কলাতলী বা লাবনী বিচে এতো ভিড় থাকে অনেক সময় বসারও জায়গা পাওয়া কঠিন হয়ে যায়। আর শহরের ব্যস্ততা দূরে ঠেলে আমরা তো একটু একান্তে প্রকৃতির বিশালতার ছোঁয়া পেতেই ছুটে যাই সাগর পাড়ে।
কক্সবাজার কলাতলী থেকে মিনিট দশেক গেলে মেরিন ড্রাইভ রোডের শুরুতেই মনোরম নিরিবিলি পরিবেশে আন্তর্জাতিকমানের সব সুবিধা নিয়ে গড়ে উঠেছে নিসর্গ রিসোর্ট।
নিসর্গের বিশেষত্ব হচ্ছে এখানে প্রতিটি রুম থেকেই অতিথিরা উপভোগ করতে পারেন সমুদ্রের সৌন্দর্য। বিছানায় শুয়ে কান পাতলে শুনতে পাবেন ঢেউয়ের গর্জন। সবগুলো রুমের সঙ্গে রয়েছে বেলকনি ও লিভিং রুম। রুমের সাইজ ৫০০ থেকে ৮০০ স্কয়ার ফিটের মধ্যে। রয়েছে পছন্দের ফুল দিয়ে সাজানো বেডের হানিমুন প্যাকেজ।
বিশেষভাবে না বললেই নয়, এখানকার ইনফিনিটি সুইমিংপুল আর ছাদের কথা। একটি বিকেল থেকে সন্ধ্যা সুইমিং পুলের পাশে বসেই ফলের জুস খেতে খেতে উপভোগ করতে পারেন সূর্যাস্ত। হঠাৎ দেখে মনে হতে পারে সমুদ্রের সঙ্গে গিয়ে মিশেছে পুলের নীলাভ পানি। আবার পাশে তাকালে মনে হবে পাহাড়ে বসে সাগর দেখছেন।
নিসর্গের রয়েছে একটি প্রাইভেট বিচ। কোলাহলমুক্ত প্রকৃতি ও প্রিয়জনের সান্নিধ্যের জন্য এর চেয়ে ভালো সুযোগ আর কোথায় হতে পারে!
এবার আসি খাবারে, কী খাবেন দেশি, ইন্ডিয়ান, চাইনিজ, থাই-কোরিয়ান বা আরব্য দেশের কোনো নাম করা আইটেম অথবা শুধুই স্থানীয় মাছ আর শুটকি ভর্তা? যে কোনো খাবারের স্বাদ ও মানে কাছাকাছি সব হোটেলকে এরই মধ্যে টেক্কা দিয়েছে সবার প্রিয় নিসর্গ।
শুধু বর্ডার গেস্টই নয়, দুপুরে বা সন্ধ্যায় খাবার খেতে এখানে ভিড় করেন স্থানীয় ও অন্য অনেক হোটেলের গেস্টরাও।
১৫০ জনের কনফারেন্স রুমে সেরে নেয়া যায় যেকোনো কর্পোরেট মিটিং।
ভ্রমণপ্রিয় তরুণ উদ্যোক্তা জালাল উদ্দিন টিপুর দক্ষ পরিচালনায়, দেশের পর্যটনকে দেশ-বিদেশের পর্যটকদের জন্য সব ধরনের সুবিধা নিয়ে যাত্রা শুরু করছে নিসর্গ রিসোর্ট।
দুজনের সকালের নাস্তা, পর্যাপ্ত পানি, সুইমিংপুল, ওয়াইফাইসহ এক রাতের জন্য খরচ চার হাজার টাকা বলে জানালেন হেড অব অপারেশন নাজমুল হক।
তিনি বলেন, খুব শিগগিরই নিসর্গে যুক্ত হচ্ছে আর্ন্তজাতিক মানের জিম ও স্পা সেবা।
এখানে অতিথিদের নিরাপত্তার বিষয়টিও গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করা হয়।
যোগাযোগ: +৮৮০ ১৮১৯-১৫২১২২