ঢাকা, শুক্রবার, ১২ পৌষ ১৪৩১, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৪ জমাদিউস সানি ১৪৪৬

লাইফস্টাইল

ঈদে কী রান্না হবে?

লাইফস্টাইল ডেস্ক | বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম
আপডেট: ১৬৩৪ ঘণ্টা, জুলাই ২, ২০১৬
ঈদে কী রান্না হবে?

অন্য দিন থেকে ঈদের দিনটি আলাদা হয় আসলে মজার মজার রান্না এবং সবাইকে খাওয়ানোর মাধ্যমে। তো প্লান করছেন এই ঈদে কী কী রান্না হবে? যদি নতুন রাধুনী হয়ে থাকেন জেনে নিন ঈদের দিনে রান্নার জন্য কয়েকটি আইটেম।

নওয়াবি বিরিয়ানি

উপকরণ: বাসমতি চাল ১ কেজি, খাশির মাংস(ছোট টুকরো করে কাটা) ২ কেজি, পেঁয়াজ কুচি ৭টি, আদা রসুন বাটা ২ চা চামচ, গরম মশলা গুঁড়া ১ চা চামচ, শুকনা মরিচ ৫টি, দারচিনি ৩ টুকরো, দই ২ কাপ (ফেটানো), এলাচ ৫টি, গোল মরিচ ৮টি, লবঙ্গ ৮টি, শাহীজিরা ১ চা চামচ,  হলুদ গুঁড়া আধা চা চামচ, জাফরান সামান্য সঙ্গে আধা কাপ দুধ, ধনে বা পুদিনাপাতা কুচি ১ চা চামচ, আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল, ঘি, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালী: পাত্রে ঘি গরম করে আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল একটু লবণ দিয়ে ভেজে তুলুন।
এবার পেঁয়াজ বেরেস্তা করে নিন।

দই, আদা পেঁয়াজ-রসুন-পেস্ট, হলুদ গুঁড়া ও লবণ দিয়ে মাংস মেরিনেট করে রাখুন। একটি পাত্রে ঘি গরম করে মাংস দিয়ে রান্না করুন।

এবার অন্য একটি পাত্রে ঘি গরম করে গোটা মশলাগুলো কিছুক্ষণ ভেজে চাল দিন। এখন লবণ দিয়ে পরিমাণ মতো গরম পানি দিয়ে পোলাও রান্না করুন। লক্ষ্য রাখবেন যেন পোলাও কিছুটা কম সেদ্ধ হয়।

বড় একটি পাত্রে প্রথমে কিছু পোলাও তারপর মাংস দিয়ে একটু একটু গরম মসলার গুঁড়া দিন, এভাবে কয়েকটি লেয়ার করুন। জাফরান ভেজানো দুধ দিয়ে দিন। সবশেষে ভাজা আলুবোখারা, কিসমিস, বাদাম, শুকনো ফল দিন এবার ২০ মিনিটের জন্য চুলার আচঁ কমিয়ে পাত্রের মুখে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে রাখুন।

নওয়াবি বিরিয়ানি সার্ভিং ডিশে তুলে ওপরে ধনে বা পুদিনাপাতা কুঁচি ছড়িয়ে গরম গরম পরিবেশন করুন।


খাসির মাংসের রেজালা

উপকরণ: খাসির মাংস ২ কেজি, আদা বাটা ২ টেবিল চামচ, রসুন বাটা ২ চা চামচ, পেঁয়াজ বাটা ১ কাপ, হলুদগুঁড়া ২ চা চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, জিরার গুঁড়া ২ চা চামচ, ধনেগুঁড়া ২ চা চামচ, পোস্তদানা বাটা ২ টেবিল চামচ, তেল ১ কাপ, ঘি ২ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ অনুযায়ী, কাঁচা মরিচ ১০টি, তেজ পাতা ২টি, দারচিনি ৩ টুকরা, এলাচ ৪টি, পেঁয়াজ কুচি ২ কাপ, আলু ৬টি, কেওড়া জল ১ টেবিল চামচ।

প্রণালী: খাসির মাংস টুকরো করে কেটে ধুয়ে পানি ঝরিয়ে নিন। হাঁড়িতে তেল গরম করে দারচিনি, এলাচ ও তেজপাতার ফোড়ন দিয়ে পেঁয়াজ বাদামি করে ভাজুন। এবারে মাংস ও লবণ দিয়ে ১০-১৫ মিনিট ভেজে নিন।

মাংস ভাজা হলে পোস্তদানা বাটা ও জিরার গুঁড়া বাদে অন্যান্য বাটা মসলা দিয়ে কিছুক্ষণ কষিয়ে ঢেকে দিন। ১০-১৫ মিনিট পর ঢাকনা খুলে ১ কাপ গরম পানি দিয়ে মাঝারি আঁচে কিছুক্ষণ রান্না করুন ও ঢেকে দিন। আলুগুলো ছিলে লম্বালম্বি মাঝখান থেকে কেটে ২ টুকরা করে দিন। পানি শুকিয়ে এলে আরও ১ থেকে দেড় কাপ গরম পানি দিয়ে আলু এবং কাঁচা মরিচ দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর ঢাকনা খুলে জিরাগুঁড়া ও পোস্তদানা বাটা দিয়ে নেড়ে আবারও ঢেকে দিন।

আলু সেদ্ধ হয়ে গেলে আঁচ কমিয়ে ঢাকনা খুলে প্রয়োজন হলে আরও সামান্য পানি ও কেওড়া দিয়ে হালকা নেড়ে ঢেকে দিন। মাংস মজে তেল অল্প ছাড়লে ১ টেবিল চামচ ঘি দিয়ে নেড়ে ঢেকে দিন। ১০ মিনিট পর চুলা বন্ধ করে দমে রাখুন কিছুক্ষণ।

আচারে গরুর মাংস

উপকরণ: গরুর মাংস ৩ কেজি, টক দই ১ কাপ, আদাবাটা ৩ টেবিল চামচ, সিরকা আধা কাপ, রসুনবাটা ৩ টেবিল চামচ, মেথি আধা চা চামচ পেঁয়াজবাটা ২ কাপ, ঘি ও তেল ১ কাপ, জলপাইয়ের আচার ৪ টেবিল চামচ, মরিচের গুঁড়া ২ চা চামচ, বাদামবাটা ১ টেবিল চামচ, লবণ স্বাদ মতো।

প্রণালী: মাংস ধুয়ে পানি ঝরিয়ে আদা, রসুন, পেঁয়াজবাটা, টক দই, সিরকা, মরিচের গুঁড়া, লবণ ও বাদামবাটা দিয়ে আধ ঘণ্টা মেরিনেট করে রাখুন। এবার পাত্রে তেল ও ঘি দিয়ে মেথির ফোড়ন দিন। এরপর মেরিনেট করা মাংস দিয়ে রান্না করুন। মৃদু আঁচে ঢাকনা দিয়ে রান্না করে মাংস যখন সেদ্ধ হবে, তখন জলপাইয়ের আচার দিয়ে আরও ১০ মিনিট পরে নামিয়ে নিন।
 

বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম'র প্রকাশিত/প্রচারিত কোনো সংবাদ, তথ্য, ছবি, আলোকচিত্র, রেখাচিত্র, ভিডিওচিত্র, অডিও কনটেন্ট কপিরাইট আইনে পূর্বানুমতি ছাড়া ব্যবহার করা যাবে না।