ঈদের আনন্দের অনেকটাই জুড়ে থাকে কেনাকাটা। থ্রি-পিস, গজ কাপড়, শাড়ি, টপস, কুর্তি, নতুন ও বাহারি পাঞ্জাবি, শার্ট, প্যান্ট, টি-শার্ট, পোলো টি-শার্ট, বাচ্চাদের ড্রেস, ইম্পোর্টেড জুয়েলারি, সানগ্লাস, ঘড়ি, চামড়ার বেল্ট, ওয়ালেট, ঘর সাজানোর সামগ্রী, ইলেকট্রনিকস, ও প্রসাধনীসহ বাহারি সব পণ্যের পসরা সাজিয়ে দোকানীরা অপেক্ষা করছেন আপনার।
অনেকে এখনই লিস্ট তৈরি করে নেমে পড়েছেন পছন্দের জামা জুতো কিনতে। তবে হুট করে শপিংয়ে বেরিয়ে পড়লেই হলো না। সুষ্ঠুভাবে কেনাকাটা সারার জন্য চাই ভালো পরিকল্পনা। ঈদের শপিং বলে কথা! ছোটখাট ঝামেলা থেকেই যায়। এসংক্রান্ত কিছু টিপস্:
• শপিংয়ে যাওয়ার আগে প্রয়োজনীয় পণ্যের একটি তালিকা করে ফেলুন। এতে কম সময়েই অনেক প্রয়োজনীয় পণ্য কেনা সম্ভব হবে
• সব কেনাকাটা এক দিনে না করে, কয়েক বারে করুন। এতে যা কিনছেন সেগুলোর মান ভালো থাকবে
• ঠিক করে নিন কাকে কেমন দামের মধ্যে পোশাক ও আনুষঙ্গিক জিনিস কিনে দেবেন। এতে করে অযথা ঘোরাঘুরির পেছনে সময় নষ্ট হবে না
• শপিংয়ে যাওয়ার প্রস্তুতি নিন। বাইরে ভ্যাপসা গরম, এ সময় স্বাভাবিক সুতি পোশাক পরুন
• যদি শীতাতপ নিয়ন্ত্রিত শপিংমলে না যান তবে বাচ্চাদের না নেওয়াই ভালো।
• শিশুদের পোশাক কেনার দিন তাদের সঙ্গে নিন এবং তাদের পছন্দমতো পোশাক কিনুন
• কেনার সময় পোশাকের রং, সেলাই, মান এবং দাম ভালো করে দেখে নিন। কোনো সমস্যা থাকলে বদলে নিন
• কেনাকাটা শেষে বিল দেওয়ার পর, বিলের তালিকার সঙ্গে জিনিসের সংখ্যা মিলিয়ে নিন। এতে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা থাকে না
• বিল রিসিট ফেলে না দিয়ে কিছুদিন রেখে দিন। হঠাৎ কোনো জিনিস বদলানোর সময় কাজে লাগবে
• ভিড়ের মধ্যে কেনাকাটায় ব্যাগ ও পকেট সামলে রাখুন। কারণ ঈদের আগে মার্কেটের ভিড়ে পকেটমারের সংখ্যা অনেক বেড়ে যায়
• বড় শপিংমলগুলো ঈদের কেনাকাটায় পুরস্কার ঘোষণা করে। কুপন সংরক্ষণ করুন। একটি শাড়ি কিনে হয়তো গাড়ি জিতে যাবেন!
** দেশকে ভালবেসে উৎসবে দেশি পোশাক পরুন।