আম আমাদের জন্য প্রকৃতির এক দারুণ উপহার বলা যায়। সবার প্রিয় এই ফলটি কাঁচা-পাকা সব ভাবেই পুষ্টিগুণে ভরপুর।
আসুন জেনে নিন কাঁচা আমের উপকারিতা:
• আমাদের শরীরের রক্ত পরিষ্কার রাখে
• কাঁচা আম স্মৃতিশক্তি বাড়াতে সাহায্য করে
• ক্যারোটিন ও ভিটামিন সমৃদ্ধ কাঁচা আম চোখ ভালো রাখে
• বিটা ক্যারোটিন থাকায় হার্টের সমস্যা প্রতিরোধে সাহায্য করে
পটাশিয়ামের অভাব পূরণ করে
• কাঁচা আমে প্রচুর পরিমাণে আয়রন থাকায় রক্তসল্পতা সমস্যা সমাধানে বেশ উপকারী
• ভিটামিন সি সমৃদ্ধ হওয়ায় গরমে ঠাণ্ডা জতীয় রোগ প্রতিরোধ
• কিডনির সমস্যা প্রতিরোধ সাহায্য করে
• লিভার ভালো রাখে
• নিঃশ্বাসের সমস্যা, জ্বরের সমস্যা উপশম করে
• অ্যাসিডিটি নিয়ন্ত্রণ করে
• ত্বক উজ্জ্বল করে
দাঁতের রোগ প্রতিরোধ করে
• ফাইবার সমৃদ্ধ হওয়ায় কোষ্টকাঠিন্য দূর করে
• এছাড়া ক্যান্সার প্রতিরোধে সাহায্য করে।
এখন কাঁচা আম পাওয়া যাচ্ছে। কয়েক ধরনের আমের আচার করে রাখুন, সারা বছর ঘরে আম থাকবে।
আমের টক-ঝাল আচার
উপকরণঃ আম ২ কেজি, সিরকা ২ কাপ, সরিষার তেল ২ কাপ, সরিষা বাটা ২ টেবিল চামচ, হলুদ গুঁড়ো ২ চা চামচ, মরিচ বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ টেবিল চামচ, আদা কুচি ২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়ো ২ টেবিল চামচ, আস্ত পাঁচফোড়ন ২ চা চামচ, লবণ ২ টেবিল চামচ, চিনি ২ টে চামচ, রসুন কোয়া ২০ টি, কাঁচামরিচ ২০টি।
প্রণালীঃ আম খোসাসহ ছোট ছোট টুকরা করে কেটে লবণ মেখে ভালো করে ধুয়ে পানি ঝড়িয়ে নিন। অল্প হলুদ, লবণ মেখে এক দিন রোদে শুকিয়ে নিন।
এবার কড়াইতে তেল গরম হলে আস্ত পাঁচফোড়ন দিন, পাঁচফোড়ন ভাজা হলে রসুন বাটা, আদা কুচি দিয়ে একটু নেড়ে মরিচ, হলুদ, লবণ ও সামান্য সিরকা দিয়ে ভালো করে কষিয়ে আম দিন। আম সেদ্ধ হয়ে এলে সিরকা, চিনি, সরিষা বাটা, কাঁচা মরিচ, রসুন কোয়া দিয়ে আরও ১৫ মিনিট অল্প আঁচে নাড়তে থাকুন। পাঁচফোড়ন গুঁড়ো দিয়ে দিন। আচারের তেল ওপরে উঠে এলে নামিয়ে নিন।
আমের টক-মিষ্টি আচার
উপকরণ: আম -২০ টি, চিনি - ৪ কাপ, তেল -২ কাপ, মরিচ গুঁড়া- ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা-২ টেবিল চামচ, পাঁচফোড়ন গুঁড়া-২ টেবিল চামচ, লবণ, পরিমাণমতো, ভিনেগার আধা কাপ।
প্রণালী: প্রথমে আমের খোসা ছাড়িয়ে ফালি করে কাটুন, ধুয়ে আমগুলো হালকা ভাপ দিয়ে কড়াইয়ে তেল গরম করে সব মসলা দিয়ে, কষিয়ে চিনি, আম ও পাঁচফোড়ন গুঁড়া দিয়ে দিন। কষানো হলে ভিনেগার দিন। ভালো করে কষিয়ে সেদ্ধ হয়ে তেল ওপরে উঠলে আচার নামিয়ে নিন।
ফ্রিজে বা মাঝে মাঝে রোদ দিয়ে আচার অনেক দিন সংরক্ষণ করতে পারেন।