তিতলি এবার এসএসসি পরীক্ষায় জিপিএ-৪.৯৪(এ) পেয়েছে। তিতলির মন খুব খারাপ, একটুর জন্য এ+ পেল না।
জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে সন্তানের সাফল্যে বাবা মা যেমন আনন্দিত হন ঠিক তেমনি তাদের ব্যর্থতায় বাবা মা মানসিকভাবে ভেঙে পড়েন।
তবে মনে রাখতে হবে, সুসময়ে সবাই আপনার সন্তানকে বাহবা দেবে। কিন্তু দুঃসময়ে আপনি তার প্রতি সার্পোট না দিয়ে যদি সফলদের সঙ্গে তুলনা করেন, তাহলে সে কার কাছে সান্তনা পাবে? সন্তানের খারাপ সময়ে তাকে তিরস্কার না করে সাহায্য করুন।
তার প্রতি ধৈর্য দেখান, তাকে বোঝান এই ব্যর্থতা সময়িক, সামনে অনেক পথ পড়ে আছে। তার মেধার সঠিক ব্যবহারে ভবিষ্যতে সে কাঙ্ক্ষিত সাফল্য অবশ্যই অর্জন করবে। আপনার এবং সবার সুনাম বৃদ্ধি করা এই সন্তানের পক্ষেই সম্ভব।
এসএসসি পরীক্ষার ফল প্রকাশ হয়েছে। যদিও আগের তুলনায় রেজাল্ট অনেক ভালো। তারপরও অনেকেই তিতলির মতো একটুর জন্য সর্বোচ্চ ভালো রেজাল্ট করতে পারেনি, তাদের পাশে থাকুন। পরিবারের সমর্থন যদি আপনার সন্তানের সঙ্গে থাকে, ভবিষ্যতে সে ভালো কিছু করে দেখাবে। আর আপনি যদি ভেঙে পড়েন তবে সে হতাশ হয়ে যাবে। আর এটা হলে আপনার এবং সন্তানের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে না।
যারা কাঙ্ক্ষিত ফলাফল করেছে তাদের জন্য রইল অভিনন্দন। আর যারা একটুর জন্য এবার অতোটা ভালো করতে পারেনি, তাদের জন্য আগামীতে ভালো করবে এজন্য রইল শুভকামনা।