তরুণদের কাছে জনপ্রিয় ফ্যাশন হাউস জেন্টাল পার্ক-এর যাত্রা শুরু হয় ২০০৬ সালের ১৯ সেপ্টেম্বর চট্টগ্রামের আগ্রাবাদে। অল্প সময়েই বন্দর নগরীর তরুণতুর্কীদের মাঝে এই হাউস মন জয় করতে সক্ষম হয়।
ঢাকার এক সময়কার সবচেয়ে জনপ্রিয় ছেলেদের পোশাকের ফ্যাশন আঙিনা এলিফ্যান্ট রোডে যাত্রা শুরু হয় তাদের প্রথম শাখার। বর্তমানে ঢাকা, চট্টগ্রাম, খুলনা, সিলেট, কক্সবাজার, বগুড়াতে মোট ৩০টি শাখা নিয়ে জেন্টাল পার্ক তার রিটেইল কার্যক্রম পরিচালনা করছে। এই হাউসের সবগুলো পোশাক নিজস্ব ডিজাইনারের ডিজাইন করা।
এসব পোশাকে পাশ্চাত্যের প্রভাব থাকলেও পোশাকগুলো কিন্তু তৈরি হয় এই দেশেরই শ্রম আর মেধা খরচ করে। জেন্টাল পার্কের ডিজাইনার ও কর্ণধার শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী বাবু বলেন, ' জেন্টাল পার্কে যত পোশাক তৈরি হয় তার সবগুলোতেই তারুণ্যের ছাপ থাকে। আমরা চেষ্টা করি এ সময়ের তরুণদের মাঝে দেশি প্রতিষ্ঠানের পোশাক পরার প্রবণতা তৈরি করবে। একটা সময় এদেশের তরুণরা শুধুই বিদেশি নামকরা ব্র্যান্ডের পোশাকগুলো খুঁজতো। এর পরে শুরু হয় বাজারে এসব ব্র্যান্ডের নকল পণ্যের বিক্রির রেওয়াজ। সেই ধারা ভেঙ্গে একেবারেই দেশি ব্র্যান্ডের স্টিকার লাগিয়ে পোশাক বিক্রির প্রয়াস নিয়ে জেন্টাল পার্ক এতদূর এসেছে। '
তিনি আরো বলেন, 'আমাদের পোশাকের বৈশিষ্ট্য হলো- প্রতিটি পোশাকের এক বার যে ডিজাইন হয়েছে, তার আর দ্বিতীয় বার হয় না। তাই তরুণদের মাঝে আমাদের পোশাকের একটা আলাদা ভালো লাগা তৈরি হয়েছে। '
প্রসঙ্গত, জেন্টল পার্ক ১৬ জুন চট্টগ্রামের জিইসি সার্কেলে বর্ণাঢ্য ফ্যাশণ শো এবং ফায়ার ওয়ার্কস দিয়ে উদ্বোধন করেন তাদের ফ্ল্যাগশিপ শপ-এর। এসময় উপস্থিত ছিলেন চট্টগ্রামের সাবেক মেয়র মহিউদ্দিন চৌধুরীসহ জেন্টল পার্কের চেয়ারম্যান শাহদাৎ হোসেন চৌধুরী বাবু, ব্যবস্থপনা পরিচালক আজিম চৌধুরী। নতুন এই ফ্ল্যাগশিপ শপে পাওয়া যাবে ছেলেদের এক্সিকিউটিভ শার্ট, ক্যাজুয়াল শার্ট, পলো শার্ট ও টি শার্ট।
আরও রয়েছে জিন্স প্যান্ট, কার্গো প্যান্ট, এক্সিকিউটিভ ও ক্যাজুয়াল প্যান্ট। এছাড়াও জেন্টলপার্ক ওমেন ও জুনিয়র কো ব্র্যান্ড এ থাকছে তরুণীদের পাশাপাশি শিশুদের জন্য বর্ণিল সব পাশ্চাত্য পোশাকের সংগ্রহ।