এই ঈদের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অংশ পশু কোরবানি। আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য আমরা সাধ্য অনুযায়ী পশু কোরবানি করি।
পরিবেশ সুন্দর রাখার দায়িত্বও আমাদের। পশু কোরবানি যেমন সামর্থবানদের জন্য বাধ্যতামূলক, কোরবানির পর সেই নোংরা পরিষ্কার করাও আমাদের জন্য বাধ্যতামূলকই ভাবতে হবে।
এই পরিবেশে দূষিত হলে তার খারাপ প্রভাব আমাদের ওপরই ফিরে আসবে।
পরিচ্ছন্নতা নিশ্চিত করতে আমাদের যা করতে হবে:
• কোরবানির স্থান পরিষ্কার করা
• কোরবানি দেওয়ার পর যত তাড়াতাড়ি সম্ভব পশুর চামড়া বিক্রি কিংবা দান করতে হবে
• কোরবানির আগেই বাড়ির পাশে কোনো মাঠে কিংবা পরিত্যক্ত জায়গায় একটা গর্ত তৈরি করে রাখুন
• মাংস কাটার সময় উচ্ছিষ্টগুলো যেখানে সেখানে না ফেলে এক জায়গায় রাখুন কাজ শেষে সেগুলো গর্তে পুতে ফেলুন।
• পশুর ভুড়ি পরিষ্কারের পর সেই আবর্জনা খোলা অবস্থায় না রেখে গর্তে পুতে ফেলুন।
• কোরবানির সব কাজ শেষে রক্তে মাখা রাস্তাঘাট ধুয়ে পরিষ্কার করে ফেলুন।
• জীবানু যেন ছড়াতে না পারে সেজন্য নোংরা জায়গা পরিষ্কারের সময় স্যাভলন মেলানো পানি ব্যবহার করুন।
সারাদিন পর যখন বিকালে কিংবা সন্ধ্যার পর বেড়াতে বের হবেন দেখবেন দুর্গন্ধহীন ফুরফুরে উৎসবের আমেজ চারদিকে। আমাদের সচেতনতাই পারে কোরবানির পরে স্বাস্থ্যকর পরিবেশ বজায় রাখতে।
আমরা যেন শুধু পশু কোরবানির মাধ্যমেই ত্যাগ শব্দটি সীমাবদ্ধ না রাখি। এই দিনের শিক্ষা যেন আমরা সারাজীবন ধরে রাখতে পারি।
সবাই পরিবারের সঙ্গে নিরাপদে, আনন্দে ঈদ উদ্যাপন করুন।