অনেকে তো এই সমস্যার জন্য মেকআপ না করেই যাওয়ার চিন্তা করেন। কিন্তু একদম সাদামাটা ভাবে কোথাও গেলে নিজের কাছেই খারাপ লাগে।
ফারনাজ বলেন, গরমে আমরা ভয় না পেয়ে উপভোগ করতে শিখলেই অনেক সমস্যা কমে যাবে। আর এই সময়ে সব থেকে জরুরি হচ্ছে সুস্থ থাকা। ত্বক সুস্থ রাখা। এজন্য প্রয়োজন প্রচুর পারি পান করা। সিজনাল ফল খাওয়া। সেই সঙ্গে কোনো অনুষ্ঠানে যাওয়ার জন্য কিছুটা সময় হাতে রেখে তৈরি হওয়া।
প্রথমে মেকআপ শুরু করার ১০ মিনিট আগে ত্বক ভালোমতো পরিষ্কার করে নিয়ে একটি পরিষ্কার পাতলা কাপড়ে বরফ পেঁচিয়ে নিয়ে যে যে স্থানে মেকআপ করবেন ত্বকের সেসব স্থানে পুরো ১০ মিনিট ধরে বরফ ঘষে নেবেন। বরফ ঘষা শেষ হলে ত্বক মুছে নিয়ে মেকআপ করুন। এতে ত্বক সজিব লাগবে ও মেকআপ দীর্ঘসময় ঠিক থাকবে।
গরমে ঘেমে গেলে আমাদের রোমকূপের গোড়া থেকে ঘাম ও তেল বের হয় তা মেকআপ নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য সকল প্রসাধনী ওয়াটারপ্রুফ ব্যবহার করুন।
টিস্যু দিয়ে মেকআপ ঠিক করতে গেলে উল্টো তা আরও নষ্ট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। টিস্যুর পরিবর্তে ব্যাগে রাখুন মেকআপের স্পঞ্জ । মেকআপ ঠিক রাখার জন্য খানিকক্ষণ পরপর মেকআপের স্পঞ্জ দিয়েই ঠিক করে নিতে পারেন।
গরমে হালকা আরামদায়ক পোশাক পরুন। এবার ত্বকের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে ফাউন্ডেশন মুখে ও গলায় লাগিয়ে একটা ভেজা স্পঞ্জ দিয়ে ভালোভাবে মিশিয়ে নিন। ফাউন্ডেশন দেয়ার পরও মুখে যদি ভাঁজ বা দাগ থাকে তাহলে কনসিলার ব্যবহার করুন। এবার কমপ্যাক্ট পাউডার দিন।
চোখ: ফাউন্ডেশন লাগানোর সময় চোখের ওপর ও নিচে ভালো করে মিলিয়ে দিন। চোখের তলায় কালো থাকলে কনসিলার দিয়ে নিন। আর যদি ফেস পাউডার ব্যবহার করেন তাহলে ব্রাশ দিয়ে পাউডার ভালো ভাবে ঝেড়ে নিন। এরপর চোখের ওপর সারা পাতাজুড়ে বেস আইশ্যাডো লাগান। পোশাকের সাথে মিলিয়ে বা দুই বা তিনটি শেড মিলিয়ে আইশ্যাডো লাগিয়ে নিন। ভ্রূ'র ঠিক নিচে হাইলাইটার লাগান। কাজল শুধু চোখের ভেতর লাগান, ওপরে ও নিচে আইলাইনার লাগান। যারা আইলাইনার ব্যবহার করতে চান না, তারা একটু গাঢ় করে কাজল লাগাতে পারেন।
সবশেষে ২ কোটে মাশকারা লাগান।
নাক : নাক একটু ছোট ও মোটা হলে দু’পাশে ডার্ক শেডের ফাউন্ডেশন লাগিয়ে নিন। এতে করে নাক শার্প দেখাবে। নাকের ওপরের অংশে লাইট শেডের ফাউন্ডেশন এবং কম্প্যাক্ট লাগিয়ে নিন।
ব্লাসন: গোলাপী, বাদামী শেডের ব্লাসন ব্রাশে নিয়ে নিন। একটু হেসে নিয়ে আপনার গালের আপেল পয়েন্ট সিলেক্ট করুন এবং চিক বোন এ ব্লাসন লাগান। আপনার মুখ যদি ফোলা টাইপের হয় তবে গোলাপী ব্লাসন দেবেন না, এতে মুখ আরও ফোলা লাগে।
ঠোঁট: লিপস্টিক লাগানোর সময় প্রথমে ঠোঁটে একটু পাউডার লাগিয়ে নিলে ভালো হয়। তারপর লিপ পেন্সিল দিয়ে হালকা করে আউট লাইন এঁকে নিন। তারপর ঠোঁটের মাঝখানে লিপ ব্রাশ দিয়ে লিপস্টিক লাগিয়ে নিতে পারেন অথবা সরাসরি লিপস্টিক দিয়েও ভরে দিতে পারেন। গরমে একটু হালকা রং-এর লিপিস্টিক ব্যবহার করুন। লিপগ্লসও লাগাতে পারেন।
নিয়মিত রোদে বেরুনোর আধাঘণ্টা আগে সানস্ক্রিন ব্যবহার করুন।
সানগ্লাস ও ছাতা অবশ্যই নেবেন। কার এটি আপনার চোখ ও শরীর দুটোরই যত্ন নেবেন।
বন্ধুরা, আপনাদের ত্বক ও চুলের সমস্যা নাম, বয়স ও ফো্ন নম্বরসহ বিস্তারিত লিখে জানান। সমাধান দেবেন বিউটি এক্সপার্ট ফারনাজ আলম।
https://www.facebook.com/bnlifestyle/