কিন্তু মসলিনের পঞ্চ তনয়া হিসেবে আজও আমরা জামদানির ব্যবহার করছি অবিরত। অতীত থেকে বর্তমান অবধি জামদানি তাঁত শিল্পের এক অপূর্বপ্রকাশ।
তবুও নায্য মুজুরি, তাঁত সংকট এবং পৃষ্টপোষকতার অভাবে জামদানির পোশাক ব্যবহারে আজকাল বেশ ভাটা পড়েছে। দেখা দিয়েছে ম্লানময় দৈন্যতা। এই দৈন্যতা থেকে উত্তরণের পথ দেখাতেই লাইফস্টাইল ব্র্যান্ড অঞ্জন’স ধারাবাহিকভাবে ৪র্থ বারের মতো আয়োজন করেছে জামদানি বিপণন ও প্রদর্শনী।
সম্প্রতি বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্যে দিয়ে বনানীর ১১ নম্বর রোডে অঞ্জন’স এর নিজস্ব আঙিনায় শুরু হয়েছে এই উৎসব। জামদানি নিয়ে এধরনের উদ্যোগ প্রসঙ্গে অঞ্জন’স এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ বলেন ‘বুননের নাম জামদানি। শিল্পের ভেতরের যে ঐশ্বর্য ছড়িয়ে আছে আমাদের ঐতিহ্যে তার ধারক হয়ে আজও জনপ্রিয়তায় অনন্য হয়ে আছে জামদানি বয়ন। একসময় মসলিনের পরিপূরক হয়ে আমাদের ফ্যাশন ঐতিহ্যে বসতি গেড়েছিল জামদানি। ক্রমেই তা বাংলার তাঁতিদের সুনিপুণ দক্ষতায় হয়ে উঠে আভিজাত্যের পোশাক ।
বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠানটিকে আরো প্রাণবন্ত করতে আয়োজন করা হয় ফ্যাশন শো। প্যাটার্ন এবং ডিজাইন ভিন্নতায় জামদানি শাড়ি ছাড়াও এসব পোশাকের মোটিফে প্রাধ্যন্য দেয়া হয়েছে জামদানি জমিনের তিন ধরনের নকশা যেমন বুটা, জালী ও তেছরি সবই যেন ডিজাইনারদের মুন্সিয়ানায় পেয়েছে আধুনিকতার পালক।
প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি মাফরূহা সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান, বাংলাদেশ রপ্তানী উন্নয়ন ব্যুরো এবং বিশেষ অতিথি চন্দ্র শেখর সাহা, সভাপতি, বাংলাদেশ জাতীয় কারুশিল্প পরিষদ। এসময় অঞ্জন’স এর শীর্ষ নির্বাহী শাহীন আহম্মেদ, প্রধান ডিজাইনার লায়লা খায়ের কনক, অঞ্জন’স এর শুভানুধ্যায়ীরা উপস্থিত ছিলেন।
২৮ জানুয়ারি পর্যন্ত অঞ্জন’স এর নিজস্ব নির্ধারিত স্টোরগুলোতেই চলবে এই জামদানি বিপণন ও প্রদর্শনীর আয়োজন।