ঢাকা, শুক্রবার, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ২০ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

রোজায় ক্লান্তিহীন

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৭১৭ ঘণ্টা, জুন ২৩, ২০১৫
রোজায় ক্লান্তিহীন

আমরা পবিত্র রমজান মাসের জন্য সারা বছর অপেক্ষা করে থাকি। আমাদের অপেক্ষার পালা শেষে আবার রমজান মাস এসেছে।

ধর্মপ্রাণ মুসলিম রোজা পালন করছেন।

পবিত্র রমজানে আমাদের স্বাভাবিক জীবন যাপনের বেশকিছু পরিবর্তন ঘটে। আর সব থেকে বড় পরিবর্তন হয় খাবারের ক্ষেত্রে। গরমে প্রায় ১৫ ঘণ্টা রোজা রাখতে গিয়ে অনেকেরই পানিশূন্যতা, বুকজ্বালা কিংবা মাথাব্যথার মতো নানা শারীরিক সমস্যা দেখা দিতে পারে।

তবে প্রথম থেকে একটু সাবধান হয়ে চললে এই সমস্যা কাটিয়ে সুস্থ ভাবেই রোজা রাখতে পারবো।

মনে রাখতে হবে, রোজা রাখা স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর নয়, রমজানে চাই স্বাস্থ্যকর ও পুষ্টিকর খাবার। আমরা সারা দিন রোজা রাখার পর ইফতারে অতিরিক্ত তেলে ভাজা খাবার খাই। এ খাবারগুলো অনেক সময় বাইরে থেকে কিনে আনি। যার মান নিয়ে সংশয় থেকেই যায়।
পুরো রোজায় সুস্থ থাকতে আমরা যা করতে পারি:

•    বেশি ভাজাপোড়া খাবার খাওয়া থেকে বিরত থাকুন। এগুলো বদহজম, বুক জ্বালাপোড়া অথবা ওজন বাড়াতে সাহায্য করে
•    যেসব খাবারে অতিরিক্ত চিনি থাকে এগুলো খাবেন না
•    সেহরি ও ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খাওয়া ঠিক নয়
•    ইফতারে খেজুর, শরবত অথবা জুসের পাশাপাশি গ্লুকোজের শরবতও পান করতে পারেন
•    সেহরিতে ভাত, রুটি, মসুর ডাল, শাকসবজি বেশি পরিমাণে খান। এ খাবারগুলো পাকস্থলীতে পরিপাক হতে অনেক সময় লাগে
•    সেহরি ও ইফতারের মাঝে প্রচুর পানি পান করুন
•    বাজারে এখন অনেক ফল পাওয়া যাচ্ছে চেষ্টা করুন প্রতিদিনের ইফতারে কয়েক ধরনের ফল রাখতে
•    রাতের খাবারে ভুনা মাংস, পোলাও জাতীয় খাবার রোজা রেখে না খাওয়াই ভাল, এগুলো খেলে বেশি পানির তেষ্টা পায়
•    অতিরিক্ত চা ও কফি খাওয়া ঠিক নয়
•    বাইরে অনেক লোভনীয় ইফতারের পসরা সাজানো থাকলেও ঘরে তৈরি খাবারই স্বাস্থ্যসম্মত ও পুষ্টিকর
•    অনেকেই ঘুম থেকে জেগে সেহরি খেতে চান না, সেহরি না খেয়ে রোজা রাখলে শরীর ক্লান্ত ও দুর্বল হয়ে যায়
•    একটু কষ্ট হলেও সেহরি খেতে হবে।

এতোক্ষণ আমরা রোজায় ক্লান্তিহীন থাকতে খাবারের কথা জানলাম। আরও কিছু বিষয় জেনে রাখা ভালো, রোদে বাইরে গেলে অবশ্যই ছাতা ব্যবহার করুন

দিনে দুইবার গোসল করুন, পাঁচ ওয়াক্ত নামাজের জন্য ওযু করা ছাড়াও বার বার ঠাণ্ডা পানিতে মুখ ধুয়ে নিন।

ডায়াবেটিস, উচ্চরক্তচাপ বা অন্য কোনো অসুখ থাকলে ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে, রোজা রেখে নিয়মিত ওযুধ খাওয়ার সময় ঠিক করে নিন।

ওপরেরর বিষয়গুলো মেনে চলে, সুস্থ ও ক্লান্তিহীন ভাবে রোজা পালন করি।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।