কানাডা প্রবাসী রিনি শাখাওয়াত তার ফেসবুকে লিখেছেন, গত বছর বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানানোর জন্য একজন মানুষ ছিল, যে আমাকে কোনো দিন কোনো পরিস্থিতিতে মাথা নত করতে শেখায় নি, যে কোনো দিন আমাকে ছেলে মেয়ের ভেদাভেদ বা ছোট বড় শেখায় নি, তখন আমি মাত্রই ক্লাস থ্রি'র ছাত্রী, আমাকে নিজ হাতে তার বিশাল বড় prince cycle টি দিয়ে cycle চালানো শিখিয়েছে, যে আমাকে motor cycle চালানো allow করেছে( যে দিনে মেয়েদের এসব করা allow ছিল না) সে ছিল একজন সৎ air force officer, একজন নির্ভীক মুক্তিযোদ্ধা, সে আমার আদর্শ, সে আমার বাবা, ( so proud of u, my first hero, my first love).
একদিন পার্কে মর্নিংওয়ার্ক করতে এসেছে বৃদ্ধ বাবা আর তার তরুণ ছেলে। একটি সুন্দর পাখি দেখে, বাবা ছেলের কাছে জানতে চাইলেন এটা কী পাখি? ছেলেটি উত্তর দিলো- টিয়া।
বাবা একই প্রশ্ন বার বার জানতে চাইলেন এটা কী পাখি? ছেলে রেগে বাবাকে উত্তরে বলল, তোমার সমস্যা কী? তুমি কি পাগল হয়ে গেছ, একই প্রশ্ন এতোবার করছো?
কিছু না বলে বাবা উঠে চলে গেলেন। ছেলেটি বাবার প্রতি চরম বিরক্তি নিয়ে সেখানেই বসে রইল।
কিছুক্ষণ পর বাবা একটি পুরোনো ডায়েরি নিয়ে ফিরে এলেন এবং ছেলেকে পড়তে বললেন।
ছেলেটি ডায়েরি পড়ে বাবাকে জড়িয়ে ধরে কেঁদে ফেলল এবং তার এমন আচরনের জন্য বাবার কাছে বারবার ক্ষমা চাইতে লাগলো।
ডায়েরির পাতায় লেখা ছিল-
আমার চার বছরের ছোট্ট ছেলেটি আজ সকালে আমার সঙ্গে পার্কে হাঁটতে গিয়েছিল। বাবু একটি টিয়া পাখি দেখে আমাকে ২৬ বার প্রশ্ন করল এটা কী পাখি... আমি প্রতিবার উত্তর দিলাম সে খুব আনন্দ পেল। বাবুর উল্লাস দেখে প্রতিবার উত্তর দেওয়ার পর আমি তাকে বুকে নিয়ে আদর করলাম।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনেই হয়তো বাবার সাথে এমন একটি গল্প আছে, সেই বাবার জায়গা যেন বৃদ্ধাশ্রমে না হয়...
আমাদের মনে রাখতে হবে, আজ যে শিশু তাকে পরিবারের বন্ধন আর নিজেদের সংস্কৃতি সর্ম্পকে এখন থেকেই শেখাতে হবে। আমরা পরিবারের বয়স্কদের প্রতি যেমন ব্যবহার করছি, ভবিষ্যতে নিজের সন্তানদের কাছ থেকে তেমনটাই পাব। আর তাই নাটক নির্মাতা কমল চৌধুরী বলেন, তিনি তার ছেলে-মেয়েকে প্রথমে ভালমানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে চান। তারপর অন্যসব...