ঈদ আসছে, সেই সঙ্গে নিচ্ছি প্রস্তুতিও। পোশাক কেনা এরই মধ্যে শেষ।
ঘরে বিছানা অনেকটা জায়গাজুড়ে থাকে, ঈদের বিশেষ এই দিনে তাই বিছানার চাদর এবং কুশন নির্বাচনে যত্নবান হতে হবে।
বেডরুমে জামাকাপড় এলোমেলো না রেখে স্টোর করার জন্য ওয়্যারড্রোব বা আলমারি ব্যবহার করুন। ঈদে বেডরুমের চেহারা বদলে দিতে সাহায্য করবে রঙবেরঙের কুশন।
অতিথি আপ্যায়নে সবসময়ই বসার ঘরটি পরিপাটি করে রাখতে হয়। মনে রাখবেন বসার ঘরের অন্দরসাজ আমাদের রুচির প্রথম বহিঃপ্রকাশ। যেহেতু বসার ঘর বাড়ির অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অংশ, তাই এই ঘরটা সুন্দর করে গুছিয়ে রাখা অত্যান্ত জরুরি।
অনেক দিন ঘরের আসবাবগুলো একই জায়গায় থাকলে কিছু জিনিসের ডেকোরেশন বদলে দিন। ঈদ এবং যেকোনো উৎসবে আমাদের বসার ঘরের আলোকসজ্জাকে অবশ্যই হতে হবে আধুনিক ও সুন্দর। স্ট্যান্ডিং লাইট হলে সোফার ডান বা বাম পাশে লাইট রাখুন।
সোফার কভার এবং কুশন আর জানালার পর্দাগুলো পাল্টে দিন, দেখবেন পুরো বাড়ি ঈদের সাজে নতুন হয়ে উঠবে।
ঘর সাজানোর নিত্যনতুন ডিজাইনের নতুন বিছনার চাদর, পর্দা, কুশনসহ নানা রকম পণ্য কিনতে যেতে পারেন হাউস আড়ং, দেশাল, বিবিয়ানা, রং, অঞ্জন’স, কে-ক্রাফট, যাত্রা এবং নগরদোলায়। এগুলোর বিছনার চাদরের দাম ৫০০-২০০০ টাকা পর্দার দাম পড়বে ৪০০-৬০০, কুশনকভারের দাম ১৫০-৪০০ টাকা। প্রায় প্রতিটি ফ্যাশন হাউসের পর্দা, কুশন ও বেডকভারের দাম কাছাকাছি।
ঈদের মূল আকর্ষণ কিন্তু মজার মজার সব খাবার। আর এই খাবারগুলো তৈরি হয় রান্নাঘরে।
তাই ঈদের অন্তত দুদিন আগেই রান্নাঘর পরিষ্কার করুন। মসলার পাত্রের গায়ে নাম লিখে গুছিয়ে নিন, যেন প্রয়োজনেই হাতের নাগালে পেতে পারেন। ঈদের দিনের কাজের চাপ কমাতে কিছু বিশেষ রান্না আগেই করে ফ্রিজে রেখে দিন।
বটি, ছুরি আগেই ধার দিয়ে আনুন এবং হাতের কাছে রাখুন।
ঈদের পর বাসায় অনেক অতিথি আসেন, তখন খুব দ্রুত রান্না করার দরকার হয়। তাই বেশ খানিকটা মসলা ব্লেন্ড করে ফ্রিজে রেখে দিন, রান্না করতে কষ্ট কমে যাবে।
আগেই চেক করুন প্লেট-গ্লাস, কাপ-পিরিচ, চামচ সব সেট মেলানো আর গোছানো আছে কিনা। শো-কেস আর কিচেন কেবিনেট থেকে সব কিছু বের করে পরিষ্কার করে গুছিয়ে রাখুন।
কোরবানি ঈদের একটি বড় কাজ মাংস ফ্রিজে রাখা। এজন্য প্রয়োজন হবে অনেকগুলো প্যাকেট। এগুলোও আগেই এনে রাখুন।
ঈদের দিন ঘরে পছন্দের কিছু তাজা ফুল রেখে দিন। তাজা ফুলের সৌরভে ঈদের আনন্দে ভরে উঠুক আমাদের ছোট ঘর।