শীতে শুধু আমাদের শরীরের ত্বকই রুক্ষ হয়ে যায় না। প্রকৃতির মতোই আমাদের চুলও রুক্ষ ও নিস্প্রাণ হয়ে ওঠে।
আমাদের চুল সুন্দর রাখতে খুব কষ্ট করতে হবে না, শুধু প্রয়োজন ইচ্ছা আর একটু যত্ন।
প্রথমেই প্রতিদিন বাইরে থেকে ফিরে চুল শ্যাম্পু করে ধুয়ে নিতে হবে।
চুল ধোয়ার সময় লক্ষ্য রাখতে হবে, যেন ময়লা যেমন জমে থাকা যাবে না, তেমনি শ্যাম্পু এবং কন্ডিশনারও খুব ভালোভাবে পরিষ্কার করতে হবে।
সপ্তাহে অন্তত দুই দিন নারকেল তেল গরম করে মাথায় লাগিয়ে ২ ঘণ্টা রেখে ধুয়ে নিলে উপকার পাওয়া যায়।
এতো গেল স্বাভাবিক যত্ন, বেশি সুন্দর ঝলমলে চুল চাইলে তো নিতে হবে বাড়তি একটু যত্ন। ঘরের তৈরি প্যাক নিয়মিত ব্যবহারে ফিরে পেতে পারি চুলের হারানো সৌন্দর্ সেই সাথে দূর করতে পারি খুশকিও। যা করতে হবে-
মেহেদি পেস্ট-১ টেবিল চামচ, টক দই-১ টেবিল চামচ, ডিম ১ টি, মধু- ১ চা চামচ একসঙ্গে নিয়ে প্যাক তৈরি করুন। এই প্যাক পুরো চুলে লাগিয়ে ৩০ মিনিট রেখে শ্যাম্পু করুন।
৪ টেবিল চামচ বেসনের সাথে ২ টেবিল চামচ দই মিশিয়ে একটি পেস্ট তৈরি করুন। গোসলের আগে এই প্যাক লাগিয়ে ১ ঘণ্টা পর শ্যাম্পু করে ফেলবেন। চাইলে শুধু মাত্র পানি দিয়েও ধুয়ে ফেলতে পারেন।
পেঁয়াজের রস-১ টেবিল চামচ, লেবুর রস এবং মসুরের ডাল বাটা দিয়ে পেস্ট তৈরি করে চুলে মেখে আধা ঘণ্টা রাখুন। এবার খুশকি মুক্ত শ্যাম্পু ও কন্ডিশনার দিয়ে চুল ধুয়ে নিন।
কটন প্যাডে ভিনেগার নিন। তারপর চুলে বিলি কেটে কেটে পুরো মাথায় লাগান। সপ্তাহে ২ দিন গোসলের ১ ঘণ্টা আগে লাগিয়ে রাখুন।
নিম পাতা খুশকির জন্য অত্যন্ত উপকারী। ২ মুঠো নিম পাতা ৪/৫ কাপ গরম পানিতে সারা রাত ভিজিয়ে রাখুন। সকালে পানিটি ছেঁকে চুল ধুয়ে নিতে পারেন অথবা আপনি যদি চান তাহলে কাঁচা নিম পাতা ব্লেণ্ড করে মাথার তালুতে লাগিয়ে ১ ঘণ্টা অপেক্ষা করুন। তারপর পানি দিয়ে ধুয়ে ফেলুন। সপ্তাহে ২ বার করুন।
নিয়মিত যত্ন নিলে খুশকিমুক্ত সুন্দর চুল নিয়ে আনন্দে কাটানো যাবে শীতের সময়। আর নিয়মিত যত্নে নেওয়ার পরেও যদি খুশকির সমস্যার কোনো উন্নতি না হয়, তবে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।