শাহেদ রুমা খুব ভালো বন্ধু দুজনই শিক্ষিত প্রতিষ্ঠিত। দুই পরিবারের আর্থিক ও সামাজিক অবস্থাও একই রকম।
আপনি যদি নতুন সম্পর্কে জড়াতে চান, জীবনসঙ্গী নির্বাচনের সিদ্ধান্ত নেয়ার আগে কিছু বিষয় লক্ষ্য করুন, কারণ এমন অবস্থায় আমরা যদি আগে থেকেই একটু সচেতন হতে পারি, তবে অনেক অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়ানো সম্ভব।
জেনে নিন কাদের এড়িয়ে যাবেন:
একটি সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে এসেছে
যে ব্যক্তিটি খুব অল্প সময় আগে একটি সম্পর্কে ইতি টেনেছেন, তার মানসিক অবস্থা কিছুটা দুর্বল থাকে সে কোনো আশ্রয় খুঁজতে চায়। তবে সে আপনার সঙ্গে যতই বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরি করতে আগ্রহী হোক তার মানে কিন্তু এমন নয় যে সে আপনাকে এখনই জীবনসঙ্গী হিসেবে জায়গা দেবে। তাই এধরনের মানুষের সঙ্গে মেলামেশা করার আগেই বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা করে নিন।
অর্থনৈতিক অবস্থা
আপনি শিক্ষিত, স্বাধীনচেতা, আত্মমযার্দা সম্পন্ন নারী। আপনি হয়তো নিজেই বেশ ভালো আয় করছেন। বেশির ভাগ মেয়েই তার জীবনসঙ্গী খুব ধনী হবে এটা ভাবে না। কিন্তু আপনার দায়িত্ব নেয়ার মতো সামর্থ এবং আপনার ছোট ছোট স্বপ্নগুলো বাস্তবে রূপ দিতে হলে কিছুটা সামর্থবান, স্বচ্ছল লোককেই বেছে নিন। কারণ সঙ্গীর আয়, কর্মক্ষেত্র এবং সামাজিক অবস্থান যদি আপনার চেয়ে কম হয় তবে তিনিই হীনমন্যতায় ভুগবেন। আর একসময় এটা নিয়েই নিজেদের মধ্যে ভুল বোঝাবুঝিও সৃষ্টি হতে পারে।
প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে তুলনা
তুমি ভালো, কিন্তু সে আরও ভালো ছিলো! অথবা তুমি এমন ভাবে কাজটি করেছো তোমার চেয়ে সে অনেক ভালো ভাবে করে দিতো। প্রাক্তন প্রেমিকার সঙ্গে তুলনা করে যে আপনাকে এধরনের কথা বলে তার সঙ্গে ঘর বাধার আগেই সরে আসুন। সারা জীবন নিজের মাথা দেয়ালে না ঠুকে...আপনার জন্য ভালো হবে তাকে বেরিয়ে যাওয়ার দরজাটা দেখিয়ে দিন।
প্রথম দেখায় ভালোবাসা
এটা শুধুমাত্র নাকট বা সিনেমায় ঘটবে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রে, প্রথম দেখায় শুধু একটি সাময়িক ভালো লাগা তৈরি হতে পারে। কিন্তু প্রেম, ভালোবাসা এবং বিয়ের মতো গুরুত্বপূর্ণ সম্পর্ক তৈরির সিদ্ধান্ত নিতে সময় প্রয়োজন। কেউ একজন এসে বলে দিলো `আমি তোমায় ভালোবাসি` আর ভালোবাসা হয়ে গেলো। এমন লোক সম্পর্কেও ভালোভাবে খোঁজ না নিয়ে বড় পদক্ষেপ গ্রহণ না করাই শ্রেয়।
হয়তো সিদ্ধান্তটি ভুল ছিল
অপরিণত, স্বার্থপর আখ্যা দিয়ে আপনার সঙ্গে সম্পর্ক করে কোনো ভুল করেছেন। এই সিদ্ধান্ত নেওয়া ঠিক বা ভুল হয়েছে, একটি সম্পর্ক নিয়ে যখন কোনো ‘প্রিয়তম’ এমন চিন্তা আর মন্তব্য করেন। তার বিষয়ে আপনি কী সিদ্ধান্ত নেবেন?
`না` সহ্য করতে পারেন না
যদি এমন হয় টিভি দেখার সময় রিমোটের নিয়ন্ত্রণ শুধু তার হাতেই থাকবে। আপনার পছন্দের কোনো অনুষ্ঠান দেখতে চাইলেও পারছেন না। ছোট কোনো বিষয়েও তার সিদ্ধান্তের বাইরে গেলে বা তার কোনো গঠন মূলক সমালোচনাও তিনি নিতে পারছেন না। রেগে যাচ্ছেন অথবা আপনার ওপর তার সিদ্ধান্ত চাপিয়ে দিতে চাচ্ছেন। তবে সময় থাকতে সরে আসুন।
সব সিদ্ধান্ত পরিবারের
এটা সত্যি আমাদের জীবনের প্রায় সব কিছুতেই পরিবারের প্রভাব থাকে। তবে একটি সম্পর্ক যখন পূর্ণতার দিকে যাওয়ার সময় হয়, তখন আপনার ছেলে বন্ধুটি যদি বলে, সব সিদ্ধান্ত তার পরিবারের। এক্ষেত্রে তার কোনো মন্তব্য নেই এধরনের মনোভাব প্রকাশ করে, এর মানে হচ্ছে সে আসলে আপনার সঙ্গে সম্পর্কের ক্ষেত্রে সৎ ছিলেন না। আর তাই...
সুখী হতে বেছে নিন সঠিক জীবন সঙ্গী।
বন্ধুরা আরও নানা বিষয়ে জানতে ও আপনার মতামত জানাতে https://www.facebook.com/bnlifestyle
লাইফস্টাইল বিভাগে লেখা পাঠাতে পারেন [email protected]