ঢাকা, বৃহস্পতিবার, ৬ অগ্রহায়ণ ১৪৩১, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ১৯ জমাদিউল আউয়াল ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

নতুন বছরে ওজন কমান

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬২৭ ঘণ্টা, ডিসেম্বর ২৮, ২০১৫
নতুন বছরে ওজন কমান

বাড়তি ওজন আমাদের একটি প্রধান স্বাস্থ্য সমস্যা। আর তাই আমরা অনেকেই এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে চাই।



সাধারণত ওজন কমানোর জন্য আমরা খাওয়া কমিয়ে দেই অথবা দীর্ঘ সময় জিমে কাটাই। তবে অতিরিক্ত কম খেয়ে ওজন কমানোর চেষ্টায় আমাদের শরীর প্রয়োজনীয় পুষ্টি ও ক্যালোরি না পেয়ে অপুষ্টিতে আক্রান্ত হতে পারে।

শরীরের কোন ক্ষতি না করে, প্রাকৃতিক পদ্ধতিতেও ওজন কমানো যায়।

আসুন জেনে নেই কীভাবে নতুন বছরে বাড়তি ওজন ঝড়িয়ে আমরা পেতে পারি স্লিম ফিগার:

খাবার বাছাই
ওজন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়ার পর দেখতে হবে, কোন খাদ্য আমাদের শরীরে অনেক বেশি সময় ক্ষুধা নিবারণ করতে পারে। এক্ষেত্রে গমের আটার রুটি আর সবজি খেতে পারি। বাইরের তেল মশলাযুক্ত খাবার না খেয়ে ঘরের খাবার খেতে আগ্রহী হয়ে উঠতে পারলে শরীরের জন্য ভালো। শস্য জাতীয় খাদ্য আমাদের শরীরের বিপাক ক্রিয়া সহজ ও স্বাভাবিক করে। এতে শরীর বেশকিছু সময়ের জন্য ব্যস্ত থাকে এবং সারা দিনের শক্তি উৎপাদন এবং বণ্টন হতে থাকে। যার ফলে ক্ষুধার তীব্রতা হ্রাস পায়। বিশেষ করে মিষ্টি জাতীয় খাবারের প্রতি আকর্ষণ কমে। ডিম ছাড়া বেকড আইটেম এবং চিনি  ছাড়া ফলের জুস খাওয়ার অভ্যেস গড়ে তুলুন। ফাস্টফুডের পরিবর্তে প্রচুর ফল খাওয়ার অভ্যেস করুন। সপ্তাহে একদিন অন্য খাবার না খেয়ে শুধু ফল খেয়ে থাকতে পারেন।

পানি পান করুন:
আপনার ওজন কমানোর প্রধান হাতিয়ার হিসেবে প্রচুর পানি পান করুন। প্রত্যেক বার ক্ষুধার্ত হলে অথবা খাবার খাওয়ার আগে পানি পান করুন। এভাবে নিয়মিত পানি পান আমাদের ক্ষুধা কমানোর কার্যকর একটি উপায়।

ধীর ধীরে খান:
খাবার খাওয়া কমাতে মানসিক প্রস্তুতি নিন। ধীরে ধীরে খেতে চেষ্টা করুন। খাবার সময় চিবানোর পরিমাণ বাড়িয়ে দিন। এতে আমরা প্রতিটি কামড়ে বেশি তৃপ্তি পেতে পারি। একবারে বেশি করে খাওয়ার পরিবর্তে কয়েকবার অল্প পরিমাণে খান। এতে করে এই মানসিকতা জন্মায় যে আমরা বারবার খাচ্ছি। ফলে আমরা খাবারের পরিমাণ সম্পর্কে আরও সচেতনত হয়ে উঠবো।

লিফটকে না বলুন:
আমরা অনেকেই ওজন কমাতে চাই। কিন্তু কোনো কষ্ট করতে রাজি না। এক্ষেত্রে আমাদের বাসা, অফিস শপিংসেন্টার যেখানেই যাই তিন চার তলায় ওঠার জন্য লিফটের অপেক্ষা না করে সিঁড়ি দিয়ে ওঠার অভ্যেস তৈরি করতে হবে।

নিয়মগুলো মেনে চলতে শুরু করেই দেখুন। কিছুদিনের মধ্যেই শরীর অনেক বেশি ফুরফুরে অনুভব করবেন। আর ওজন কমানো তো সময়ের ব্যাপার মাত্র।

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।