বাংলা সাহিত্য, শিল্পকলা কিংবা বাঙালি জীবনে কফি হাউসের কথা বার বার এসেছে। মান্না দে’র গাওয়া কফি হাউসের আড্ডা গানটির সঙ্গে সবাই কম বেশি পরিচিত।
এই যেমন- সেখানে ধোয়া তোলা কফি কাপে চুমুক দিতে দিতে বন্ধুদের সাথে আড্ডা হবে অথবা ব্যবসায়ীক আলোচনা হবে, বাসায় পড়তে পড়তে ক্লান্ত হয়ে পড়লে নোটপত্র নিয়ে সোজা কফি শপে চলে যাওয়া যাবে, তারপর চটপট এক কাপ কফি নিয়ে পড়ায় মনোযোগ দিয়ে রিফ্রেশ হয়ে বাসায় ফেরা।
শপে তেমন কোনো কোলাহল থাকবে না। শুধু মিহি সুরে গান বাজলে ব্যাপারটা উপভোগ্য হবে। ঠিক এরকমই একটি কফি শপের খোঁজ করেন অনেকে। বনানীর কলস্বাস কফি শপে এমন পরিবেশটাই পাওয়া যাবে বলে জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাইমিন মোস্তফা।
তিনি বাংলানিউজকে বলেন, ‘কলম্বাস কফি শপে আমেরিকার ওহাইওর বিখ্যাত কফি ব্র্যান্ড ক্রিমসন কাপ কফি পরিবেশন করা হচ্ছে। আমরাই ফার্স্ট ফ্রানচাইজি ইন বাংলাদেশ। ২০০০ স্কয়ারফিটের এই শপে সেলফ সার্ভিসে কফি খেতে পারবেন। কফির পাশাপাশি ডেজার্ট আইটেম হিসেবে পেস্ট্রির ব্যবস্থাও রয়েছে। শপের বিভিন্ন পাশে দাঁড়িয়ে কিংবা বসে যার যেভাবে ভাল লাগবে সেভাবে কফি খেতে পারবেন। আবার একটু ফান চাইলে ছবিও তুলতে পারেন। আমরা শপের মধ্যে সেলফি কর্নারও রেখেছি। ’
বনানী ১১ নম্বর রোডের ২৫ নম্বর বাড়ির দোতলায় কলম্বাস কফি শপ। ভেতরের অনেকটাই সাজানো হয়েছে কফি কালারে। স্ব”ছ কাঁচঘেরা এই শপের ভেতরে বসে থেকে বাইরের প্রাকৃতিক সৌন্দর্য উপভোগ করা যাবে। ইন্টেরিয়র ডিজাইনের সাথে মিলিয়ে ভেতরের পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা করা হয়েছে। তবে শপের ভেতরে নান্দকিতায় মুগ্ধ হবেন অতিথিরা।
মোহাইমিন মোস্তফা বলেন, ‘আমরা চাই এখানে স্যোসাল গেদার তৈরি হোক। এখানে কাস্টমার নিজে মজাদার কফি ড্রিংকস তৈরির পুরো প্রক্রিয়াটাও দেখতে পাবেন। এখানে যারা কফি তৈরি করেন তারাসহ প্রতিষ্ঠানের সবাই খুব ফ্রেন্ডলি। আমাদের কর্মীরা সবাই আমেরিকা থেকে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত।