষ্ট ভালোলাগা এতো সুন্দর ভাবে তুলে ধরেছেন।
হৈমন্তীর দূর আকাশে তাকিয়ে থেকে অনেক না বলা কথার মধ্য দিয়ে কবি অনেক কথা বুঝিয়েছেন সেই সামাজিক-পারিবারিক কাঠামোকে।
চোখেরবালি দেখলে সদ্য বিধবা তরুণীর মানসিক যন্ত্রণা, নিরাপত্তাহীনতা ফুটে উঠেছে। আর স্বামীর প্রতারণায় ভালোবাসার সঙ্গে নিরব প্রতিবাদও আমাদের বুঝিয়েছে নারীর প্রখর আত্মসম্মান বোধ।
'স্ত্রীর পত্র' এর মৃণালের কথাও আমরা ভুলিনি। গ্রামের মেয়ে হয়েও আধুনিক, রুচিশীল ও ব্যক্তিত্বসম্পন্না মৃণাল প্রখর যুক্তিবোধ আর বিশ্লেষণ ক্ষমতা দিয়ে প্রমাণ করতে পেরেছে সে কেবল মেয়ে নয়, মানুষও।
বাস্তববাদী লাবণ্যকে আবার তিনি দেখিয়েছেন শিক্ষিতা, আধুনিক, যুক্তিবাদী, প্রগতিশীল নারী হিসেবে।
নারী তার রূপ আর ব্যক্তিত্বে কতোটা প্রখর হতে পারে মহামায়া চরিত্র তার প্রতিরূপ। এ চরিত্রের মধ্য দিয়ে রবীন্দ্রনাথের পুরুষতন্ত্রের প্রতি কঠোর বিরোধী মনোভাবেরই প্রতিফলন ঘটেছে। তিনি সমাজকে বোঝাতে পেরেছিলো পরিবর্তন আসছে...নারী মুক্তির আর বাকী নেই।
নারী স্নেহময়ী, নারী অভিমানী, নারী সংগ্রামী, নারী মা, নারী বোন, নারী প্রেমিকা। নারীর এ সব রূপ লেখনীর মাধ্যমে কবিগুরু প্রাণের ছোঁয়া এনে দিয়েছেন।