‘প্রত্যেকটি রাষ্ট্রেই বৈচিত্র্য থাকে, রাষ্ট্র সেই বৈচিত্র্যময়তাকে সঙ্গে নিয়েই সামনের দিকে এগিয়ে যায়’- সম্প্রতি কাকরাইলে বন্ধু স্যোশাল ওয়েলফেয়ার সোসাইটির কনফারেন্স হলে আয়োজিত ‘বন্ধু মানে কী?’ শীর্ষক ভিডিও ডকুমেন্টারি নির্মাণ প্রতিযোগিতায় পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন সুইডেনের রাষ্ট্রদূত জন ফ্রিজেল।
সুইডিশ রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘যৌন সংখ্যালঘুদের(হিজড়া) অধিকার আদায়ের জন্য গণযোগাযোগ অন্যতম হাতিয়ার।
এছাড়া যৌন সংখ্যালঘুদের অধিকার রক্ষার আন্দোলনে গণ মানুষকে সম্পৃক্ত করতে এই ভিডিও ক্লিপিং প্রতিযোগিতা উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে- বলেও মন্তব্য করেন তিনি।
‘বন্ধুত্ব’ বিষয়ে যৌন সংখ্যালঘু জনগোষ্ঠীর তরুণদের দৃষ্টিভঙ্গি ও অধিকারের দিকগুলো সৃজনশীল ভিডিও ক্লিপিংয়ের মাধ্যমে গণমানুষের সামনে তুলে আনার জন্য চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে বন্ধু এই প্রতিযোগিতার আয়োজন করে।
প্রতিযোগিতায় ২৮ জন অংশগ্রহণ করেন, যারা স্মার্টফোন, মুঠোফোনের ক্যামেরা ও ডিজিটাল ক্যামেরা ব্যবহার ভিডিও ক্লিপ তৈরি করে। এর মধ্য থেকে পাঁচজনকে পুরষ্কৃত করা হয়।
বন্ধু’র চেয়ারপারসন আনিছুল ইসলাম হিরু সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন ইউএনএইডস-এর কান্ট্রি ডিরেক্টর লিও কেনি, বন্ধুর এক্সিকিউটিভ মেম্বার ডা. মিজানুর রহমান।
বন্ধু’র প্রোগ্রাম ম্যানেজার উম্মে ফারহানা জারিফ কান্তা’র সঞ্চালনায় অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন নির্বাহী পরিচালক সালেহ আহমেদ, উপ পরিচালক প্রোগ্রাম ফসিউল আহসান, বন্ধু মিডিয়া ফেলো কেরামত উল্ল্যাহ বিপ্লব ও অখিল পোদ্দার প্রমুখ।