শান্তা দেশের নির্দিষ্ট এলাকার নির্দিষ্ট দুই একটি অভিজাত ব্র্যান্ড থেকে কেনাকাটা করেন। আর ঈদ বা বিশেষ কোনো উৎসবে দেশি পোশাক পরার কথা তো সে চিন্তাও করে না।
শান্তার মতো অনেকেরই উত্তর দেশি পোশাকগুলো মধ্যবিত্তের পোশাকের চাহিদাও নাকি ভালভাবে মেটাতে পারেনা। কোনো বিশেষ অনুষ্ঠানে গেলে বা কাউকে উপহার দেয়ার জন্য কোনো গর্জিয়াস পোশাক পাওয়া অনেকটাই দুষ্কর।
আসলেই কি তাই? আসলে আমাদের মাইন্ডসেট হয়ে গেছে এভাবে। কিন্তু বাস্তবতা হচ্ছে আমাদের দেশেও অনেক ভাল কাজ হচ্ছে পোশাক নিয়ে। আর এগুলো টেক্কা দিতে পারে যেকোনো তথা কথিত গর্জিয়াস ভিন-দেশি পোশাককে।
আমাদের দেশি বেশ কিছু হাউস রাজশাহী পিওর সিল্ক দিয়ে শাড়ি তৈরি করছে সঙ্গে থাকছে হাতের কাজ। শাড়িগুলো দেখতে যেমন সুন্দর আর পরতে তেমন কমফোর্টেবল। সব ধরনের অনুষ্ঠানে পরার উপযোগী এসব শাড়ি। আর যাদের কাছে বাজেট কোনো সমস্যা না তারাও শাড়ি কিনতে বিদেশি সিরিয়ালের নায়িকা বা ভিলেনের পরা শাড়ির কপি কেনার আগে একবার ঘুরে আসতে পারেন আড়ং, অঞ্জন’স বা ড্রেসিডেলের মতো হাউসগুলো।
আট থেকে ১৮ হাজারের মধ্যে পেয়ে যাবেন গর্জিয়াস, অভিজাত দেশি শাড়ি।
আজকাল সংবাদে প্রায়ই দেখছি জমে উঠেছে জামদানীর হাট। ঢাকা থেকে ভোর-রাতে গিয়ে নিজের জন্য, পরিবারের সবাইকে উপহার দিতে কিনে আনছেন পছন্দের-প্রিয় শাড়িটি। জামদানীর কথা নতুন করে বলার কিছু নেই। প্রতিটি বাঙালি নারীর কাছেই এই শাড়ি অমূল্য।
আর মূল্যের কথা যদি ভাবেন তো চাইলে লাখ টাকায়ও কিনতে পারবেন জামদানী শাড়ি। দেশি গ্রামের খেটে খাওয়া তাঁতীর হাতে তৈরি একটি জামদানীর সঙ্গে জড়িয়ে থাকে না দেখা আরও অনেক কথা, শ্রম আর স্বপ্ন। দেশি জামদানী শুধু দেশের বাজারেই নয় বিশ্বের বহু জায়গায় সমাদৃত।
এরপরও যারা আরও গর্জিয়াস লুকের ফ্যাশনেবল আধুনিক ডিজাইনের শাড়ি চান, আপনাদের জন্যও অপশন আছে।
কিছু ফ্যাশন হাউস ও কয়েক জন তরুণ উদ্যোক্তা কাজ করছেন আপনাদের জন্য। দেশি কাপড় ও কাজের মাধ্যমে তারা নিজস্ব ডিজাইনে তৈরি করছে দারুণ সব কালেকশন। নিজের চোখে না দেখলে আপনি হয়তো বিদেশি ভেবেই ভুল করবেন।
তবে অভিজাত আর গর্জিয়াস শাড়িগুলো তুলনামূলক দামও কিন্তু হাতের নাগালে। এমনই এক্সক্লুসিভ কালেকশন দিয়ে খুব অল্প সময়ে জনপ্রিয়তা এবং ক্রেতার আস্থা অর্জন করেছে এমন একটি অনলাইন শপ অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভ।
অদ্রিয়ানা এক্সক্লুসিভের কর্ণধার ও ডিজাইনার নাজিয়া হাসান অদিতি বলেন, খুব খারাপ লাগতো কোনো প্রোগ্রামে গেলে যখন দেখতাম আমাদের দেশের সেলিব্রেটি থেকে সাধারণ গৃহিনী সবাই বিদেশি পোশাক পরে এসেছে। তখনই চিন্তা করতাম এমন একটা জায়গা থাকতো যেখানে এসব পোশাকের চেয়েও সুন্দর আর গর্জিয়াস পোশাক সাধ্যের মধ্যে পাওয়া যেত তাহলে কত ভাল হতো। পরে ভাবলাম, কে করবে তার জন্য অপেক্ষা কেন, আমিই শুরু করি। এই ভাবনা থেকেই মূলত কিছু শাড়ি ডিজাইন করা, সবাই শাড়িগুলো এভাবে লুফে নিল যেন এগুলোর জন্যই অপেক্ষা করেছিল। তারপর থেকে নিয়মিত কাজ করছি সবার কাছ থেকে ভাল সাড়া পাচ্ছি। আর দেশি শাড়ি সবার কাছে পৌঁছে দেয়ার আনন্দই আলাদা।
সাধারণ আর অসাধারণ--দেশি পোশাকেই হোক এবারের ঈদ।
নাজিয়া হাসান অদিতি