ভালোবাসার প্রিয় মানুষটির সঙ্গে পুরো জীবন ভালো থাকবেন কী করে জেনে নিন-
জীবনের উত্থান-পতন
সবার জীবনেই একটা সময় আসে যখন মানসিকভাবে কিছুটা বিরক্ত, খুব চাপ যাচ্ছে মনের ওপর দিয়ে অথবা আপনি কিছুটা সময় একা থাকতে চান। এই ব্যাপারগুলো যেমন আপনার বেলায় ঘটতে পারে ঠিক তেমনি আপনার সঙ্গীর বেলাতেও ঘটতে পারে।
ক্ষমা করুন, ভুলে যান
অতীতের কোনো দুঃখজনক অথবা আপমানজনক কথা বারবার মনে করা একেবারেই ঠিক নয়।
সঙ্গীর বিশ্বাসকে গ্রহণ করুন
দুটি মানুষ দুটি মতাদশের, ভিন্ন ধারার হবে এটাই স্বাভাবিক। আপনার মতের সঙ্গে মিলছে না বলে আপনি তার যুক্তিকে পাত্তাই দেবেন না, এই ভুল করবেন না। তার মতামতকে গুরুত্ব দিন, গ্রহণ করুন।
প্রয়োজন নিয়ে কথা বলুন
আমরা প্রায় সবাই একই ধরনের একটা ভুল করে থাকি। তা হলো, আমরা ধরেই নেই, কেউ যখন আমাকে ভালোবাসবে, তখন সে আমার সব জেনেই ভালোবাসবে। এই ধারণা মনের ভেতরে পুষে রাখা একেবারেই অনুচিত। আপনার সঙ্গী আপনার মনকে বুঝতে পারবে, এ ধারণা থেকে দূরে সরে আসুন।
দ্বিমত পোষণ করতে ভয় পাবেন না
দুইজন মানুষের একটা মত হবে এটা ভাবা একেবারেই বোকামি। বরঞ্চ ভিন্নমত থাকাটাই স্বাভাবিক। তাই বলে ভিন্ন ধারণা কখনও আপনার সম্পর্ককে নষ্ট করবে না।
সমস্যার মুখোমুখি হোন
জীবনে সমস্যা আসবে এবং সেগুলোকে মোকাবেলা করাটাই আমাদের লক্ষ্য। তাই কোনো সমস্যা এলে হতাশ হলে চলবে না। সমস্যাকে কখনও অবহেলা করবেন না। সঙ্গীর সঙ্গে সমস্যা নিয়ে কথা বলুন। এমন তো হতে পারে সে আপনাকে ভালো একটা সমাধান দিতে পারে।
তার কথাও শুনুন
দুজন মিলে যখন কোনো বিষয়ে কথা বলবেন তখন শুধু আপনিই বলে যাবেন এটা করবেন না। তার কথা শুনুন মনোযোগ দিয়ে, তার কথাকে প্রাধান্য দিন।
কাছাকাছি থাকতে
বিয়ের আগে এক ধরনের জীবন থাকে। বিয়ের পরে দৈনন্দিন রুটিনে পরিবর্তন অথবা অর্থনৈতিক সংগ্রাম আসতে পারে এবং আপনি তখনই সফল হবেন যখন এগুলোকে ঠিকমতো চালনা করতে পারবেন। তাই বলে ভালোবাসি বলতে ভুলবেন না, জীবন যত কঠিনই হোক তাকে সহজ করে নিতে হবে।
আপনি প্রথমে ক্ষমা চেয়ে নিন
একজন মানুষ ভুল করতেই পারে। আপনিও অনেক সময় ভুল করেন। তাই যেকোনো সম্পর্কেই ক্ষমাসুন্দর দৃষ্টি থাকা প্রয়োজন। দুজনেই যদি চলার পথটি মসৃণ করার চেষ্টা করেন তাহলে দুজনই সুখী হবেন। ভুলে যাওয়ার, ক্ষমা করার, পূর্ণ করার ইচ্ছা নিয়ে ভালোবাসি বলুন।
নিজের মতো করে নিন
আপনার ভালোবাসার মানুষটিকে আপনার মতো করে তুলুন। শ্রদ্ধা করুন, অর্থপূর্ণ কাজ করুন, সামাজিক কাজে যুক্ত থাকুন, আপনার আগ্রহকে আবিষ্কার করুন এবং আপনার সঙ্গীর সঙ্গে শেয়ার করুন। এতে করে দুজনের মধ্যে ভালোবাসা বাড়বে। দুজনই যদি দুজনার কাছে পরিষ্কার থাকেন তাহলে কোনো সমস্যাই সমস্যা সৃষ্টি করতে পারবে না।
সহযোগিতা
ভেবে দেখুন তো, ছোটাবেলায় আপনার ওপর যখন বাবা-মা কিছু চাপিয়ে দিতেন তখন কি সেটা আপনার ভালো লাগত? মনে হয় না। তাহলে আপনার সঙ্গীর কেন ভালো লাগবে? কখনও আপনার সঙ্গীর ওপর সব ভার চাপিয়ে দেবেন না।
ভালোবেসে ভালো থাকুন।