এরপর বাবা তার থেকেও অনেক সংক্রিয় ফেসবুকে। কোথাও গেলে সেই রাশভারী বাবা আজকাল নিজেই সেলফি তুলতে শুরু করেন।
ইনজামাম সেদিন বলছিলো, বাবা এখন শুধু বাসার ইন্টারনেট লাইনে কোনো সমস্যা হলেই তাকে ফোন করেন।
রুহিনা তো তার মায়ের ফেসবুকে এতো বেশি সক্রিয় দেখে মজা করে নিজে স্টেটাস দিয়েছেন, যে তার হিংসে হচ্ছে মায়ের জন্য।
এসব ঘটনার সত্যতা উঠে এলো সম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের পরিচালিত এক গবেষণা থেকেও। সামাজিক যোগযোগ মাধ্যম বিশেষ করে ফেসবুকে বয়স্কদের আগ্রহ ও আসক্তি নিয়ে অবসরপ্রাপ্ত ষাটোর্ধ ১৩৬০ জনের ওপর জরিপ চালায় আমেরিকান অ্যাসোসিয়েশন অব রিটায়ার্ড পারসন।
এদের ৭০শতাংশই তাদের সন্তান বা নাতি নাতনিদের কাছে সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমগুলোতে যাত্রা শুরু করেন। তাদের সময় কাটানোর জন্য, সব ধরনের নিউজ পড়া, পছন্দের গেম খেলা, নতুন পুরোনো বন্ধুদের সঙ্গে বিভিন্ন বিষয়ে আলোচনার মাধ্যমে বৃদ্ধ বয়সেও নিজেদের কিছু ভালো লাগার জায়গা তৈরি করে নিতে সক্ষম হচ্ছেন।
আমরা অনেক সময় মনে করি বাবা-মা বুড়ো হয়ে গেছে ওনারা এসবের কি বুঝবেন? তবে আমরা যদি ওনাদের কিছুটা সময় দিয়ে ইন্টারনেটের ব্যবহারটা শিখিয়ে দেই, তবে ওনাদের সময়গুলো কিন্তু অনেক ভালো কাটবে।