সত্যি যারা এই সমস্যাগুলোর ভেতর দিয়ে যান, তারাই বোঝেন এটা যে কতো কষ্টের অনুভূতি। কিন্তু আপনাদের জেনে ভালো লাগবে, এসব সমস্যার খুব সহজ সমাধান অ্যালোভেরা।
হজম শক্তি বাড়াতে ও ওজন কমাতে: আমরা যারা ওজন কমাতে চাই, তাদের জন্য বলছি, ওজন কমানোর বিষয়টি নিয়মিত জিম করার ওপর নির্ভর করে মাত্র ১০ শতাংশ। আর বাকি ৯০ শতাংশ নির্ভর করে আমরা যে খাবারগুলো খাচ্ছি তা ঠিকভাবে হজম হয়ে আমাদের দেহে শক্তি হিসেবে যোগ হচ্ছে না বাড়তি মেদ জমিয়ে আরও মোটা করে তুলছে। প্রতিদিন সকালে ২ টেবিল চামচ অ্যালোভেরার রস পানি দিয়ে মিশিয়ে পান করুন। এতে হজম শক্তি বাড়বে, পরিপাকতন্ত্র সতেজ থাকে এবং কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়। আর ওজনও নিয়ন্ত্রণে থাকে।
ত্বক: অ্যালোভেরা পাতার রস নিয়মিত ত্বকে ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতা বাড়ে এবং রোদে পোড়াভাব দূর হয়। এটি সব ধরনের ত্বকের জন্যই উপকারি, কারণ এর কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। অতি সংবেদনশীল ত্বক কিংবা ব্রণ ওঠার প্রবনতা যাদের বেশি তারা এর থেকে অনেক বেশি উপকার পাবেন। বিশেষ করে ত্বক কোমল ও মশৃণ করতে এবং ত্বকে ব্রণের দাগ দূর করতেও অ্যালোভেরার রস দারুণ কাযর্কর। তুলার বল দিয়ে অ্যালোভেরার রস ত্বকে মেখে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে নিন।
চুল: খুশকি দূর করতে মেহেদিপাতার সঙ্গে অ্যালোভেরা মিশিয়ে লাগাতে পারেন চুলে। মাথা যদি সব সময় গরম থাকে তাহলে পাতার শাঁস প্রতিদিন একবার তালুতে নিয়ম করে লাগালে মাথা ঠাণ্ডা হয়৷ অ্যালোভেরার রস মাথার তালুতে ঘষে এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলুন। চুল পড়া বন্ধ হবে এবং নতুন চুল গজাবে। শ্যাম্পু করার আগে আধা ঘণ্টা অ্যালোভেরার রস পুরো চুলে লাগিয়ে রাখুন। শ্যাম্পু করার পর… চুল থেকে হাত সরাতেই মন চাইবে না।